মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরের গোপালপুর এলাকায় ভিটেবাড়ি লিখে না দেয়ায় এক দরিদ্র ভ্যান চালকের পরিবারকে বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী মোছাঃ আশুরা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে আশুরা খাতুন বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত গোপালপুর গ্রামে চার শতক জমিতে ঘর বেধে ভ্যান চালক স্বামীসহ সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছি। আমার স্বামীর একার রোজগারে পরিবারের ৬ সদস্যের সংসার খুবই কষ্টে চলে। একই গ্রামের মৃত মান্নান গাইনের ছেলে আব্দুর রশিদ গাইন আমার বাড়ির পাশে একখন্ড জমি কিনে বাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের ভিটাবাড়িটি তার কাছে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে আমার ও স্বামীর উপর চাপ দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তবে রাজি না হওয়ায় রশিদ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিল। এসময় আমার স্বামী বাদি হয়ে আদালতে ১৪৫ ধারার একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ শান্তি শংঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাকে নোটিশ প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রশিদ গাবুরা এলাকার একটি অপহরণ মামলায় আমাদেরকে আসামি করে দেয়। পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালে দুই মাস পরে জামিনে বাড়িতে আসি। পরে তদন্ত করে পুলিশ আমাদের ওই মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় রশিদ আমাদের ভিটার একটি অংশ দখল করে নয়ে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা কারাগার থেকে জামিনে বাড়ি আসার পর শ্যামনগর থানায় আ’লীগের অফিস ভাংচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আমাদেরকে আসামি শ্রেনীভূক্ত করা হলে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পাই। এরপর রশিদ নড়াইল জেলার একটি অপহরণ মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করে দেয়। তখর উপায় না পেয়ে মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে রশিদের সঙ্গে মিমাংসার প্রস্তাব দিলে সে আমাদের ভিটাবাড়ি তার নামে লিখে দিতে বলে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২০ এপ্রিল শ্যামনগর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করা হয়। পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেফতার না করে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। বর্তমানে সে জেলে আছে। এঅবস্থায় রশিদ আমাদের ভিটাবাড়ি তার নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদের নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোন ফল পাইনি। বর্তমানে সে আমাদের বসতবাড়ি দখলের পায়তার করছে।
রশিদ একজন রাজনৈতিক টাউট উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে নামধারী কিছু আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় আমাদের মত অসহায় লোকদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে। তিনি রশিদের াত্যাচার থেকে নিঃষ্কৃতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *