পাইকগাছা প্রতিনিধি: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণে এবং তাদের অবহেলার কারণে মনের কষ্টে হাসপাতাল ছেড়েছেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সরকারিভাবে বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে আবুল বাজনদারকে চিকিৎসা দেয়া হলেও প্রায় ১ বছর ধরে তার ও তার পরিবারের প্রতি ডাক্তার, নার্স ও খাদ্য সরবরাহকারীদের অযতœ, অবহেলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণে মনের কষ্টে হাসপাতাল ছেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সে নিজের ইচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে।
উল্লেখ্য, পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়াারি ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে সরকারিভাবে ভর্তি হয়। সেখানে ২ বছর ৪ মাস চিকিৎসা শেষে ডাক্তার, নার্স ও খাবার পরিবেশনকারীদের অযতœ, অবহেলার কারণে হাসপাতাল ছেড়ে তারা বাড়ী ফিরেছে বলে বাজনদারের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার দু’হাত ও দু’পায়ে প্রচন্ড শিকড় গজায়। যাতে তার হাত-পায়ের ওজন কমপক্ষে ১৫ কেজি হয়। বিরল এ রোগ নিয়ে দেশী-বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভর্তি করা হয় উক্ত হাসপাতালে। গত ২৬ মে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে আসার পর কথা হয় আমাদের এ প্রতিনিধির সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, তার ২৫টি অপারেশন হয়েছে। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তাররা বলেছে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। যখন বাড়বে তখন অপারেশন করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হেদায়েত হোসেন ও নুরুন্নাহার লতা আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করত। এ কারণে আমি ক্ষোভে, দুঃখে হাসপাতাল ছেড়ে আসেছি।
মেডিকেলের চিকিৎসক ডা. শামন্তলাল সেন বলেন, আবুল বাজনদারের রোগ নিরাময়যোগ্য। তার চলে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। তবে সরকারিভাবে তার সাথে যোগাযোগ রাখা অব্যাহত রয়েছে। সে যখনই আসবে তখনই তাকে চিকিৎসা করানো হবে।
Leave a Reply