নয়ন আহমেদ এর কবিতা

উচ্চতা

একদা মৈনাক পাহাড়ে রেখে এসেছি উচ্চতা।
মাপকাঠি,পরিমাপ
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের পরিচয়;
সমাহিত করে এসেছি এখানে-
চুল্লির নৈকট্যে;
গাহর্স্থ্য উত্তাপে।
ভেবেছিলাম,উচ্চতাকে কখনো ভালোবাসবো না।
উচ্চ হতে হতে একা হতে হয়।
বিচ্ছিন্ন হতে হতে নিঃস্ব হতে হয়।
ও পাহাড়, আমি এই চুল্লির পাশে হাঁটু মুড়ে বসে থাকলাম।
প্রিয় হেস্তিয়া রাঁধছে অনিবার্য ব্যঞ্জন।
আমি আর কোথাও যাবো না।

 

 

প্রচারক

বহুদিন প্রচার করেছি আর্তনাদ।
অসুখী ছিলাম;
কারখানা বানিয়েছিলাম।
একটা কমলালেবুর পাশে শুশ্রƒষার কানাকানি স্থাপন করি নি।
বড় মূর্খ ছিলাম!
বহুদিন প্রচার করেছি হাহাকার।
অসুস্থ ছিলাম।
সন্দেহের দোকান খুলেছিলাম।
একটা সূর্যের পাশে ঘরবাড়ির নিত্য সম্পর্ক বিস্তৃত করিনি।
বড় অদক্ষ ছিলাম!

আনন্দের নিজস্ব রঙ

বাড়তে দিয়েছি আনন্দ;
তোমরা ধান বুনে যেভাবে অপেক্ষা করো।
হ্রস্ব করেছি বিষাদ;
তোমরা শোক মুছে যেভাবে কবরস্তান থেকে ঘরে ফেরো।
মূলত,এভাবে তোমরা জীবনের দিকে ফেরো।
প্রত্যেকেই বিকিরণ করে এই নিজস্ব রঙ।
কারণ, তারা পূর্ণ হতে চায়।
রঙ প্রকাশ করে ভোর।
রঙ প্রকাশ করে ইট,সুরকি।
রঙ প্রকাশ করে রান্নার হাঁড়িপাতিল।
রঙের উৎসব করে হেস্তিয়ার উনুন।
তার মনোযোগ দ্বিধাহীন প্রচার করেছি।
এই রঙের ভেতর ডুব দেওয়া লোকদের আমি পছন্দ করি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *