আবারো শুরু হলো দেশব্যাপী শিশু-কিশোরদের জন্য ‘জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৮। জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ন্যাশনাল ক্যাম্পে যুক্ত হলো সাতক্ষীর ৫ ক্ষুদে প্রোগ্রামার। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) রাজধানী ঢাকার সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে স্ক্রাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল ক্যাম্প। আজ শুক্রবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত হবে স্ক্রাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ডি.বি. গার্লস হাইস্কুলের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের সানফ্লাওয়ার গ্রুপের ওমর ফারুক সামি, সুমাইয়া খাতুন ও শরিফুল ইসলাম অংশ নিচ্ছে। এর আগে ডি.বি. গার্লস হাইস্কুলে স্ক্রাচ ও পাইথন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম, শামীমা আক্তার ও ল্যাব সহকারী মহিউদ্দীন।
পাইথন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় কলারোয়া জিজেএমকে পাইলট হাইস্কুলের তাহমিদ ও নিশান নামে দুই শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে বলে জানান ওই স্কুলের আইসিটি শিক্ষক আব্দুর রহমান।
এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের বাছাইকৃত ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের প্রত্যেকটি থেকে তিনজন অংশ নিয়ে যারা জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শুধুমাত্র তাদের নিয়েই ন্যাশনাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইয়াং বাংলা। এরই অংশ হিসেবে দুটি পর্বে চারদিনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং ইয়ং বাংলা ও সিআরআই। আগামী ৯জুন পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের উপর ন্যাশনাল ক্যাম্প এবং ১০জুন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।
ইয়াং বাংলার সেক্রেটারিয়েট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, স্ক্রাচ ও পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ উপর ক্যাম্প পরিচালনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাঈদ সিদ্দিক ।
তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থী বাছাই শেষে প্রতিটি ল্যাবে তিনদিন করে পাইথন এবং তিনদিন করে স্ক্র্যাচ এর প্রশিক্ষণ শেষে ২জুন স্ক্রাচ ও ৩জুন পাইথন প্রোগ্রামিংয়ে অনলাইন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি জেলা হতে পাইথন ভিত্তিক একটি করে বিজয়ীদল এবং স্ক্র্যাচ ভিত্তিক একটি করে বিজয়ীদলের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে এই জেলা ভিত্তিক বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় দুইদিন ব্যাপী পাইথন ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প এবং দুইদিন ব্যাপী স্ক্র্যাচ ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোর প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় দিনে জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত প্রোজেক্টগুলোর মধ্য থেকে সেরা প্রোজেক্টগুলোকে সমাপনী এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রেজেন্ট করার সুযোগ প্রদান করা হবে বলে জানান তম্ময় আহমেদ।
Leave a Reply