নিজস্ব প্রতিনিধি: আমার ভাই সেনা বাহিনীর কর্নেল কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। তাই দোকানের জায়গা দখল করার জন্য আমি ও আমার সহযোগী একই এলাকার বহেরা গ্রামের হায়দার আলী সাহাজীর ছেলে ওহাব আলী মধ্যরাতে দোকান ঘর গুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি। থানার ওসি আমার পকেটে থাকে। অত্যন্ত দম্ভোক্তির সাথে শত শত লোকের সামনে বাজারে কথা গুলো বলছিল দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মৃত আবু সরদারের পুত্র জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক অলিউল ইসলাম। উল্লেখ্য যে গত ৩০শে এপ্রিল দেবহাটা উপজেলার বহেরা বাজারে আমির আলীর হোটেল, ডাঃ শোকর আলীর ঔষধের দোকান ও ফরিদ মিস্ত্রীর দোকানে মধ্যরাতে হঠাৎ করে আগুন লেগে ভষ্ম হয়ে যায়। তবে আগুন লাগার সঠিক কারন জানা না গেলেও ধারনা করা হচ্ছিল যে, বৈদ্যুতিক শক সার্কিটের ফলে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে।এমতাবস্তায় দোকানের মালিক গন আগুনে পোড়া দোকান গুলো সাম্প্রতিক মেরামত করতে গেলে বাধা দেন দোকানের পিছনের বাড়ির মালিক অলিউল ইসলাম । তিনি উক্ত জায়গা তার বলে দাবী করেন। এ নিয়ে বহেরা বাজারে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে শালিসি বৈঠকের আয়োজন করলে অলিউল ইসলাম শালিস না মেনে শালিসে উপস্থিত সকলের সামনে জায়গা দখলের জন্য তিনি নিজে ও তার সহযোগী মিলে ঐ দোকান গুলোতে আগুন দিয়ে দোকান পুড়িয়ে দিয়েছেন। দুই-এক জন থানার ওসি আমার পকেটে থাকে। এ ব্যাপারে দোকান মালিক গণ জানান আমরা ৩৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরে অলিউল ইসলাম আমাদের দোকান ভেঙ্গে গায়ের জোরে জায়গা দখল করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। যা বাজারের সকল ব্যবসায়ীগণ জানে। এ ব্যাপারে বাজার এলাকায় বসবাসকারী দেবহাটা উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, ও কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান অলিউল প্রকাশ্যে শালিসি বৈঠকে দোকানে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং তার ভাই সেনা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বলেও চ্যালেঞ্জ করেছে। এ ব্যাপারে বাজারের সাধারন ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল এই আতœস্বীকৃত অপরাধীর বিরুদ্বে দ্রুত আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply