প্রতিনিধি: আর এক দিন পরই ঈদ। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার বাইরের অবস্থানকারী অধিকাংশই মানুষ পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য সাতক্ষীরাতে এসেছে। কিন্তু শহরে নেমেই দূর্ভোগে পড়া শুরু হচ্ছে ঈদ করতে আসা পৌরবাসীদের। সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা এ দূর্ভোগের কারণ। বর্তমানে সাতক্ষীরা পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে হেঁটে চলাচল করাও সম্ভব নয়। কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এবং অনেক স্থানে ভেঙে যাওয়ায় সড়কগুলোর এই করুণ অবস্থা হয়েছে। পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিগত ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩৬ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এ পৌরসভা ০৯ টি ওয়ার্ড ও ৪০টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে পৌর এলাকায় ১৮০ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার পাকা ও ৫৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক।
শুধু সড়ক নয় কাগজে-কলমে প্রথম শ্রেণী হিসেবে মর্যাদা পেলেও বর্তমানে পরিপূর্ণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত সাতক্ষীরা পৌরবাসী। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার যে সুযোগ সুবিধা হওয়ার কথা তার সামান্যতম সুফল জোটেনা পৌরবাসীর কপালে।
পৌরসভার কটিয়া, কামাননগর, চালতেতলা, পুরাতন সাতক্ষীরা, পলাশপোল, বাঁকাল, লস্করপাড়া, মুনজিতপুর এলাকার অধিকাংশ সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে কষ্ট হয়। পলাশপোল, মধুমল্লারডাঙ্গীর রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে। ড্রেনের নোংরা পানি-বর্জ্য আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করে। নিন্মমানের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা এবং সেগুলি নিয়মিত পরিস্কার না করাকে এর জন্য দায়ী মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় শহরের ব্যস্ততম শহীদ নাজমুল সরণি, শহীদ রীমু সড়ক, কাঞ্চন ব্যানার্জি সরণি, নূর মোহাম্মদ খান সড়ক, নারকেলতলা থেকে থানাঘাটা পর্যন্ত সড়ক, আবদুল মোতালেব সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শহরের সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দুই পাশের দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে তিন থেকে পাঁচ ফুটের মধ্যে থাকা সব স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরানোর কারণে সড়ক প্রশস্ত হয়নি।
অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ, অপর্যাপ্ত পয়োনালা ঠিকমতো পরিষ্কার না করা এবং খালে পানি নিষ্কাশিত না হওয়া পৌরসভার এমন অবস্থা। দায়সারা ভাবে মেরামত করা হয়েছে বেশির ভাগ রাস্তা।
Leave a Reply