আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। বুধহাটা গ্রামে বেতনা নদীর তীরে বসবাস করছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোজাহার মোড়ল। তিনি ২পুত্র ও ১কন্যা সন্তান নিয়ে নদীর তীরে ছোট্ট ঘরে কোন রকমে জীবন যাপন করে আসছেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোজাহার মোড়ল জানান, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে তার পিতা ছোবহান মোড়ল ঝাপিয়ে পড়েছিলেন পাক হানাদার বাহিনীর উপর। বাংলার বুক থেকে চিরতরে বিতাড়িত করেছিল পাক হানাদার বাহিনীকে। ছোবহান মোড়লের মুক্তিযুদ্ধের গেজেট নং ৫১০/০৪০৪০৫০৩০৫. বাংলা স্বাধীনের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ছোবহান মোড়ল বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি নিজ গ্রামের বাড়ীতে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে জীবনের পড়ন্ত বেলায় পুত্র মোজাহার মোড়লের বসৎ বাড়ীতে বসবাস করতেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বার্ধ্যক্ষ জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোজাহার মোড়ল অধিকাংশ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। চলতি বছরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের স্বীকৃতি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বুধহাটার বেতনা নদীর তীরে সরকারি খাস সম্পত্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার উঠলে ঘরের মেঝেতে নদীর পানি উঠে যায়। অন্যদিকে দমকা হাওয়া বইলে ঘরের গোলের চাল উড়ে যায় বলে জানান মোজাহার। দেশের জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে যদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আজকে অসহায় অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টসাধ্য অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সরকার যেখানে সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে মোজাহার স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে সেব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply