আশাশুনি প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ফিংড়ীতে অসহায় পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ ফিংড়ী এলাকায় মৃত বাবর আলী ঢালীর পুত্র আরমান ঢালী একই এলাকার সলেমান হোসেনের পুত্র হুমায়ন কবীরের নিকট থেকে ২০/০৭/১৯৮৯ সালে ফিংড়ী মৌজার ২৬২ নং খতিয়ানের এসএ ৪৫৫৭, সাবেক দাগ নং ৪১৩২ ও ৩১৪০ নং কোবলা দলিলে মোট ১২শতক জমি ক্রয় করে প্রায় ৩০বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। পরে মোঃ ঈদ্রিস আলী গাজীর পুত্র মইনুল গাজী (পুলিশ সদস্য) বাদী হয়ে ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার কায্যে ১৪/০৪/১৭ ইং তারিখে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে উক্ত সম্পত্তির সকল কাগজপত্র দেখে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান মৃত বাবর আলীর পুত্র বিবাদী আরমান ঢালীর পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। এত কিছুর পরেও পুলিশ সদস্য মইনুল গাজী খ্যান্ত না হওয়ায় তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার ভোগিনপতি সদরের দেবনগর এলাকার গোলাম রসুলের পুত্র বাবু হোসেন, দক্ষিণ ফিংড়ী আব্দুর রহমানের পুত্র মহিদুল ইসলাম, মোঃ বাবু, জমি মালিক হুমায়ন কবীর সহ অজ্ঞাত ৭/৮জন সন্ত্রাসীকে দিয়ে বে-আইনি ভাবে জমির দখল নিতে আরমান ঢালীর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় আরমান ঢালীর স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন বাধা দিলে তারা দলবদ্ধ হয়ে আমার স্ত্রীকে এ্যালোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করাসহ তাকে শ্লীতাহানী করে। পরে তারা আরমান ঢালীর বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ী ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দলবদ্ধ সন্ত্রাসী পিছু হটে। বিষয়টি জানতে পেরে আরমান ঢালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএস আই ছিদ্দিকুর রহমান জানান অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে আগামী শুক্রবার থানায় বসাবসির জন্য নোটিস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় অসহায় আরমান ঢালী আইনে ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply