আশাশুনির মুক্তিযোদ্ধা রাধাকান্তের মনে অনেক আক্ষেপ

এমএম সাহেব আলী, আশাশুনি থেকেঃ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের মৃত বলরাম গাইনের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা রাধাকান্ত গাইন অনেক ব্যথা ও ক্ষোভ নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে সময় পার করছেন। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে যেতে পারবেন কিনা এ আক্ষেপ তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। রাধাকান্ত গাইন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি যুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য ট্রেনিং নিতে বিহারে গমন করেন। সেখানে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক মহম্মদ আতাউল গনী ওসমানী এবং ৮ নং সেক্টরের আঞ্চলিক অধিনায়ক মোঃ আঃ গফুর স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রমের সনদপত্র দেওয়া হয়। সনদপত্রের ক্রমিক নং ১০৯০৭। তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য ২৬/০১/২০১৪ তাং যথাযথ নিয়মে ফরম পুরন করে জমা প্রদান করেন। ডিজি নং- উএও১২৯৩৬৪। বর্তমান তার বয়স ৮০ বছর। তান ৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। সবাই স্ব প্রতিষ্ঠিত। বৃদ্ধ বয়সে এসে তিনি তেমন কিছু চাওয়া পাওয়ার প্রত্যাশি নন। কিন্তু জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার পর জীবন সায়াহ্নে এসে এখনো তার স্বীকৃতি না পাওয়ার আপসোস তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তার সহমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন মন্ডল (গেজেট নং ৬২৯), সুশান্ত সরকার (৩১৭) ও নূরুল আমিন (৪৬৩) এবং যুদ্ধকালীল প্রশিক্ষণ শিবির কাজলনগর ক্যাম্পের প্রশিক্ষক এস এম আব্দুল বারী তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার ব্যাপারে স্বাক্ষ্য দিলেও এখনো তিনি কাঙ্খিত স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। মৃত্যুর আগে কি তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে? নাকি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া স্বত্তেও স্বীকৃতি বঞ্চিত থেকে অতৃপ্তি নিয়ে জীবন শেষ করতে হবে? তার, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোদ্ধারা তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *