আশাশুনি প্রতিনিধি: ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পল্লী বিদ্যুতের শ্লোগান হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছায়নি আশাশুনির ৩৪ স্কুলে।
আশাশুনি শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে আশাশুনি উপজেলার খাজরা, হেতালবুনিয়া, গোয়ালডাঙ্গা, ফকরাবাদ, নয়াবাদ, বাউশুলী, জদুয়াডাঙ্গা, তালবাড়ীয়া, টেকাকাশিপুর, বালিয়াখালি, খানাঘাটা, বিছট, বাগালী, পাইকপাড়া, রাজাপুর, সুভদ্রকাটি, দিগলারাইট, প্রতাপনগর পশ্চিমপাড়া, প্রতাপনগর, চেউটিয়া, পশ্চিম ফটিকখালী, খাসটিয়া ও কোদন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটি বিদ্যালয়গুলো বিদ্যুতের আওতায় আনতে সম্প্রতি আবেদন করেছেন। কিন্তু বাকী স্কুলগুলোর মধ্যে কোলা, নাসিবাদ, কাঠামারি, কাকড়াবুনিয়া, হিজলিয়া, ফটিকখালী, ১৩০নং উত্তর খাজরা, গাতির মহল, ১৫৯নং উত্তর খাজরা, নয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ হবে কি তা নিয়ে সংশয় আছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা. শামছুরনাহার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থেকে বঞ্চিত। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৪টি স্কুলের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে এবং ১০স্কুলের আবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মধুসুদন রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। তবে আবেদনকৃত ২৪টি স্কুলের তালিকা পেলে আগামী ৭দিনের মধ্যে আমি ঐ সকল স্কুলগুলো পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে পারবো। অন্য ১০স্কুলের আবেদন পেলে পর্যায়ক্রমে ১০০ভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ সরকারি ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ কার্যক্রম চলছে। যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই তাদের এই সরঞ্জাম কোন কাজে আসছেনা। বিদ্যুতহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ ব্যহত হচ্ছে অপর দিকে প্রচন্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এসকল স্কুলের কোমলমতি শিশুরা চলতি বৈশাখ মাসের কঠোর তাপদহে প্রতিনিয়ত হচ্ছে অসুস্থ্য।
Leave a Reply