ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে প্যানেলভুক্ত আইনজীবী থাকলেও ইসির ওকালতনামা ছিল না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সোমবার (৭ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
কবিতা খানম বলেন, ‘আদালতে আমাদের আইজীবী প্যানেল আছে। তাদের মধ্যে একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়ে হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দিইনি। তাকে ওকালতনামা দেওয়ার মতো সুযোগ ছিল না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে আগে আদালত আমাদের কিছু জানাননি। আমরা আগে কিছু জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি। তবে আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আদালতের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করেছি।’
‘নির্বাচনের তফশিল দেওয়ার পর সে বিষয়ে ইসিকে অবহিত না করে আদালত কোনও আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারে না’— সংবিধানের এই বিধানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিট বিষয়ে হিয়ারিংয়ের আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’
গাজীপুর স্থগিত হলে খুলনার ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও কিছু অগ্রিম বলা যাবে না। কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। তবে আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার পরই নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করি। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনও ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে কমিশন আপিল করবে কিনা, জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এখনও রিটের সারমর্ম পাইনি। আশা করি দ্রুতই লিখিত আদেশ পাবো। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
গাজীপুর সিটি নিয়ে আবার তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনও বিষয় সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।’
নির্বাচন স্থগিতে নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি, কমিশনের কোনও গাফিলতি নেই।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রবিবার (৬ মে) একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গাজীপুর সিটি নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
Leave a Reply