ক্রীড়া ড্স্কে: প্রথম দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুইবার টি-টুয়েটির বিশ্বকাপটাও জিতেছে দলটি। এক সময় ক্রিকেট বিশ্বে ছড়ি ঘোরাতো তারাই। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন তাদের সেই শক্তি অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার ওপর দলে যারা ভালো খেলেন, তারাই দেশের হয়ে না খেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি লিগ খেলতেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাই এ সব কিছু বিবেচনা করে বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের চেয়ে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে টেস্টেও টাইগাররা এগিয়ে থেকে মাঠে নামবেন বলে বিশ্বাস করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
টেস্টে বাংলাদেশের সাফল্য খুব বেশি নেই। কিন্তু তারপরও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশ যুক্তি দিয়েই টাইগারদের এগিয়ে রেখেছেন পাইলট। পরিবর্তন ডট কমের সঙ্গে একান্ত আলাপে বললেন, ‘টেস্ট ম্যাচে আমি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবো। আমার কাছে মনে হয় বর্তমানে ওদের খেলোয়াড়রা টি-টুয়েন্টি খেলতে খুব পছন্দ করে। তাদের টেস্টের প্রতি আগ্রহ খুব কম। আর তাদের এখন যে সমস্ত উইকেট হয় তা প্রায় উপমহাদেশের মতোই। আর সেক্ষেত্রে আমাদের স্পিনাররা ভালো বল করবে। যদিও ওদেরও খুব ভালো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু তারা দেশের হয়ে খেলে না। শুধু মাত্র আইপিএল, টি-টুয়েন্টি লিগগুলো খেলে বেড়াচ্ছে। আর এখন বাংলাদেশ অনেক প্রতিষ্ঠিত একটি দল। তারা প্রমাণও করেছে।’
সামনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর টাইগারদের। এ সিরিজ নিয়ে ভিন্ন ধরনের মতবাদ দিচ্ছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। অনেকেই উইন্ডিজকে এগিয়ে রাখলেও পাইলটের বাজি টাইগারদের পক্ষেই। সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গে তরুণরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে জয় পাওয়া খুব কঠিন কিছু হবে না বলে মনে করেন সাবেক এ অধিনায়ক, ‘মাশরাফী, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, তামিম প্রত্যেকেই অসাধারণ পারফর্ম করছে। সাথে যদি আমাদের তরুণরা একটু অবদান রাখতে পারে। শুধু এক ম্যাচ না, ধারাবাহিক অবদান রাখতে পারলে আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুব ভালো করবে বাংলাদেশ।’
আগামী জুনে পুর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সিরিজের জন্য এর মধ্যেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ দলে নিয়ে খুব একটা মন্তব্য করেননি পাইলট। তবে মার্শাল আইয়ুবকে এ দলে রাখলে ভালো হতো বলে মনে করছেন তিনি, ‘এখন তো মাত্র প্রাথমিক স্কোয়াড দিয়েছে। সেখানে প্রায় সব পারফরমারদের নিয়েছে। ১৫ সদস্যের দল দিলে বোঝা যাবে। আর দলে খুব বেশি বদলের জায়গা নেই। স্থায়ী কিছু খেলোয়াড় আছে। সামান্য দুই একজন হয়তো বদল হতে পারে। তবে আমার মনে হয় মার্শাল আইয়ুবকে রাখতে পারতো তারা। টেস্টের জন্য দারুণ একজন খেলোয়াড়। আরেকটা সুযোগ ওকে দেওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।’
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। ভারতের দেরাদুনে হবে সেই সিরিজ। সেখানে অবশ্য দুই দলেরই সমান সুযোগ দেখছেন পাইলট, ‘টি-টুয়েন্টি দিয়ে আসলে কোন দলকেই মূল্যায়ন করি না। আমার কাছে এটা ফানি গেমের মতো। যার যার দিনে তারা কাজে লাগায়। তবে এ সংস্করণে দুইটা দলের শক্তি প্রায় সমান। আফগানিস্তানকে ছোট করার কোন উপায় নেই। ওদের হার্ড হিটার আছে, ভালো স্পিনার আছে- মুজিব এবং রশিদ। এই দুই জন খেলোয়াড় যে কোন সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তারা কার্যকরী খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে পাকিস্তানের একটা ছোঁয়া আছে। দেখবেন চার ছয় খেলতে খুব পছন্দ করে। ওয়ানডেতে ওরা আমাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবে টি-টুয়েন্টিতে সমান সমান। বাংলাদেশ যদি গাণিতিক ক্রিকেট খেলে আমার মনে হয় কঠিন কিছু না আফগানিস্তানকে হারানো।’
Leave a Reply