নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
Leave a Reply