নিজস্ব প্রতিনিধি: গত একমাস সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ০৮ ট্রাক শুকনা মরিচ (ঝাল) অবৈধভাবে আমদানি হয়ে ইয়াডে পড়ে আছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই পন্যের প্রকৃত কাগজপত্র ও মালিক কাউকে পাচ্ছে না বলে দাবি করলেও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অন্য রকম। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘কাস্টমস ইয়ার্ড ও ব্যবসায়ী যোগসাজস করে উক্ত ঝাল বন্দরে প্রবেশের পর তা জানাজানি হওয়ায় কেউ দায় দায়িত্ব না নেয়ায় এখন আর মালিক খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ৩১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির টার্গেট ভেস্তে যেতে বসেছে এই চক্রটির।’ ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা বখতিয়ার আহম্মেদ গত বুধবার রাতে গনমাধ্যমকে জানান, গত মাসের ২৬ ও ২৮ তারিখে ৪ ট্রাক করে মোট ৮ ট্রাক শুকনা ঝাল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর ওই ঝালের ট্রাক আজও ইয়ার্ডের মধ্যে অবস্থান করছে। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র কেউ দাখিল করেননি বলে জানান। এমনকি কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট এই পন্যটি প্রবেশ করিয়েছে তাও বলতে পারে না কাস্টম ও ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিষয়টি নোট থাকার কথা থাকলেও সেখানেও তেমন কোন তথ্য মিলছে না। ভোমরা বন্দরের একজন ব্যবসায়ী (ঝাল আমদানিকারক) জানান, প্রতিটি ট্রাকে ১৮ টন করে ঝাল রয়েছে। প্রতি টনে সরকার রাজস্ব পায় ২১ হাজার ৩৪৫ টাকা। সে হিসেবে ৮টি ট্রাকে থাকা ঝাল থেকে সরকার রাজস্ব পাবে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কাস্টমস, ইয়ার্ড, আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট যৌথভাবে এই পন্য পরিকল্পনা করে অবৈধভাবে প্রবেশ করায়। কিন্তু যে কারণেই হোক দরদামের মিটমাট না হওয়া এবং বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এখন আর এই পন্যের মালিক মিলছে না।’ সার্বিক বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা।
Leave a Reply