মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও শ্যামনগর উপজেলার হরিনগরের বধ্যভূমিটি এখন পর্যন্ত সংরক্ষণে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শ্যামনগরের এ স্থানে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী এক সঙ্গে ২৮ জনকে বেধে গুলিকরে হত্যা করেছিল। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ৫ জন। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর সোমবার পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, নিলম্বর মন্ডল, জিতেন্দ্র মন্ডল, অজিত মন্ডল, সুরেন্দ্র মন্ডল, খগেন্দ্র মন্ডল, রামেশ্বর মন্ডল, কালীপদ মন্ডল, হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, ড. বিহারী মন্ডল, অধীর মন্ডল, অধর মন্ডল, বিপিন মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল, দাউদ গাজী, হাতেম গাজী, আদম গাজী, সৈয়দ গাজী, বিপিন পাটনী, আঃ বারী সানা, কৃষ্ণপদ গাইন, ধীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাষ প্রমুখ। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন গিরেন মন্ডল, বাবুরাম মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, বৈষম মন্ডল ও সূর্য কান্ত মন্ডল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এ অঞ্চলে একেবারেই ছিলনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। যে কারণে শ্যমনগরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সুন্দরবনের নদী খাল অথবা গ্রামের গাঘেষা নদী ব্যবহার করে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর আস্থানা গেড়েছিল তৎকালীন শ্যানগর থানার বর্তমান উপজেলার মুন্সীগঞ্চ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে। পানি উন্নায়ান বোর্ডর বাংলোতে ও হরিনগর মথুরাপুর গ্রামের কয়েকটি স্থানে ব্যাংকার খুড়ে সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করতো। আর পাখির মতো হত্যা করতো ঐ এলাকার নিরীহ সংখ্যালঘু মানুষসহ সাধারণ মনুষ কে।
এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন, আব্দুল ওয়াজেদসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অরক্ষিত বধ্য ভূমিটি সংরক্ষণের দাবি বার বার তুলে ধরেও ব্যর্থ হয়েছেন। আজ পর্যন্ত একাত্তরের পরবর্তী সময়ে যারাই সরকার পরিচালনা করেছে কেওই নজর দেয়নি এই আলোচিত বধ্যভূমির দিকে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীঘ্রই হরিনগর বধ্য ভূমিটি দৃশ্যমানভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
Leave a Reply