আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা সদরের সাথে দক্ষিণ জনপদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল আশাশুনি থেকে সাতক্ষীরা সড়ক। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে অবহেলায়। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে পিচ পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের সংস্কার কাজ হচ্ছে আমা ইটের খোয়া ও কাদামাটি মিশিয়ে। বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পরিবহন যোগে এলাকার উৎপাদিত মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে যা থেকে সরকার প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব আয় সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে সড়কটি সংস্কারের কাজ হাতে নেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কিন্তু সংস্কার কাজ হাতে নিলেও ১নং ইটের পরিবর্তে আমা ইটের খোয়া ও বালির পরিবর্তে সড়কের পাশের মাটিকাদা দিয়ে চলছে সংস্কার কাজ। এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যাত্রীবাহী বাস সহ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। এতে একদিকে যেমন জীবনহাণীর ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদিকে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে পরিবহন মালিক শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবার রাস্তাটি যখন একেবারে যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে তখনই এভাবেই দায়সারা কাজ করতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। সরেজমিন গেলে এ সড়কে চলাচলকারী একাধিক সাধারণ মানুষ এ প্রতিবেদককে বলেন তাদের কাছে পদ্মা সেতুর চেয়ে এ রাস্তাটির গুরুত্ব যেন অনেক বেশি। এ রাস্তাটির সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ করে কাজে যাওয়া ও ঘরে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ তাদের। এমতাবস্থায় জনগনের ভোগান্তি লাঘবের জন্য এ সড়টি দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ।
Leave a Reply