কবির হোসেন: সাতক্ষীরার জেলার সীমান্তবর্তী দেবহাটা উপজেলায় বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। যেটির বেড়িবাধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্ষার মৌসুমে দূর্বল বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে বাধ টপকিয়ে পানি অনুপ্রবেশ ঘটবে। সেই সাথে আবারও দেখা দিতে পারে মহামারি। তাছাড়া বিগত কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া বন্যার কথা ভুলতে পরেনি স্থানীয়রা। অসহোনশীল দূর্ভোগে পড়ে দেবহাটা, সুঁশিলগাতী, খাঁপাড়া, শিবনগর, টাউনশ্রীপুরসহ আশে পাশের এলাকার মানুষেরা। সে সময়ে নদী বাঁধের স্থায়ী সমাধানের কথা বলা হলেও পুরোপুরি ভাবে বাস্তবায়ন হয়নি এখনো পর্যন্ত। নতুন পুরাতন বেঁড়িতে পুনঃরায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আর ফাটল। অতিরিক্ত পানির চাপে দূর্বল হয়ে পড়েছে নদীর বাধ। সেখানের বেঁড়িতে দেখা দিয়িছে বড় বড় ভাঙ্গন আর ফাঁটল। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে ইছামতির বাধ। আবারও প্লাবিত হয়ে ভেসে যাবে অসংখ্য ধন সম্পদ। কোন কিছুতে রক্ষা পাবে এমন নিশ্চয়তা নেই স্থানীয়দের। ঘুম নেই রাতে সীমান্ত পাড়ের মানুষের। সাম্প্রতিক দেবহাটার নাংলা, নওয়াপাড়া এলাকায় আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যা আগামী বর্ষার মৌসুমে ভয়াবাহ রূপলাভ করতে পারে। নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে ইছামতি নদী ভাঙ্গনের ফলে আশেপাশের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। সে সব ক্ষতির শেষ ছিল না। যদি আবারো নদী ভাঙ্গন হয় তাহলে আমাদের ক্ষতির শেষ থাকবে না। ভাঙ্গন রোধে বর্ষা মৌসুমের আগে ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। এবিষয়ে নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙ্গন রোধ করা যাবে না। আমি বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। এছাড়া যে সমস্ত জায়গা অতিরিক্ত স্পর্শকাতর সে বিষয়ে আমি উপজেলা প্রাশসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ জানাবো। এদিকে, নদী পাড়ের বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত বেড়িবাধ ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
Leave a Reply