সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটার টিকেটে শালিস বৈঠাকের নামে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নারী-পুরুষসহ একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শনিবার সকালে টিকেট চরগবিন্দুপুর গ্রামের সালাম ঢালীর ঘেরের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, আয়জুদ্দিনের পুত্র মুনসুর আলী গাজী(৪৮), মুনসুর আলীর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন(৪২) ও রনজিদা খাতুন (২৮), সাদ্দাম গাজীর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন(৩৩), ইসরাফিল গাজী(১৪)। ঘটনায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী গাজী(৪৮) জানান, তিন মাস আগে তিনি সহ স্থানীয় ফতেমা নামে এক স্বামী পরিক্তার ছেলে জুবায়েদ বরিশালের ইট ভাটায় কাজের জন্য যায়। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতে ইটভাটার সরদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে চলে আসে। এতে উক্ত সরদার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় ফতেমা। তার ছেলের নামে মুনসুর আলী মিথ্যা মামলা করেছে এমন দাবি জানিয়ে শালিস বৈঠাক করার জন্য শনিবার দিন ধায্য করা হয়। উভয়পক্ষকে শালিসে ডাকে স্থানীয় মাতব্বর আব্দুর রহিম ও মহানন্দ। উভয়পক্ষ হাজির হওয়ার পর পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মুনসুর আলীর পরিবারের সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের শেষ হলে মুনসুর আলীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে আসে। কিছু সময় পর সাতক্ষীরা সদরের গাভা ফিংড়ি গ্রামের বাবুর আলী সাদ্দামের নের্তৃত্বে বাবুর আলী, আব্দুর রহমান, রবিউল ইসলাম, সবুজসহ ২০/৩০জন সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠি-সোঠা নিয়ে মুনসুর আলীর বাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। বাধা দিতে আসায় পুনরায় মারপিট করতে থাকে। এসময় বাড়ির নারী সদস্যরা ঘরে দরজা দিয়ে আতœরক্ষা করতে গেলে দরজা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করে। নারীদের শ্লীলতাহানী করে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সাদ্দাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিচারে গিয়ে মুনসুরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি। আমি বিচার শুরু হওয়ার আগেই মুনসুরের গালে ২টা থাপ্পর মারি। মুনসুর আমাদের গালিগালাজ করায় আমি ও আমার সাথীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা করি। তবে, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শালিশে ডেকে নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে এলাকা সুত্রে জানা গেছে। এদিকে, আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply