নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য রসুলপুর খাঁ বাড়িতে নজরুল অনুষ্ঠান হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান তাঁর আত্মজীবনী ‘জীবনের জলছবি’ গ্রন্থে লিখেছেন- ‘মওলানা আকরম খাঁর সঙ্গে যোগসূত্রের কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সঙ্গীত সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিকদের অনেকেই রসুলপুর গ্রামে এসেছিলেন। ফলে রসুলপুর আরও আলোকিত হওয়ার সুযোগ পায়। সেই সূত্র ধরে অগ্রসর হয়ে জানা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম রসুলপুর খাঁ বাড়িতে এসেছিলেন। এই স্মৃতিকে উজ্জীবিত করতে ঈক্ষণ সংসদের নজরুল অনুষ্ঠানের আয়োজন। ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি পলটু বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান যখন বলেছেন তখন এটাকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদ যে শুরুটা করল তাকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমাদের, গবেষকদের সকলের। এটা এ এলাকার মানুষের জন্য একটি ভাল খবর। আমরা এই ঐতিহাসিক একটি ঘটনার অংশীদার হলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, খুলনা বি এল কলেজের অধ্যাপক(অব:) আব্দুল মান্নান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. রুবেল আনছার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন খাঁ বাড়ির পক্ষ থেকে আলীমুজ্জামান খান টালু। তিনি কবির আগমনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন এবং ঈক্ষণ সংস্কৃতিক সংসদের এই অনুসন্ধানি উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানান। একই সাথে দেশ ও সমাজে রসুলপুর খাঁ বাড়ির আলোকিত অংশগ্রহণের বর্ণনা উপস্থাপন করেন। কবির আগমনের পর এই প্রায় একশত বছর পর ঈক্ষণই প্রথম এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করল। বক্তারা ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের এই আয়োজনকে এক ঐতিহাসিক উদ্ঘাটন হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এটি সাতক্ষীরাবাসী তথা দক্ষিণ বাংলার মানুষের জন্য এক আনন্দময় মুহূর্ত।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসুদুল হক। আলোচনা সভা শেষে নজরুল সংগীত পরিবেশন ও কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন করবী, শ্রেয়াণসহ বিভিন্ন শিল্পীরা।
Leave a Reply