শ্যামনগর ব্যুরো: শনিবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরার সহযোগিতায় ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের অর্থায়নে লবন সহনশীল জাত বিনাধান-১০ এর ফসলকর্তন ও মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ এর মহাপরিচালক ড.বীরেশ কুমার গোস্বামী। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন লবনাক্ত এলাকার জন্য কৃষকদের তথ্য মতে বিনা ধান ১০ এর ফসল ভাল। এটিতে খরচ কম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম এবং সার কীটনাশক কম লাগে। তিনি জমি ফেলে না রেখে, চিংড়ী ঘেরের আইলে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন।
বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আল-আরফাত তপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিংহের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, সাতক্ষীরা, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, বিনা ময়মনসিংহের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান, বেনেরপোতা, সাতক্ষীরার বারি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিমুল মন্ডল। সাতক্ষীরা বিনা উপকেন্দ্রের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শ্যামনগরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জি এম মাহফুজুর রহমান,ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডল,কৃষক সুশান্ত কুমার গায়েন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষক সঞ্জয় সরদারের প্রদর্শনী প্লট বিনাধান ১০ এর ফসল কর্তন করা হয় এবং জানানো হয় বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া গেছে প্রায় ২৫ মণ।
Leave a Reply