1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
২৯ চৈত্র, ১৪৩১
Latest Posts
📰মার্চ ফর গাজা ও সমাবেশপূর্ব ঘোষণাপত্র📰গাজায় বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার মানববন্ধন 📰গোয়ালডাঙ্গায় ভাঙ্গনের দেড় মাস পর প্রাথমিক ভাবে বাঁধের কাজ শুরু📰তরুণদের হাত ধরে সাতক্ষীরার রইচপুরে শতাধিক পরিবারে ফিরছে সুপেয় পানির স্বস্তি📰এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যুবক আটক, ১০ দিনের কারাদন্ড📰বড়দলে ১ যুগের বেশি ডিসিয়ারকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন 📰শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিন সাতক্ষীরায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা📰গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ📰ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ

ধর্মতলার চা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৮৯৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে
মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
জ্বি মামা বসেন দিতাছি।
শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। তখন ঘড়ির কাটা ঠিক বিকাল চারটা। ট্রেন চলতে শুরু করলো…ঝক ঝক শব্দে উদ্দেশ্য যশোর শহর এক পলক দেখা। সাথে  সাইমুম, বায়জিদ এবং অামি। সময় বিকাল ৫.২০ মিনিট। যশোর স্টেশনের মনোরম প্রকৃতি অামাদের স্বাগত জানালো। প্রকৃতির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু অাসলে অামরা কোথায় যাবো কেউ জানিনা। ধর্মতলার চা

তৈয়েবুর তামিম
মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
জ্বি মামা বসেন দিতাছি।
শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। তখন ঘড়ির কাটা ঠিক বিকাল চারটা। ট্রেন চলতে শুরু করলো…ঝক ঝক শব্দে উদ্দেশ্য যশোর শহর এক পলক দেখা। সাথে  সাইমুম, বায়জিদ এবং অামি। সময় বিকাল ৫.২০ মিনিট। যশোর স্টেশনের মনোরম প্রকৃতি অামাদের স্বাগত জানালো। প্রকৃতির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু অাসলে অামরা কোথায় যাবো কেউ জানিনা।
মামা! অামরা এই প্রথম যশোর অাসছি এখানে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অাছে যেমন: দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত খাবারের কিছু? স্টেশনের পাশের দোকানীর কাছে প্রশ্নটা ছিলো বায়জীদের। দোকানী মামার সাদামাঠা উত্তর ‘না মামা এখানে তেমন কিছু নাই যা অাছে সব বহুদুরে। তবে ধর্মতলায় বিখ্যাত চা অাছে সেখানে যেতে পারেন’
-সাইমুম দোকানী মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিক্সা ভাড়া করলো। এবার উদ্দেশ্যটা ধর্মতলা। বিখ্যাত চা পান করা।
মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
মামা! বসুন দিচ্ছি।
শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় তাঁর চায়ের দোকান। দোকানের নাম ‘ইয়াকুব টি স্টোর’। রাস্তার ঠিক পাশেই প্রায় চার হাত বাই অাট হাতের একটি ঘর। এই ছোট্ট ঘুপছি ঘরটিই এখন যশোর শহরের সবচেয়ে পরিচিত চায়ের দোকান।
স্বল্প পুঁজি, তাই ছোট্ট ঘর। ঘর ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কিন্তু কমতি নেই। চা বানাইতে দিনে প্রায় ২৫ কেজি দুধ লাগে তার।
সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি সদা ব্যস্ত চা বানাতে আর সরবরাহ করতে। সাথে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা অার এই পুরো সময়টা তাকে যিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন তার সহধর্মীনি।
চা বানানোর প্রস্তুতিটাই একটু অন্যরকম। শতব্যস্ততার মধ্যেও সুন্দর করে চায়ের কাপ গুলো পরিষ্কার করা হয় যাতে কেউ তার দূর্নাম গায়তে না পারে তারপর  সারিবদ্ধ কাপগুলোতে ঢালা হয় গাভীর দুধ, এরপর মামা ঘন কালো লিকার এমন ভাবে প্রতিটা কাপে ব্যালেন্স করে ফেলতে থাকেন; দেখে মনে হয় ফোটায় ফোটায় লিকারের সাথে দুধের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সখ্যতা মিত্রতায় রূপ নেয়। আর এভাবেই লিকার আর দুধ এর এক গভীর আত্মীয়তায় তৈরি হয় যশোরের ধর্মতলার চা।
স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব মিলিয়ে মননে একধরনের চাঞ্ছল্য তৈরি করে ধর্মতলার এই চা। দুধের রঙ ধীরে ধীরে সাদা থেকে অফ হোয়াইটের দিকে যেতে থাকে। বিকেলে একটু ভিড় তুলনামূলক কম থাকে তবে সন্ধার পরের চিত্র ভিন্ন। রাতের প্রহর বাড়ার সাথে সাথে দুধের লাল রঙ এর এক্সপোজার শুরু হয়, চা এর কাপে শুরু হয় ভৈরবী রাগ এর মাতোম।
চা এ চিনি বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে রাত। আর দোকানের সামনে বাড়তে থাকে জনমানুষের ভীড়।
জনমানুষের ভীড়কে দূরে ঠেলে সেখান থেকে অামাদের খুলনার উদ্দ্যেশে রাত ৮ টার ট্রেন ধরা। সুন্দর একটি উদ্দ্যেশ্যহীন যাত্রা এমন একটি গল্পেরূপ নেয় যা স্মৃতিপটে লেপ্টেথাকবে বছরের পর বছর। রাত ৯.৩০ এ নিউমার্কেট পৌঁছালাম সেখান থেকে সোনাডাঙ্গা  তারপর তিনজনের উদ্দেশ্য তিনদিকে বেড়িয়ে পড়া…
মামা! অামরা এই প্রথম যশোর অাসছি এখানে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অাছে যেমন: দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত খাবারের কিছু? স্টেশনের পাশের দোকানীর কাছে প্রশ্নটা ছিলো বায়জীদের। দোকানী মামার সাদামাঠা উত্তর ‘না মামা এখানে তেমন কিছু নাই যা অাছে সব বহুদুরে। তবে ধর্মতলায় বিখ্যাত চা অাছে সেখানে যেতে পারেন’
-সাইমুম দোকানী মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিক্সা ভাড়া করলো। এবার উদ্দেশ্যটা ধর্মতলা। বিখ্যাত চা পান করা।
মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
মামা! বসুন দিচ্ছি।
শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় তাঁর চায়ের দোকান। দোকানের নাম ‘ইয়াকুব টি স্টোর’। রাস্তার ঠিক পাশেই প্রায় চার হাত বাই অাট হাতের একটি ঘর। এই ছোট্ট ঘুপছি ঘরটিই এখন যশোর শহরের সবচেয়ে পরিচিত চায়ের দোকান।
স্বল্প পুঁজি, তাই ছোট্ট ঘর। ঘর ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কিন্তু কমতি নেই। চা বানাইতে দিনে প্রায় ২৫ কেজি দুধ লাগে তার।
সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি সদা ব্যস্ত চা বানাতে আর সরবরাহ করতে। সাথে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা অার এই পুরো সময়টা তাকে যিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন তার সহধর্মীনি।
চা বানানোর প্রস্তুতিটাই একটু অন্যরকম। শতব্যস্ততার মধ্যেও সুন্দর করে চায়ের কাপ গুলো পরিষ্কার করা হয় যাতে কেউ তার দূর্নাম গায়তে না পারে তারপর  সারিবদ্ধ কাপগুলোতে ঢালা হয় গাভীর দুধ, এরপর মামা ঘন কালো লিকার এমন ভাবে প্রতিটা কাপে ব্যালেন্স করে ফেলতে থাকেন; দেখে মনে হয় ফোটায় ফোটায় লিকারের সাথে দুধের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সখ্যতা মিত্রতায় রূপ নেয়। আর এভাবেই লিকার আর দুধ এর এক গভীর আত্মীয়তায় তৈরি হয় যশোরের ধর্মতলার চা।
স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব মিলিয়ে মননে একধরনের চাঞ্ছল্য তৈরি করে ধর্মতলার এই চা। দুধের রঙ ধীরে ধীরে সাদা থেকে অফ হোয়াইটের দিকে যেতে থাকে। বিকেলে একটু ভিড় তুলনামূলক কম থাকে তবে সন্ধার পরের চিত্র ভিন্ন। রাতের প্রহর বাড়ার সাথে সাথে দুধের লাল রঙ এর এক্সপোজার শুরু হয়, চা এর কাপে শুরু হয় ভৈরবী রাগ এর মাতোম।
চা এ চিনি বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে রাত। আর দোকানের সামনে বাড়তে থাকে জনমানুষের ভীড়।
জনমানুষের ভীড়কে দূরে ঠেলে সেখান থেকে অামাদের খুলনার উদ্দ্যেশে রাত ৮ টার ট্রেন ধরা। সুন্দর একটি উদ্দ্যেশ্যহীন যাত্রা এমন একটি গল্পেরূপ নেয় যা স্মৃতিপটে লেপ্টেথাকবে বছরের পর বছর। রাত ৯.৩০ এ নিউমার্কেট পৌঁছালাম সেখান থেকে সোনাডাঙ্গা  তারপর তিনজনের উদ্দেশ্য তিনদিকে বেড়িয়ে পড়া…

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd