নিজস্ব প্রতিনিধি: তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কর্তৃক অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাবেক স্বামী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের রসুলপুর এলাকার মৃত বনি ইসরাইল সরদারের ছেলে মো. জাহির উদ্দীন সরদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের মেয়ে নুরুন নাহারের সাথে তার বিয়ে হয়। আমাদের ১৫ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ৩/৪ বছর ধরে স্ত্রীর ভাই মোশারফ হোসেন ও বোন শামছুন নাহারের কু-পরামর্শে আমার নিজের বাড়িটি স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি বাড়ি লিখে দিতে অস্বীকার করায় সংসারে প্রায়ই অশান্তি বিরাজ করত। তাছাড়া বাড়িতে স্ত্রীর ভাই বোনদের অতিরিক্ত আসা-যাওয়া অশান্তি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩/৪ বছর ধরে আমি আলাদা ঘরে থাকি। এ অবস্থা চলাকালে আমার বৃদ্ধ মাতা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।
আমার স্ত্রী তাকে দেখাশুনা করতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে মা’কে বড় ভাইয়ের বাড়িতে রেখে সেবা করতাম। গত ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল শয্যাশযী বৃদ্ধা মায়ের পথ্য খাওয়ানো অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে আমার স্ত্রী একজন পুলিশ অফিসারকে নিয়ে সেখান থেকে আমাকে তুলে নিয়ে আসে। থানায় এসে জানতে পারলাম আমার নামে নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। প্রায় এক মাসের বেশী সময় কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়ে বাড়িতে গেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (স্ত্রীর ভাবী) আকতারী বেগমের নির্দেশে আমার স্ত্রী, তার ভাই মোশারফ হোসেন, মকবুল হোসেন, কালু, মোজাফফার এবং বোন শামছুন নাহার আমাকে বাধা দেয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমি নিজ বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। পরিবারের লোকদের নিয়ে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে স্ত্রীর বড়ভাবী আকতারী বেগমের ও মিথ্যে মামলার ভয় দেখানো হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করার জন্য ২০১৭ সালের ২০ মে সদর থানার ওসি, ৫ জুন জেলা প্রশাসক, ৬ জুন পুলিশ সুপার ও সম্পাদক নিজ অধিকার বরবার আবেদন করি। কিন্তু এরপরও স্ত্রী নুরুন নাহার আমার সাথে ঘর সংসার করতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক প্রদান করি। তালাকের পর তাকে বাড়ি ছাড়তে বলি। কিন্তু বড় ভাবী কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আকতারী বেগমের ক্ষমতার দাপটে তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী আমার বাড়ি ছাড়ছে না। একপর্যায়ে গত ৩ মার্চ বিকাল ৫টায় আমার বোনদের নিয়ে বাড়িতে যাই। কিন্তু রাত ৯টার সময় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফোর্স পাঠিয়ে আমাদের নামিয়ে দেন।
তিনি তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর কাছ থেকে বাড়ি উদ্ধার ও মিথ্যে মামলা থেকে রেহায় পেতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপ
Leave a Reply