ঘরোয়া উপায়েই দূর হোক সর্দি-কাশি

স্বাস্থ্য ডেস্ক: কমবেশি সবাই বছরের কোনো না কোনো সময় সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ধূলাবালি, ঋতুর পরিবর্তন ঠান্ডা-গরমের তারতম্যের কারণে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হন। সর্দি কাশি হলেই অনেকে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন বা কাছের কোনো ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়া শুরু করে দেন। আপনি চাইলে ঘরোয়া উপাদানেই সর্দি কাশি সারতে পারেন।


হলুদ ও দুধ:

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে হলুদের জুড়ি নেই। অনেক আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে থাকেন- এক গ্লাস দুধের সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার। প্রতিদিন অন্তত দুইবার এই হলুদ দুধের মিশ্রণটি খাওয়ার ফলে কফ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এছাড়া দুধ ফোটানোর সময় এতে এক কোয়া রসুন অথবা এক টুকরো আদা দিতে পারেন। সর্দিকাশিতে এটি বেশ উপকারী।

হলুদে রয়েছে ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া, প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান। যা সর্দি কাশি দূর করতে বেশ কার‌্যকরী।

মধু, মেথি ও দারুচিনি: ১/৪ চা চামচ মধু, ১/৪ চা চামচ মেথি গুঁড়া ও ১/৪ চা চামচ দারুচিনি পানিতে মিশিয়ে খান। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খাওয়ার ফলে চমৎকার ফল পাবেন।
মধুতে রয়েছে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান। ২০০৭ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সর্দি কাশিতে মধু ওষুধের চেয়েও বেশি কার‌্যকরী ভূমিকা রাখে।


গোল মরিচ: সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপাদান হচ্ছে গোল মরিচ। সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে দেরি না করে বাড়িতে থাকা গোল মরিচের স্মরণাপন্ন হোন। ১/২ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া ঘি’র সঙ্গে মিশিয়ে খান।

বেদেনার জুস: ছোট শিশুদের সর্দি কাশিতে বেশ কার‌্যকরী। বাড়িতে কোনো শিশু সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে আধা কাপ বেদেনার রসের সঙ্গে এক টুকরো আদা গুড়ো করে এতে মিশিয়ে খাওয়ান। বেদেনা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে আর আদা শরীরকে দ্রুত উষ্ণতা দেয়। বেদেনাতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ এবং সি যা শরীরে রোগপ্রতিরোধ করে। আপনি চাইলে আদার পরিবর্তে গোল মরিচও ব্যবহার করতে পারেন।

মসলাযুক্ত চা: ধোঁয়া উঠা মসলাযুক্ত গরম চা সর্দি কাশিতে বেশ উপকারী। এটি প্রাকৃতিক ঔষধি হিসেবে কাজ করে। চায়ের সঙ্গে আদা, দারুচিনি এমনকি গোলমরিচও মিশিয়ে খেতে পারেন। সর্দি কাশি দূর করতে বেশ কার‌্যকরী।

জরুরি পরামর্শ : সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে সাধারণ রাতের বেলায় এর মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণ ঘুমানোর সময় মাথা তুলনামূলক নিচু থাকলে নাক দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ কারণে সর্দিতে আক্রান্ত হলে ঘুমানোর সময় মাথা যেন শরীর থেকে উচু অবস্থানে থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *