এসবিনিউজ ডেস্ক : বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়েছে
তার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেন।
তিনি জানান, আগামী সোমবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য আসতে পারে।
খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানি চলছে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে। দুটি মামলাই বর্তমানে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে।
হাইকোর্টে করা আবেদনে খালেদা বলেছেন, অন্য মামলায় মাসখানেক পরপর তারিখ রাখা হলেও বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তার মামলায় কখনো কখনো এক সপ্তাহে দুইবারও দিন রাখেন। মামলার বিচারে বিচারক ‘তাড়াহুড়া’ করছেন বলে খালেদার অভিযোগ।
খালেদার আইনজীবীরা জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচারক গত ২ ফেব্র“য়ারি ওই আবেদনের শুনানি করার আগে আসামি খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি করতে চাইলে আইনজীবীরা অনাস্থা জানান।
বিচারক পরে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান- তিনি দোষী না নির্দোষ। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে খালেদাও সে সময় বিচারকের প্রতি আনাস্থা প্রকাশ করেন। পরে আদালত ৯ ফেব্র“য়ারি পরবর্তী দিন রেখে শুনানি মুলতবি করে।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তার ৫ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ৬ আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।
আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত ৯ বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এ ছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
Leave a Reply