1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
২ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts
📰২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ📰সালমানের বাড়িতে গুলি, গ্রেপ্তার একজন📰সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যানসহ আটক পাঁচ📰সাংবাদিক আবুল কাশেমের শ্বশুরের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের শোক📰আলিয়া মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীর মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কর্মশালা📰সাতক্ষীরা জেলা হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সদর এবং  পৌর শাখার সম্মেলন ও কমিটি গঠন 📰ভোমরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে তিনঘন্টা আটক রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ; আদালতে মামলা দায়ের📰পরিবেশ অধিদপ্তর উদ্যোগে এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সভা 📰শার্শায় বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত📰পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে মতবিনিময় সভা 

অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
  • ৫২৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

দীপক রায়,দাকোপ(খুলনা) : এমন একদিন ছিল যখন দেশের মানুষ খাওয়ার জন্য সাগর, নদী-নালা ডোবা এবং মুক্ত জলাশয় থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করত। তখন আবার কাঁকড়া খাওয়ার চলটা ব্যাপকভাবে ছিল না। দিন বদলের সাথে সাথে কাঁকড়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং সুস্বাধু খাবার হিসাবে বেশ স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে বিদেশে কাঁকড়া রফতানি হওয়ার কারণে এর মূল্য এবং ব্যবসায়িক গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। চাহিদার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়ার উৎপাদন অনেক কম ফলে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা এবং চড়া মূল্য থাকার কারণে মানুষ বর্তমানে ঘেরে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেছে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে। অল্প দিনে অধিক লাভ  তাই দাকোপের সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে দিন দিন কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা বাড়ছে। সময় বদলের সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, প্রযুক্তি তাই আবার অনেকে ট্রেতে স্পেশাল কেয়ারে পালন করছেন কাঁকড়া।

সরেজমিনে দেখা যায়, দাকোপের ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সব এলাকায় কমবেশী কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় দাকোপে কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা প্রায় ৭হাজার। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এ ঘেরের সংখ্যা বেশী। সুন্দরবন এলাকায় কৈলাশগঞ্জের রামনগর গ্রামের ঘের মালিক রাজ্জাক সরদার, আব্দুর রহমান শেখ বলছিলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে প্রচুর কাঁকড়া পাওয়া যায় তাই এখানে কাঁকড়ার ঘের করতে সুবিধা বেশী। তাঁরা বলেন,বাঁশ নেট দিয়ে ভাল করে ঘের আটকাতে হয় যেন কাঁকড়া বেরিয়ে যেতে না পারে। তারপর ছোট ছোট কাঁকড়া ঘেরে ছাড়তে হয়। বর্তমানে প্রতিমন ছোট কাঁকড়া ৫ থেকে ৬হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ৩ থেকে ৪মাস এ কাঁকড়া ঘেরে রাখতে হয়। তখন কাঁকড়াকে ছোটমাছ,শামুক এবং কুচে জাতীয় মাছ খাবার হিসাবে দেওয়া হয়। একমন কাঁকড়ার খাবারের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২ হাজার টাকা। ৩/৪মাস পর প্রতিটি কাঁকড়া ওজনে দ্বি-গুন হয়। তখন এর মূল্য প্রতি মন দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কাঁকড়ার রোগ-বালাই কম তাই কাঁকড়ার ঘের করে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। একই গ্রামের মোঃ কওসার আলী গাজী, রাজ্জাক গাজী, মহাদেব রায়, কৃষ্ণপদ রায়সহ অনেকেই সামর্থ অনুযায়ী কাঁকড়ার চাষ করেছেন এবং কয়েকবার কাঁকড়া পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। রামনগর গ্রামের গোবিন্দ বৈদ্য তার ঘেরের মধ্যে ট্রেতে করে পৃথকভাবে কিছু কাঁকড়া পালন করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেতে পরিক্ষামূলকভাবে কাঁকড়া চাষ করে দেখা গেছে এতে খাবার কম নষ্ট হয় এবং ঘেরে ছেড়ে দেওয়া কাঁকড়ার থেকে ট্রেতে পালিত কাঁকড়া অতি দ্রুত বড় হয়।

কাঁকড়া লবন ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায় তাই যে কেউ ইচ্ছা করলে তার বাড়ীর পুকুর ডোবা এবং জলাশয়ে কাঁকড়ার চাষ করতে পারেন। তবে নদীর পানি সরবরাহ থাকলে সেখানে কাঁকড়া দ্রুত বড় হয়। কাঁকড়া চাষে বেশী জমির প্রয়োজন হয়না প্রতি শতকে ১মন কাঁকড়া চাষ করা যায়। কাঁকড়া চাষ ব্যাপকভাবে হলে সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেমন অধিক রাজস্ব পাবেন তেমনি বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চাষীরা জানান সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপকভাবে কাঁকড়া চাষের অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্যেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেক চাষী কাঁকড়া চাষ করতে পারছেন না। এ খাতে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ সুবিধা ,প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি পেলে কৃষক ও বেকার যুবকরা কাঁকড়া পালন করে যেমন সাবলম্বী হতে পারবেন তেমনি সৃষ্টি হবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পথ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd