এসবিনিউজ ডেস্ক : দেশের আর্থিক খাতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। এক বছরে চুরি হওয়া রিজার্ভের মাত্র ৩৫ ভাগ ফেরত আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফিলিপাইন ও শ্রীলংকায় বেশ কয়েকজন চিহ্নিত হলেও, হ্যাকিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা সহায়তা করেছে সেটি পরিষ্কার করছে না সিআইডি।
অন্তত ১৭ জন কর্মকর্তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তদন্তকারি সংস্থা। যার মধ্যে দুজনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে। যদিও তদন্তের স্বার্থে এ সব বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ, সিআইডি। তবে, কম সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার হতে পারেন নজরদারিতে থাকা কর্মকর্তারা।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, রিজার্ভ চুরি ৬ দিন আগে অর্থাৎ ৩১শে জানুয়ারি রাত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার চলে যায় হ্যাকারদের হাতে। আর পয়লা ফেব্র“য়ারি শ্রীলঙ্কান এনজিও শালিকা ফাউন্ডেশন এবং জয়দেব নামের একজনের সাথে চুক্তি হয় শালিখার হিসাবে বড় অঙ্কের অর্থ ঢুকবে, যার ১৫ ভাগ পাবে তারা।
তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কর্মকর্তার আইডি হ্যাক করে, রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে, তাকেও সন্দেহের বাইরে রাখছে না সিআইডি। অন্তত ১৭ জনকে নজরদারিতে রেখেছে সংস্থাটি। যাদের মধ্যে আরমান আল জাহিদ ও ইশরাত-ই মওলা নামের দুজন সম্প্রতি দেশের বাইরে যেতে চাইলে তাদের ফেরত পাঠানো হয় বিমানবন্দর থেকে।
সিআইডি মুখপাত্র জানান, যেকোন সময়েই সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। শিগগিরই দেয়া হবে চার্জশিটও। গত বছরের ১৫ মার্চ, রিজার্ভ চুরির তদন্তভার পায় সিআইডি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০১৬ সালের ৫ই ফেব্র“য়ারি বিদেশে বসে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা হয় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। যার মধ্যে ২ কোটি ডলারের শ্রীলঙ্কায়, আর ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া পুরো টাকা ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ সব তথ্য।
Leave a Reply