রাজনীতিতে আসছেন সুরঞ্জিতপুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত

এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রত্যাশিতভাবেই রাজনীতিতে আসছেন সদ্য প্রয়াত প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্ত। তার বাবার মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি রাজনীতিতে আসার বিষয়ে এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাবার নির্বাচনী এলাকায় উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। তবে এক্ষেত্রে সবকিছু নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। তিনি বলেন, রাজনীতি করার আগ্রহ রয়েছে আমার। তবে সেটা নির্ভর করছেন আমাদের অবিভাবক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তিনি যদি নির্দেশ দেন তাহলে আমি রাজনীতি করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার (সুরঞ্জিত সেন) পরেই আমাদের অভিভাবক। বাবা যেহেতু এখন আর নেই তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করবো না।

প্রসঙ্গত গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন। জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সুপরিচিত এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪৫ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এমন কী মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৭০-এর নির্বাচনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিবিদ। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে সৌমেন সেনগুপ্ত বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন ও নির্দেশ দেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নেবো। প্রধানমন্ত্রী যদি না চান তাহলে অংশ নেবো না। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তার নির্দেশের বাইরে আমি এবং আমাদের পরিবার কিছু করবে না।

রাজনীতিতে না এলে বাবা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান সৌমেন সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, বাবার নামে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে একটি কলেজ রয়েছে। বর্তমানে এই কলেজটির দায়িত্ব আমি নিয়েছি। এই কলেজের সার্বিক উন্নয়ন করাই হবে আমার কাজ। এর বাইরে কিছু রাস্তা, ব্রিজসহ বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ বাবা অসমাপ্ত রেখে গেছেন। এগুলো আমি শেষ করতে চাই। বাবা জীবনভর মানুষের উপকার করে গেছেন। এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমি চেষ্টা করব বাবার শেষ কাজটুকু করে যেতে।

সৌমেন সেনগুপ্ত পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতি সম্পর্কে রয়েছে স্বচ্ছ ধারণা। ব্যবসায় থেকে রাজনীতিতে আসাটা চ্যালেঞ্জ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি কাজেই চ্যালেঞ্জ আছে। সেটা ব্যবসা কিংবা রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই। তবে রাজনীতি করলে সরাসরি মানুষের কাছে যাওয়া যায়। মানুষের সেবা করার সুযোগ একটু বেশি থাকে। তাই রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের সেবা করতে চাই বাবার মতো।

সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের একমাত্র সন্তান সৌমেন সেনগুপ্ত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ও লেভেল পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের গ্রীন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এ লেভেল সম্পন্ন করেছেন ধানমন্ডির গ্রীনজ্যাম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। কম্পিউটার সায়েন্সে সম্মান কোর্স সম্পন্ন করেন ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে। মাস্টার্স করেন কানাডার ডেল হাউস ইউনিভার্সিটি থেকে। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

 

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *