স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সোমবার যোগদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনে তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছানোর পথে স্বতস্ফূর্তভাবে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। এসময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হওয়ায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য তাৎক্ষণিক বক্তব্যে বলেন প্রথম মেয়াদ শেষে আপনারা যেভাবে ফুলেল শুভেচ্ছায় আমাকে বিদায় জানান আমি যেদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব শেষ করবো সেদিনই ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় নিতে চাই। আপনাদের ভালোবাসাই আমার কাম্য। আসুন আমরা সবাই মিলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাই। আপনাদের কাছে আমি সেই সহযোগিতা চাই। আমি অর্থ-বিত্ত চাই না। আমি চাই সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে যাতে দায়িত্ব পালন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি করতে পারি, দেশের জন্য কাজ করতে পারি। আপনারা দোয়া করবেন যেনো আমার সন্তানেরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। পরে তিনি তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করলে কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদ ও কর্মচারিদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে উপাচার্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য অদম্য বাংলা এবং কটকা স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এসময় ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পরপরই অফিসে ফিরে তিনি দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন। দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিভিন্ন ডিসিপ্লিন বিভাগের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় তিনি স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে আর্ক কেইউ ডিগ্রিশোতে প্রদর্শীত নবীন ৪৫ জন স্থপতির থিসিসভিত্তিক বিভিন্ন স্থাপত্যকর্মের মডেল ঘুরে দেখেন। এ সময় স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবসে তিনি ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেন।
Leave a Reply