খুবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার : বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন মন্দির প্রাঙ্গণে বাণী অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. উৎপল কুমার কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

প্রধান অতিথি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন আমাদের সবার মূখ্য আরধ্য হওয়া উচিত আদর্শ মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে জ্ঞান সাধনা করা। প্রত্যেক ধর্মেই জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এর কারণ মানুষ যখন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয় তখন তাঁর মধ্য থেকে কুসংস্কার দূরীভূত হয়। লেখাপড়ায় নিষ্ঠার বিষয়টি জরুরী। শিক্ষক যদি সৎ হন, দায়িত্বশীল হন, আদর্শবান হন তবে তাঁর শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনি বলেন এখন সমাজ সভ্য হয়েছে, আলোকিত হয়েছে। এখন শিখন ও শিক্ষণ পদ্ধতি পাল্টেছে। আমরা অনেক এগিয়েছি। এখন উভয়মুখি শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈকট্যলাভের সুযোগ ঘটে। তিনি বলেন আমরা দেখতে পাই প্রকৃতির সবকিছুই শৃঙ্খলার সাথে চলে, সবকিছুতেই শৃঙ্খলা আছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলাটা জরুরী। এটার জন্যও আমাদের জ্ঞানার্জন দরকার। তিনি বলেন প্রাচীন গ্রিকে বা সে সময়ে সঙ্গীত ও গণিত চর্চার কথা বলা হয়েছে। এটার সাথে সনাতন হিন্দু ধমের্র কিভাবে যোগসূত্র হয় সে বিষয়টি গবেষণার । তবে সনাতন এ ধর্মে বাণী অর্চনার মূখ্য উদ্দেশ্যই হলো জ্ঞানলাভের প্রয়াসে, সুন্দরের প্রচেষ্টায় ভক্তি নিবেদন করা। এর পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মুদ্রিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। এ অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা, প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস, ডাঃ গৌতম রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যসচিব রূপক সাহা। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সকালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিমা বেদীতে অঞ্জলি প্রদান এবং পূজা শেষে  প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিকে বাণী অর্চনা উপলক্ষে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *