সৌদি আরবের জেদ্দায় পিঠা উৎসব


ফেব্রুয়ারি ৭ ২০১৭

Spread the love

এসবিনিউজ ডেস্ক :  শীতের দিনে শীতের পিঠা আর খেজুরের রস, কে কে খাবি আয় সকলে উনুন পাশে বস । মজার মজার পিঠা খাবো গল্প হবে নবান্নের, পৌষ মাসের এই উৎসবে বাদ থাকবো কি জন্য? খোকা খুকু আয় সকলে দাদু বানায় পিঠা, শীতের রোদে দু’পা মেলে খাবো মণ্ডা পিঠা।

নবান্নের ঘ্রাণে পৌষ পার্বণে পিঠা উৎসবে মাতুক প্রবাসী বাংলাদেশি। জেদ্দার যান্ত্রিক নগরবাসী প্রায় ভুলতে বসেছে বারো মাসের তেরো পার্বণের দেশের সাংস্কৃতির অনন্য ঐতিহ্য পিঠার স্বাদ আর ঐতিহ্যকে। আবহমান গ্রাম বাংলার কুয়াশা ঢাকা শীতে ধোঁয়া ওড়ানো চুলার পাশে মা-চাচি,খালা-মামি আর দাদি-নানির হাতে পিঠা খাওয়ার সুখ সম্প্রীতি প্রবাসীদের কাছে এখন শুধুই সোনালি অতিত, তাই প্রবাসে নুতন প্রজন্মের কাছে এই চিরন্তর ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে গত ০২ ফেব্রুয়ারি জেদ্দার একটি কমুনিটি সেন্টারে জেদ্দার জনপ্রিয় বৈশাখী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করে নবান্ন্য পিঠা উৎসব ।

স্বদেশ জুড়ে চলা নবান্নের ঢেউ এসে লেগেছে প্রবাসীদের জীবনেও। এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জেদ্দা প্রবাসী সমাজের পিঠা উৎসব মানেই পিঠার প্রতিযোগিতা। মনের মাধুরি মিশিয়ে পিঠার নকশা, কারুকাজ, ভিন্নতায় পুরস্কার জিতে নিতে তৎপরতা অনেক ভাবীদের। নকশাদার বাহারি পিঠার সাথে যুক্ত হয় হরেক রকম পিঠা পুলি, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, আনারকলি, এমনি প্রায় ২৫ পদের পিঠা টেবিলে সাজানো বাংলার ঐতিহ্যে ভরপুর বাহারি সব পিঠা দেখে নতুন প্রজন্ম পরিচিত হয় স্বদেশের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সাথে। বিচারকরা সাজানো বাহারী পিঠা দেখে দেখে এবং ছেঁকে ছেঁকে তালিকা করেন বিজয়ীদের। অতঃপর চলে মন খুলে পিঠা-পুলি খাওয়ার ধুম। প্রবাসে নবান্নের পিঠা আয়োজন যেনো স্বদেশের আমেজে অবগাহন।

পিঠা উৎসবের আয়োজক ও পরিচালক সারতাজুল আলম দিপুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শিল্পী মাহফুজুর রহমান। প্রধান অতিথি জেদ্দা কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল ড. নজরুল ইসলাম , এ ছাড়া ও আরও উপস্থিত ছিলেন জেদ্দার সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন্ শ্রেণির পেশার নেতৃবৃন্দ ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি ড. নজরুল ইসলাম বলেন, স্বদেশ-সংস্কৃতি এবং নবান্ন উৎসবের স্মৃতিচারণ করেন এবং বাহারি সব পিঠা-পুলির প্রশংসা করে, নতুন প্রজন্মকে আপন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন পিঠা উৎসবে অংশগ্রহনকারি বিজয়ী প্রতিযোগিনীদের হাতে । পিঠা উৎসবের পাশাপাশি ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন