স্টাফ রিপোর্টার ; শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালকে অনতিবিলম্বে ইন্সিটিউটে পরিণত করা হবে। চলতি বছরের মধ্যে নেয়া হবে ২৫০ শয্যা চালুর উদ্যোগ। করা হবে গবেষণার ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বুধবার দুপুরে খুলনাস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ এবং ২০ শয্যা বিশিষ্ট প¬াস্টিক এন্ড বার্ন ইউনিট এর উদ্বোধন শেষে হাসপাতাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব উদ্যোগের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ হাসপাতালের উন্নয়নে ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এর কাজ অবশ্যই সমাপ্ত করতে হবে। হাসপাতালের উন্নয়নের তাঁর পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার তা করা হবে। হাসপাতালে ১৫টি ডায়াগনস্টিক মেশিন প্রদান এবং দ্রুত চিকিৎসক সংকট দূর করা হবে। তিনি বলেন, শীঘ্রই ডাক্তার ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন করা হবে। এ হাসপাতালকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি রোগীর সাথে একজন স্বজন রাখার পরামর্শ দেন এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপিদের প্রতি তদারকী করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চালু করেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু বিএনপি সরকার তা বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করেছিল। শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী সরকারকে নির্বাচিত করতে কাজ করার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামীর সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা বিএমএ‘র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবুল কাশেম মোঃ সাইদুর রহমান, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, খুলনা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উলে¬খ, এ হাসপাতালে বর্তমানে ১২২টি বেড চালু ছিল। আইসিইউ এবং বার্ন ইউনিটে মোট ৩০টি বেড চালুর ফলে বেডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫২টিতে।
এর আগে সকালে মন্ত্রী খুলনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের ১৩টি জরাজীর্ণ ভবন অপসারণ পূর্বক বহুতল বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণ এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয় নির্মাণের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এসময় উপস্থি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়াম লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল ও খুলনার সিভিল সার্জন এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
পরে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে খুলনা বিভাগের সিভিল সার্জন এবং জেলার টিএইচও, বিএমএ, স্বাচিপ সহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
Leave a Reply