এসবিনিউজ ডেস্ক : মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ৩ চাকার বাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধে ৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়ক এ ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ে ৩ বছর আগে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেয়।
আদালতের ৪ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাগেরহাট, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, খুলনা ও যশোর– এই ১০ জেলায় মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
দেশের অন্যান্য জেলার মহাসড়কেও এসব অনিন্ধিত যানবাহন চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে কতটুকু অগ্রগতি হলো তা জানিয়ে ৬ মাস পর পর হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই ধরনের যান চলাচল করলে সংশ্লিষ্ট মালিক ও চালকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট।
সে সময় ওই ১০ জেলার মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধের অর্ন্তর্বতীকালীন আদেশ দেয়া হয়েছিল।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
মহাসড়কে কম গতির ছোট যানবাহনগুলোকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে সেগুলোর চলাচল বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে বাস মালিক–চালকরা। এরপর আদালতের নির্দেশনা এলেও অটোরিকশা ও নছিমন চালকদের আন্দোলনের মুখে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৫ সালে এক ঈদের ছুটিতে কয়েকটি দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে অটোরিকশা, টেম্পোসহ ৩ চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অটো চালকরা বিক্ষোভ–অবরোধ শুরু করলে কয়েক দিনের মাথায় সরকারের কড়াকড়ি আবার শিথিল হয়ে আসে।
Leave a Reply