এসবিনিউজ ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং নদীর খনন কাজ করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে।
রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত এক সভায় নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলাগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রসারে নদীগুলো খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে কাচা লং, মাইনি, ইছামতি, কর্ণফুলি, চেংনি, মাতামহুরি, সাংগু, ফেনী ও হালদা। এছাড়া আরও কিছু নদী খনন করা হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে এবারই প্রথম কোনো সরকার পার্বত্য জেলা নদী খননের উদ্যোগ নিল। এরফলে ওই এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি তারা ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড় অবদান রাখতে পারবে।
শাজাহান খান বলেন, দেশের অনেক নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছিল, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও খননের কাজ গতিশীল করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার কিনেছে সরকার।
তিনি বলেন, আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে আরও ২০টি ড্রেজার কেনা হবে। এছাড়া বেসরকারিভাবে আরও ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ড্রেজার দিয়ে নদী খননের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির রামগড়, রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার তেগামুখ ও বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। এগুলো নির্মিত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে।
সভায় অন্যন্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কামালউদ্দিন তালুকদার, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply