এসবিনিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের পছন্দমতো সার্চ কমিটি গঠন করে রাষ্ট্রপতি জাতিকে হতাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জিয়া: আজকের বাংলাদেশ’ আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল’ দিবস উপলক্ষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন খালেদা জিয়ার নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আলোচনায় ডেকেছিলেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিলেন, তখন একটু আশার আলো জেগে উঠেছিল। কিন্তু সেই আশা আজ হতাশায় পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন আবার অস্থিতিশীল অবস্থা জনগণের মধ্যে বিরাজ করতে শুরু করেছে’।
‘কারণ, কিছুক্ষণ আগে যে সার্চ কমিটি গঠন করার কথা আমরা জানতে পেরেছি মিডিয়ার মাধ্যমে, সেটি হয়েছে পুরোপুরি আওয়ামী লীগের পছন্দের সার্চ কমিটি’।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সাংবিধানিক পদে থাকা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, কম্পট্রোলার জেনারেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির একজন শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি শিরিন আক্তার আর দু’জন বিচারপতিকে দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে’।
‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার, কম্পট্রোলার জেনারেলকে নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসিকে নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার’।
ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমি শুধু শিরিন আক্তারের কথা বলি, কিছুক্ষণ আগে কি কমেন্টস করেছেন তিনি? তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব আমাকে দেবেন, তা পবিত্র দায়িত্ব মনে করে পালনে সচেষ্ট হবো’।
‘বোঝেন- কী নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে?’- বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতার চরম নিদর্শন রাষ্ট্রপতি আমাদের দেখিয়েছেন। আমরা শুধু হতাশই হইনি, আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। রাষ্ট্রপতিকে আমরা মনে করি, তিনি হচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠান এই রাষ্ট্রের অভিভাবক’।
‘তার কাছে আমরা সব সময় আশা করি, প্রত্যাশা করি, আমরা একটি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত পাবো। দুর্ভাগ্য আমাদের, দুর্ভাগ্য এ জাতির। রাজনৈতিক সংকট থেকে জাতিকে বের করে আনার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সুযোগটিও রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করলেন না’।
‘সুতরাং জাতিকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো’।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সামসুদ্দিন পারভেজ, অধ্যাপক শাহীন ভূঁইয়া, রামকৃষ্ণ সাহা, আহসান হাবীব ইমরোজ প্রমুখ।
Leave a Reply