এসবিনিউজ ডেসবক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের শুভ সূচনা বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
শনিবার ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী এ ফোনালাপ হয়। ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে টেলিফোন করেন উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস জানায়, উভয় নেতা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)’র বিরুদ্ধে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক ফোনালাপ হল। ট্রাম্প শনিবার পুতিন ছাড়াও একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষে ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ একটি ‘তাৎপর্যপূর্ণ সূচনা’।
এই ফোনালাপের পর উভয় পক্ষ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে দুই দেশের প্রেসিডেন্টগণ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বলে হোয়াইট হাউস জানায়।
ফোনালাপকালে পরবর্তী কোনো এক সময়ে মুখোমুখি বৈঠকে বসার ব্যাপারেও ট্রাম্প-পুতিন একমত হয়েছেন। তারা নিয়মিত ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখার বিষয়েও সম্মত হয়েছেন।
এর আগে ক্রেমলিন জানায়, সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নয়নে দুই নেতা একমত হয়েছেন। তাদের আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমনের বিষয়টিও রয়েছে।
ক্রেমলিন আরো জানিয়েছে, দুই নেতা আইএসের বিরুদ্ধে প্রকৃত সমন্বয় গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্য ও আরব-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ইউক্রেন নিয়েও তারা কথা বলেছেন।
আলোচনার বিষয়গুলো:
১. সন্ত্রাসবাদের সাথে লড়াই।
২. মধ্যপ্রাচ্য ও আরব-ইসরাইল সঙ্কট।
৩. কৌশলগত স্থিতিশীলতা ও ইরানের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম।
৪. উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
৫. ইউক্রেন সঙ্কট।
এ দুই নেতাই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন।
Leave a Reply