নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ভাদড়া সীমান্ত এলাকা থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার ভাদড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম মান্নান হোসেন গাজী (২৮)। তিনি সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আজগর আলী গাজীর ছেলে।
র্যাব জানায়, সদর উপজেলার ভাদড়া সীমান্ত এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তি র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এ.এস.পি বজলুর রশিদের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ভাদড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে উপর থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মান্নানকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এ.এস.পি বজলুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Category: সাতক্ষীরা সদর
-

ভাদড়া সীমান্ত থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
-

গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘোনা বাজারে ২ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশ ব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা সদরের ঘোনা বাজারে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (০৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় ঘোনা বাজারে ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা এলজিইডি’র প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার, সদর উজেলা প্রকৌশলী মো. সফিউল আজম প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু ও নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মো. আব্দুল হাকিম প্রমুখ। দেশ ব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে সদরের ঘোনা ইউনিয়নের ঘোনা বাজারে ২ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৫শ’ ১৮ টাকা ব্যয়ে চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘোনা বাজারে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলীয় ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। -
সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৬ জুলাই) বেলা ১১টায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাব’ুর সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর দেবাশীষ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভাগ ওয়ারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম তুলে দলা হয়। এ ছাড়াও সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলার মাসিক রাজস্ব সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাসহ পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শ্যামল, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), আলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুর রউফ, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। -

কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু’র সহায়তা অব্যাহত
নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এ আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগত অর্থ প্রদান করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুুবনেতা সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান, এসএম আশরাফুল ইসলাম, ইব্রাহিম খান বাবু, ঈসমাইল হোসেন প্রমুখ। সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি, বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসহ ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে সাম্যক ধারণা গ্রহণ ও করোনায় কর্মহীন বিভিন্ন পরিবারে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
-

আখড়াখোলা বাজারের আলোচিত মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা বাজারে আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী কসাই আফসারের মাংস বিক্রয়য়ের অনুমতি বাতিলসহ শাস্তির দাবিতে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে স্থানিয় এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিদের যোথ উদ্দেগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে সমাবেশে এলাকার মসজিদের মসুল্লিসহ শতশত সাধারন মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, কসাই আফসার কয়েক বছর যাবৎ মসজিদের পাশে গরুর খামার বানিয়ে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সামান্য বৃষ্ঠি হলেই মসজিদেও পাশেয় বাথরুম, গরুর খামারের মল, মুত্র, পশুর জবাইকৃত রক্ত পানিতে টুইটম্বর হয়ে চরম দূগন্ধ ও অসাস্থকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই জন্য আমরা তাকে অনেকবার বলেছি অন্য বাজারের মত নিয়ম নীতি মেনে পরিছন্ন পরিবেশে মাংশ বেচা কেনা করতে বলেছি কিন্তু সে কোন কিছু মানতে পারবে না। অবশেষে আমরা মসজিদ কমিটির পক্ষ্য থেকে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অবঃ প্রপ্ত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন বাংলাদেশে কোন বাজারে মসজিদের পাশে গরুর খামার বানিয়ে নোংরা পরিবেশে মাংস বিক্রয় করতে দেখা যায় না। অথচ সে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে প্রকাশ্যে বাজারের মসজিদের পাশে নোংরা পরিবেশে মাংস বিক্রয় করছে।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা বলেন, আলোচিত কসাই দীর্ঘ্যদিন যাবৎ রোগা ও অসুস্থ্য গরু রাতারাতি বাড়িতে জবাই করে আকড়াখোলা বাজারে এনে বিক্রয় করছে যা এলাকাবাসী জানে। তাছাড়া পবিত্র ঈদউল ফিতরের দিনে কয়েকজন মুসল্লিদের নিকট পচাঁ ও বাশি মাংস বিক্রয়ের অভিযোগে হাজার হাজার জনতার বিক্ষোবের মুখে সদর থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। যা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার মামলা নং-২৬৯/২০ অথচ এই মামলার আলোচিত কসাই সদ্য আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আগের মতোই আবারও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাজার কমিটির সেক্রটারির নিকট জানতে চাইলে প্রতিবেদককে বলেন, সে কোন নিয়ম নীতি মানে না। সে বাজারের মসজিদের পাশে গরুর খামার বানিয়ে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যাতে করে মসজিদের মুসল্লিদের গরুর রক্ত ও মল মূত্রের গন্ধে অসাস্থ্যকর পরিবেশ গঢ়ে উঠেছে।
এলাবাসিদের দীর্ঘ্যদিনের অভিযোগ, কসাই আফসার মসজিদের পাশে বসে রোগা, মরা গরুর ও ভারতের মাংস এনে বিক্রয় করে। অথচ নির্বাহি অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজে আসেনি। এছাড়া এই কসাই আখড়াখোলা বাজারসহ পার্শ্যবতি কয়েকটি বাজারে ঔ মাংস বিক্রয় করে। তার রয়েছে ১৫ থেকে ২০ সদস্যর একটি সহযোগি দল। কোন কোন সদস্য বর্ডার থেকে মাংস আনে আবার কোন সদস্য মাংস বিভিন্ন বাজারে বিক্রয়ের কাজ করে। আমরা তার বিরুদ্ধে কোন অপকর্মের প্রতিবাদ করতে পারি না। তার আছে বিশাল সত্রাসী বাহিনি। আমরা এলাকাবাসীরা বাজারের মাংস বিক্রয়ের স্থান পরিবর্তনসহ কসাইয়ের মাংস বিক্রয়ের অনুমতি বাতিলের ও শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কমনা করছি। -
ঝাউডাঙ্গা বাজারের জায়গা জবরদখল: রাতের আঁধারে পাকাঘর নির্মাণে ব্যর্থ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের জায়গা রাতের আঁধারে দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ রুখে দিয়েছে বাজার কমিটি ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সন্ধার পরে ঝাউডাঙ্গা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও পাথরঘাটা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আমান বাজারের নদীর ধারে জায়গা দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন। এসময় স্থানীয় ভূমি অফিসের সহকারী ইয়াসমিন সুলতানা খবর পেয়ে বাজারে গিয়ে সরকারি জায়গা দখল ও ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেন তিনি। নিষেধ অমান্য করে দখল ও ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন কাপড় ব্যবসায়ী আমান।
পরবর্তীতে ভূমি অফিসের সহকারী, বাজার কমিটি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজারের জবরদখল কৃত জায়গায় ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করেদেয়। পাকাঘর নির্মাণ বন্ধ হলেও গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে বাজারের ওই জায়গা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ঝাউডাঙ্গা বাজারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, বাজারের জমি জবরদখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন শুভেচ্ছা বস্ত্রলয়ের মালিক আমান হোসেন। তিনি রাতেরবেলা হঠাৎ করে ইট,বালু,খোয়া নিয়ে ২৫-৩০ জন শ্রমিক দিয়ে জায়গা দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছিলেন। আমি খবর পেয়ে বাজারে গিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করেদিয়েছি। ডিসিআর বা সরকারি বরাদ্দ না নিয়ে ওই জায়গার দখলের চেষ্টা করছে আমান। সেখান থেকে ইট,বালু সরালেও টিন আর কাঠদিয়ে ঘিরে রেখেছে ওই জায়গা। এব্যাপারে বাজার কমিটির নিয়মে ব্যাবস্থা নাওয়া হবে। সরকারের নির্দেশনা ছাড়া কেউ বাজারের জায়গা জবরদখল দখল করতে পারবেনা।
এব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আমান হোসেন বাজারের জায়গা জবরদখলের অভিযোগ অশিকার করে বলেন,ওই জায়গা ৭-৮ বছর আগে আমি আমার চাচা তোয়েব হোসেনের কাছথেকে কিনেছি। সেখানে টিন ও কাঠদিয়ে ঘর করে ভাড়া দিয়েছি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করছিলাম। কিন্তু তার চাচা তোয়েব হোসেন বাজারের এই জায়গা সরকারের কাছথেকে বরাদ্দ নিয়েছেন কিনা তা জানেনা আমান হোসেন।
-

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসী মানুষের মাঝে ঘর নির্মাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসী মানুষের মাঝে ঘর নির্মাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিট। রোববার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের ১১২টি পরিবারের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল হক, নির্বাহী সদস্য শেখ হারুন-উর-রশিদ ও জোৎস্মা আরা, উপপরিচালক হায়দার আলী, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, যুব রেড ক্রিসেন্টের আশিক মনোয়ার, কামরুল ইসলাম, মিলন হোসেন. শেখ মুছা কাজিম, মনোয়ার হোসেন, মেহরাব হোসেন অপি, মুনতাছিম বিল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ট্রিপল, জারিকেন, স্যানিটাইজার, হাইজিন কিটস, শেল্টার ফিল্টারসহ ঘর নির্মাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। -

সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে লাবসা ব্লকের নলকুড়া মাঠে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, আধুনিক প্রযুক্তর মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. শামিউর রহমান, লাবসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু, উপসহকারি কৃষি অফিসার অমল ব্যানার্জী, উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. আনিছুর রহমান, উপসহকারি কৃষি অফিসার আব্দুস সাত্তার ও ব্লকের কৃষক মো. আরিজুল ইসলাম প্রমুখ। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবসে ৫০ জন কৃষক ও কৃষাণী অংশ নেয়। -

সাতক্ষীরায় উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ঋণের চেক বিতরণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ঋণের চেক বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা সমবায় অফিস চত্ত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এ চেক বিতরণ করেন।
জেলা সমবায় কর্মকর্তা খোন্দকার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা খান তৈয়েবুর রহমান, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবু সায়ীদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হারুন-উর-রশিদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৫০জনের মাঝে ৬০ লক্ষ টাকার ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। -

যৌতুক দিতে না পারায় স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন কতৃক স্ত্রীকে মারপিট করে ফিনিস পাউডার খাইয়ে হত্যার চেষ্টা !
স্টাফ রিপোটার : যৌতুকের দাবীতে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোক জন কর্তৃক পুরাতন সাতক্ষীরার শেখ মোহাম্মাদ আলীর ছোট কন্যা মরিয়ম সুলতানা মিতুকে মারপিটের পর গালে ফিনিস পাউডার (বিষ) ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের স্বীকার মিতুর বাবা মোহাম্মদ আলী জানান, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে এসে আমার একমাত্র কন্যা মিতুকে পছন্দ করে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের হাকিম মল্লিকের পুত্র শাহাবুদ্দিন সুমন। দুই জনের পছন্দ হওয়ায় উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে বিগত ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। সে সময় সুমন ঢাকা এক্সচেঞ্জ অফিসে চাকুরি করতো। বিবাহের সময় যৌতুকের দাবি মেটাতে জামাতা সুমনকে ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় মটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য। তারপরও সে আমার কন্যার উপর চাপপ্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম আদায় করেছে। এতে সে ক্ষ্যন্ত হয়নি সম্প্রতি আমার জামাতা সুমন চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে এসে ব্যবসার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ব্যবসা করতে পুঁিজ লাগবে, আর পুুঁজির যোগান দিতে আবারো আমার কন্যার উপর চাপপ্রয়োগ করতে থাকে জামাতা সুমন। সে আমার কন্যাকে বলে তোমার পিতার জমি বিক্রয় করে ১০লক্ষ টাকা এনে দাও। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় জামাতা আমার কন্যাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ২ জুন আমার কন্যা মোবাইলে জানায়, আমাকে জীবিত দেখতে হলে এক্ষুনি চলে আসো। কন্যা মিতুর বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, টাকা না দেওয়ায় তার স্বামী সুমন, তার যৌতুক লোভী শ্বশুর হাকিম মল্লিক, মাহিমা খাতুন মারপিট করে আমার কন্যাকে হত্যার জন্য জোরপূর্বক ফিনিস পাউডার খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আমার কন্যা খেতে না চাইলে লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় আমার কন্যা ওই পাউডার খেতে বাধ্য হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌছে কন্যাকে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে তাকে ওয়াশ করে ফেলে রাখা হলে আমরা তাকে নিয়ে সাতক্ষীরায় চলে আসি। সাতক্ষীরায় উন্নত চিকিৎসার পরে আমার কন্যা জীবনে রক্ষা পেলেও গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় রয়েছে। একা একা হাটা চলা করতে পারে না। অথচ ওই যৌতুক লোভীরা একটি বারও তার কোন খবর নেই নি। তিনি ওই যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য তার স্বামী সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ না করায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। -

সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে স্বাস্থ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে স্বাস্থ সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণকার্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। প্রধান অতিথি হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সফিউল আজম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মারুফ তানভীর হুসাইন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স ও জিয়াউর বিন সেলিম যাদু প্রমুখ।
করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে স্বাস্থ সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণকার্য নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। সদর উপজেলার ১ হাজার মানুষকে ৫শত টাকা হারে ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হবে। এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -
আম্পানাঘাতে সদরের ডিবি গার্লস হাইস্কুলের কক্ষ লন্ডভন্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে উড়ে গেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ডিবি গার্লস হাইস্কুলের একটি দুটি কক্ষের টিনের চাল। নতুন ভবণ নির্মাণের কারণে এ দুটি কক্ষেই বসতো শিক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ভবণটি নির্মাণাধীন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভবণটির টিনের চালে আঘাত হানে ২০ মে রাতে। সেই আঘাতে টিনের চাল তো উড়েছে, সেই সাথে ভেঙেছে চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. এমাদুল ইসলাম দুলু জানান, নতুন ভবণ নির্মাণাধীন। টিনের চাল দিয়ে দুটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া হতো। ঝড়ে সেই কক্ষ দুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে টিন ও আসবাবপত্র মিলে প্রায় লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্থ ভবণটির সংস্কারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-

শাঁখরা কোমরপুরে দেড় কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শণ করলেন এমপি রবি
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সুপার সাইক্লোন আম্পান’র তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের শাঁখরা কোমরপুরে প্রায় দেড় কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্যাম বিষয়ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। মঙ্গলবার (২৬ মে) ঈদুল ফিতর’র পরের দিন সকালে ভোমরা ইউনিয়নের শাঁখরা কোমরপুরে প্রায় দেড় কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পায়ে হেটে পরিদর্শণ করেন এবং ঐ এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের আশ^াস দেন এবং ঐ এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিমসহ দলীয় ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। -

সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে লাবসা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় প্রলংকারী ঘুর্ণিঝড় আম্ফান এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মে) বিকাল সাড়ে ০৪টায় সাতক্ষীরা সদরের ১৩নং লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. শেখ মুস্তাফিজুর রহমান শানেওয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন। এসময় কৈখালী এলাকায় ২০টি পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রহমত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহাসিনুল হাবিব মিন্টু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিয়াম উদ্দিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল। -

সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালকের ৩শ’ পরিবারের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় করোনা প্রাদূর্ভাবের মধ্যে কর্মহীন অসহায় মানুষের সাথে পবিত্র ঈদের খুশি ভাগা ভাগি করে নিতে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করেছে সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক, জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা রাইচ মিল মালিক সসিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু। রবিবার (১৭ মে) বেলা ১১টায় শহরের এবি ব্যাংক সংলগ্ন তার নিজস্ব অফিসে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনার প্রভাবে অসহায় ৩০০ পরিবার কে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষ মো. মশিউর রহমান বাবু’র দেওয়া খাদ্য সামগ্রী তারা বেজায় খুশি। খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সবাই মশিউর রহমান বাবু’র জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন। তার মত সমাজের বিত্তবানদেরকেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার আহবান জানিয়েছে এবং তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাতক্ষীরার সচেতন মহল। -

সাতক্ষীরায় এক্টিভিস্তার উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
সাতক্ষীরায় এক্টিভিস্তার উদ্যোগে ৯০ পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১৭ মে) বিকাল ৩ টা কাটিয়া টাউন বাজার সংলগ্ন হেড সংস্থার অফিসে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেড এর নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাইন। তিনি বলেন, মহামারি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে শ্রমিক-কর্মচারী বা অন্যান্য কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও হেড এর বাস্তবায়নে বল্লী, নগরঘাটা, লাবসা, বক্ষ্ররাজপুর ইউনিয়ন ও সাতক্ষীরা পৌরসভার দুঃস্থ ও অসহায় ৯০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি আমরা।
হেড এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শামিমুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওয়ার্কাস গিল্ড সাতক্ষীরার সভাপতি জামাল আহমেদ বাদল, এক্টিভিস্তা সাতক্ষীরার যুব সদস্য শরিফুল ইসলাম ও জাহিদুর রহমান বাঁধন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। -

এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
করোনার প্রদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া হত-দরিদ্র এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের রসুলপুর টিভি টাওয়ারের পাশে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন নিরাপদ সড়ক চাই সাতক্ষীরা শাখার সহ-সভাপতি সমাজ সেবক আবিদুল হক মুন্না ।
সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবক সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, গোলাম রসূল, মহাসিন আলী, আব্দুল গফফার, আব্দুর রশিদ, আব্দুর রাজ্জাক, সাহাজান আলী প্রমূখ।
এ সময় সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার এবং সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানানো হয়। -
সাতক্ষীরার বৈকারীর মৃগীডাঙ্গা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির শালিসি বৈঠকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী ইউনিয়নের মৃগীডাঙ্গা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শালিসি বৈঠকে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ১০/০৫/২০২০ তারিখে পেনাল কোডের ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬/১১৪ ধারায় মামলা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদরের মৃগীডাঙ্গা গ্রামের মো. ইউনুস আলীর ছেলে মো. আফজাল হোসেন (২৫) বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, সদরের বৈকারী ইউনিয়নের মৃগীডাঙ্গা গ্রামে গত ইং-০৮/০৫/২০ রাত অনুমান ০৭.৩০ মিনিটে জমি জমার বিরোধ মিমাংসা চলাকালীন সময়ে বৈকারী ইউনিয়নের ইউপি মেম্বর আলী হোসেন, এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও বৈকারী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশদের সামনেই কথা বার্তার এক পর্যায়ে সালিশের মাঝখানে বিবাদী মৃগীডাঙ্গা গ্রামের মোজাহার মোল্যার ছেলে ১নং আসামী এরাদার রহমান (৫৫) ও ২নং আসামী এজদান আলী (৫০), মৃত আলাউদ্দীন মোল্যার ছেলে ৩নং আসামী মোখলেছুর (৪২) ও ৪নং আসামী সালাউদ্দীন (৩৭), রইচ উদ্দীন’র ছেলে ৫নং আসামী আলামিন (৩০) ও ৬নং আসামী ওসমান (২২) ও ৭নং আলী হোসেন (৪৫) পিতা অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ক্লবসিকল গেটে তালা মেরে বাদী পক্ষের উপর লোহার রড, বাঁশের লাঠি, চেয়ার ও ইট নিয়ে হামলা করে। সেই হামলার ঘটনায় এজাহার নামীয় ১নং আসামী এরাদার রহমান বাদী আফজাল হোসেনের ভাই পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় বাড়ি মারে এবং ২নং আসামী এজদান আলী বাদী আফজাল হোসেনকে খুন করার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং গলা টিপে ধরে। ৩নং আসামী মোখলেছুর লাঠি দিয়ে বাদী আফজাল হোসেনের বৃদ্ধ মাকে আঘাত করে পরনের কাপড় চোপর ছিড়ে তাকে লোকজনের সামনে আসামীরা শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং ৪,৫,৬ ও ৭নং আসামীরা বাদী আফজাল হোসেনের বাড়ির লোকজনদেরকে মারপিট করে এবং বার আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় আফজাল হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সদর থানায় ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। একই ঘটনায় বিবাদীরা মামলাটিকে ভিন্নখাতে নিতে এবং মামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে বাদী আফজাল হোসেনের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান উভয় পক্ষ মামলা করেছে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।