Blog

  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য রসুলপুর খাঁ বাড়িতে ঈক্ষণ’র নজরুল অনুষ্ঠান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য রসুলপুর খাঁ বাড়িতে নজরুল অনুষ্ঠান হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান তাঁর আত্মজীবনী ‘জীবনের জলছবি’ গ্রন্থে লিখেছেন- ‘মওলানা আকরম খাঁর সঙ্গে যোগসূত্রের কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সঙ্গীত সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিকদের অনেকেই রসুলপুর গ্রামে এসেছিলেন। ফলে রসুলপুর আরও আলোকিত হওয়ার সুযোগ পায়। সেই সূত্র ধরে অগ্রসর হয়ে জানা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম রসুলপুর খাঁ বাড়িতে এসেছিলেন। এই স্মৃতিকে উজ্জীবিত করতে ঈক্ষণ সংসদের নজরুল অনুষ্ঠানের আয়োজন। ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি পলটু বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান যখন বলেছেন তখন এটাকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদ যে শুরুটা করল তাকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমাদের, গবেষকদের সকলের। এটা এ এলাকার মানুষের জন্য একটি ভাল খবর। আমরা এই ঐতিহাসিক একটি ঘটনার অংশীদার হলাম।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, খুলনা বি এল কলেজের অধ্যাপক(অব:) আব্দুল মান্নান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. রুবেল আনছার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন খাঁ বাড়ির পক্ষ থেকে আলীমুজ্জামান খান টালু। তিনি কবির আগমনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন এবং ঈক্ষণ সংস্কৃতিক সংসদের এই অনুসন্ধানি উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানান। একই সাথে দেশ ও সমাজে রসুলপুর খাঁ বাড়ির আলোকিত অংশগ্রহণের বর্ণনা উপস্থাপন করেন। কবির আগমনের পর এই প্রায় একশত বছর পর ঈক্ষণই প্রথম এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করল। বক্তারা ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের এই আয়োজনকে এক ঐতিহাসিক উদ্ঘাটন হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এটি সাতক্ষীরাবাসী তথা দক্ষিণ বাংলার মানুষের জন্য এক আনন্দময় মুহূর্ত।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঈক্ষণ সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসুদুল হক। আলোচনা সভা শেষে নজরুল সংগীত পরিবেশন ও কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন করবী, শ্রেয়াণসহ বিভিন্ন শিল্পীরা।

  • পূর্ণজ্ঞান সূত্র

    পূর্ণজ্ঞান সূত্র

    চিরকাল মনে করি একটি আকাশ আমাদের আছে
    অতি দূরে নয় , অতি কাছেও নয়, অস্তিত্ব রয়েছে
    বহুকাল আকাশ দেখা হয় নি, অনেকের দেখা হয় নি
    আমি গরমের রাতে চিৎ হয়ে ছাদে শুয়ে আকাশ দেখে
    খুব বোকা হয়ে ভাবি, এতো তারা ভরা আকাশটা নিজের
    তবু আমি ক্যানো প্রতি রাতে নিয়ম করে আকাশ দেখি না
    ভাবলেই অবাক হয়ে ভাবি, গত রাতেও আকাশে নক্ষত্র ছিলো
    কেউ দেখেছিলো, কেউ কেউ উঠোনে মাদুর পেতে
    একসাথে আকাশ দেখে অনেক নক্ষত্রের নাম বলে পুরুষের বুকে
    মেয়েটি আকাশ এঁকে অনেক নক্ষত্র বসিয়ে মুখ ঘষে বলেছিলো, তুমি আমার আকাশ হবে?
    এ ভাবে কেউ কেউ কোনো কোনো রাতে কারো কারো আকাশ হয়ে যেতে পারে
    লাভ ক্ষতি কিছু নেই, আমিও পাহাড়ে উঠে এক রাতে
    ওই একটাই আকাশ একই লম্ব ও কৌণিক দূরত্বে দেখে এ কথা ভেবেছি
    আকাশ থেকে মানুষের সরল দৃষ্টির দূরত্ব একই সমান থাকে।
    তারাগুলি একই ভাবে সবখানে একই দূরত্বে আলো দেয়
    আমি যতো উপরে গিয়েছি, আকাশ আমার কাছ থেকে সমান দূরে চলে গেছে
    সারস পাখি দেখেছি অনেক, সিন্ধুসারস কোথা থাকে
    অথবা আমাদের বিলের সারসগুলি কোথায় বাস করে
    দেখি নি কখনো, পথের মানুষের বাড়ি কোনখানে কে ভাবে এতোটা ?
    এসব নিয়ে চিন্তা করার মানুষ আলাদা,
    ভাবনা ক্ষনেক হলেও চিন্তার পথ, অনেক চিন্তা করে চলে
    অবিরত চিন্তাগুলি সামনে গিয়ে বাঁক বদলাতে পারে
    আমিও হয়তো চিন্তা করি কিছুটা সময়, ভালোবাসি
    কিছুটা সময়, কাজ করি কিছুটা সময়, ঘুমের ভেতরে স্বপ্ন দেখি কিছুটা সময়
    সব মিলে একাকার একটা জীবন সারসের বাড়ি না চিনে মরে যেতে পারে
    অপূর্ণতা চিরকাল পূর্ণতা পাবার আশা করে কি করে না
    এ কথাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না,
    খন্ডে খন্ডে মানুষের সব কিছু একটি এককে নিলে মনে হয়
    সকল অভিজ্ঞতা সেলাই করে একটি একক পূর্ণতা পায়
    অথচ ভালো করে ভেবে নিলে অপূর্ণতাই পূর্ণ জ্ঞান মনে হয়।

  • ম্যাজিক মেডেল

    মাহফুজা নামটির প্রতি কি যেন এক সান্ধ্যকালীন ছাতিম সন্ধ্যার দরদ আজীবন চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে। শুধু আদর কেন? যখন কবিতার লাইন হয়ে ওঠে মাহফুজার প্রেম ও বন্দনার একমাত্র শব্দ তখন অন্য এক আবহ তৈরি হয় আজীবন।

    ‘মাহফুজা তোমার শরীর আমার তসবির দানা
    আমি নেড়েচেড়ে দেখি আর আমার এবাদত হয়ে যায়।’
    কিন্তু আজ হঠাৎ মাহফুজা নামের ওপর আরশ হতে কি এক লানত বর্ষিত হতে থাকে! অথচ মাহফুজা যখন এসএ ফেডারেশনের প্রশিক্ষণে ঢুকছিল তখনও ওর মন ছিল চনমনে। শরীর ছিল ঝরঝরে। ও সকালে ঘড়ি ধরে এক ঘন্টা ঘাম ঝরিয়ে হেঁটেছে আজ। যদিও অন্যদিন ঘরোয়া প্রশিক্ষণের সময় সকালে আলাদা করে হাঁটতে বের হয় না। কিন্তু এখন ওর ছিল বাড়তি মনোযোগ। যে করেই হোক ওকে ডিঙোতে হবে বাঁধার প্রাচির!
    অনুশীলনের পুরো সময়টা জুড়েই ছিল আলাদা রকম কারসাজি। মনের ওপর চাপবিহীন ভার মুক্ত অবস্থায় ও অনুশীলন করেছে এবং সর্বক্ষেত্রেই ও হায়েষ্ট স্কোর নিয়ে প্রশিক্ষকদের হাসিমুখের জবাবে প্রতিবারই হাসিমুখ দেখাতে পেরেছে। ও প্রায় সিওর। অলিম্পিকে যাচ্ছে অভয়কন্যা মাহফুজা।
    কিন্তু শেষ মূহুর্তের কানাঘুষাÑ ‘মাহফুজা বুড়িয়ে গেছে’! ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ওর বাঁধহীন চক্ষু মাধবকুন্ড জলপ্রপাত আনে। ছলাৎ ছলাৎ গড়িয়ে পড়ে অভিমানের- কষ্টের- লজ্জ্বার- অশ্রু। ওর চিরচেনা কবিতার লাইনগুলো কুকড়ে যায়!
    ওর খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ও এ কথাও জানে, কান্না করবার মত বিশ^স্ত একটি কাঁধ লাগে। যেটি এই মূহুর্তে ওর কাছে নেই। তবে ওর ইদানীং কান্নার জন্য কাঁধ লাগে না। আর কান্নার মাধ্যমে সে নিঃস্ব হয় না। বরং শক্তিশালী হয়। শক্তি সঞ্চয় করে। ইদানিং কান্নার জন্য ধাতব পদার্থই যথেষ্ট। রক্তমাংসের কাঁধের যে বড় অভাব! তাই ধাতব পদার্থের তৈরি মেডেলটা ধরেই তার কান্নার আয়োজন শুরু হয়। শেষ হয়। মেডেলের কথা মনে আসতেই ওর চোখে হাজার ঝরনা সিরিয়াল দেয়। হাজির হয়। ১৯৯৯ সালে পাওয়া শিশু একাডেমীর প্রতিযোগিতায় জীবনের প্রথম বড় মেডেল। এটি শুধু সোনার একটি ধাতব মেডেলই ছিল না। বরং সেটি ছিল ওর জীবনের মোড় ঘোরানোর ম্যাজিক মেডেল। লড়াই করা শিখতে পারার মেডেল। যুদ্ধ যুদ্ধ জীবনের মধ্যে ঢুকে পড়ার মেডেল। যুদ্ধে জয়ী হবার মেডেল। সব মিলিয়ে জীবনটার প্লাটফ্রম চেঞ্জ করার মেডেল। সেটি ধরে সে তার কান্নার শখ মেটাতো। কান্নার দুঃখ ঘোঁচাতো। কান্নার তৈজস আঞ্জাম দিতো। সে মেডলটির কথা মনে হতেই আবার মাহফুজার চোখে বাণ ডাকে। শত চেষ্টাতেও জীবনের প্রথম পাওয়া মেডেলটি ও আর ফিরে পাবে না। কারণ তার মা করিমুন্নেসা বাধ্য হয়ে মেডেলটি বিক্রি করে দিয়েছেন। বাবা আলী আহমেদ গাজী অসুস্থ হয়ে খুলনার হাসপাতালে জীবন মৃত্যূর সন্ধিক্ষণে পড়ে ছিলেন দীর্ঘদিন। বাবার চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে যেয়ে মা হিমসিম খেয়েছেন। অবশেষে বাধ্য হয়েই মেয়ের জেতা জীবনের প্রথম পথ প্রদর্শক পরশ পাথর হীরক খ-ের ওজ্জ্বল্যে বিচ্ছুরিত সোনার মেডেলটি বিক্রি করে দিয়েছেন।
    খবরটি প্রথম শুনে মাহফুজা বাকরুদ্ধ হয়ে অনেক কান্না কাটি করে। পরে সে এক সময় টের পায় যদি মায়ের কাছে তখন তার বিশেষ কারো দেয়া কোন লকেটও থাকতো কিংবা ছবির ফ্রেম। সেটিও বেঁচতে মায়ের কুণ্ঠা হতো না। কারণ সবকিছু ছাড়িয়ে বাবার সুস্থতা ছিল মায়ের কাছে সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত। সে জানে জীবন সব কিছুকেই হার মানিয়ে ছুটে চলে তারই নির্ধারিত গন্তব্যে। জীবন সাহিত্যকেও হার মানায়। ও কয়েকদিন আগে একজন বিখ্যাত লেখকের একটি উপন্যাস পড়ছিলো। সেখানে ও দেখেছিল নায়িকার মা কিভাবে তার অভাবের সংসারে তার প্রথম প্রেমিকের দেয়া সোনার ছবির ফ্রেমটি অবলীলায় পানির দরে বিক্রি করে তার সন্তানের চিকিৎসা করেছিল। যখন মাহফুজা উপন্যাসটি পড়ছিলো, তখন তার মধ্যে এক ধরনের ক্ষরণ হচ্ছিল। জীবন কি এতটা নিষ্ঠুর!
    কিন্তু বাস্তব জীবনে যখন ওর নিজের মেডেলটি বিক্রি হবার কথা শুনলো ততক্ষণে ও বেশ খানিকটা ধাতস্থ হয়েছে, নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে। ওর দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব করেছে ওর পঠিত উপন্যাস। ওর পঠিত উপন্যাসের সাথে আগেই ভাগ করে নিয়েছিল ওর বোধের গভীরতা। তাই উপন্যাসটি পড়ে তখন ওর যতটা কষ্ট হয়েছিল, তার মেডেল বিক্রির দুঃখের ভার ততটা হয় নি। ও আগেই যেহেতু উপন্যাস পড়াকালীন সময়ে সেটি পেয়েছিল তাই সহজেই মেডেল হারানোর দুঃখ নিজে নিজে সামলে নেয়। কারণ জীবনের অপর পৃষ্ঠা- অন্য রূপের নামই তো সাহিত্য!
    তাছাড়া চিকিৎসা বলে কথা! বাবা না থাকলে কি কখনো কোনদিন ওর পক্ষে এখানে আসা সম্ভব ছিল। ও বাবার অসুস্থতা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়ে। বাবার চেয়ে কি মেডেলের গুরুত্ব তার কাছে বেশি! বাবা যদি সুস্থ হয়ে ওঠে তো সে আবার এ রকম সোনার মেডেল দেশ বিদেশ থেকে বহুবার বহুভাবে অর্জন করতে পারবে।
    মেডেলের কথা মনে আসতেই আবারও ওর বর্তমান ছিটকে পড়ে শৈশবের ঝিনুক মুঠোয়। সেখানে বহুবর্ণিল সংগ্রাম আর কষ্টের ঝিলিকে নিজেকে আবার ঝলসে নেয়। ওর জন্ম হয়েছিল যশোরের অভয়নগরের এক কৃষক পরিবারে। বাবা একজন সামান্য বর্গাচাষী। মা বাবা, পাঁচটি ছেলেমেয়েসহ নিজেরা দুজন। মোট নয়জনের সংসার চালাতে বাবা সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। সেখানে বড় মেয়ে মাহফুজা হতে চায় সাঁতারু। গ্রামবাসীর চোখে যা গরিবের ঘোড়া রোগ। আহলাদ!
    যেখানে আজীবন মেয়েরা গোসল সারে পর্দার ঘেরাটোপে। সেখানে এই মেয়েটা আঁটসাঁট হাফ- প্যান্ট, গেঞ্জি পড়ে হদ্দমদ্দ হয়ে সাঁতার কাটে পুকুরে। সারা গ্রাম রাষ্ট্র হয়ে গেল। মেয়ে কোথায় যায়, না যায়। ছেলেদের মত ছোট করে চুল ছাটে। বুক উঁচু করে হাঁটে। হাতের পেশি ছেলেদের মতো, পায়ের মাসল ছেলেদের মতো, বুকের গভীরে ছেলেদের রেখা! বলে কি- এই মেয়েকে কে বিয়ে করবে?
    সেটাই মাহফুজার কাছে শিকল ভাঙার গান! সামাজিক বঞ্চনা আর দারিদ্রের মহাসাগর পাড়ি দিয়ে তাঁকে হতে হবে সাঁতারু। সাঁতারের মধ্যেই সে খুঁজে পায় প্রাণ। খুঁজে পায় জীবনের ঘ্রাণ! এর জন্য অভয়নগর থেকে প্রতিদিন আঠার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নওয়াপাড়া শহরে এসে শুরু হলো নতুন অভিযান। শুরুটা ছিল লুকোচুরি করেই। খেলাধুলা- সাতারের পোশাক ট্রাউজার- টি শার্ট গায়ে জড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর কোন উপায় নেই। তাই সাধারণ পোশাক পরেই চলতে থাকলো অভয়নগর টু নওয়াপাড়া সাঁতার অভিযান। তবুও কি থেমে থাকে গ্রামের মানুষের কটু কথার অমানিশা?
    মেয়ে কোথায় যায় রোজ ব্যাগ ঘাড়ে করে? খোঁজ খবর রাখো না কি, শিলার বাপ?
    শিলা মাহফুজার ডাক নাম। বাবা মা তাকে আদর করে শিলা নামেই ডাকে।
    হ, জানি তো। মেয়ে আমার সাঁতার শিখে।
    ও বাবা! সে ডলফিন নাকি? সারাদিন পানিতে ভিজে থাকে? এই গ্রামের মেয়ে হয়ে অর্ধ উলঙ্গ সেজে সাঁতার শিখবে? এ রকম চলতে পারে না। মেয়েকে ঠেকাও। এ রকম বেপরোয়া চলতে থাকলে তোমার মেয়েকে তো বিয়ে দিতে পারবা না। সমাজ নষ্ট হবে। কে বিয়ে করবে তোমার ঐ পুরুষালি মেয়েকে?
    মেয়ে আমার এখনো ছোট। এখনি ওর বিয়ের কথার কি হলো?
    কি কথা বলো মুখে মুখে শিলার বাপ? মেয়ে এখন ছোট তা বড় কি হবে না? তাকে কি বুড়ি বানাতে চাও?
    মেয়ের আমার সাঁতার শেখার ইচ্ছে। সবার তো সব রকম ইচ্ছা থাকে না। তাছাড়া…
    গ্রামের নানা জনের নানান কথা- প্রশ্নের মধ্যে আলী আহমেদ গাজী খেঁই হারিয়ে ফেলেন।
    নানান কথার মাঝেই তার মনে হয় নিজের জীবনের কথা। শৈশবে সেও ভাল হা-ড-ুডু খেলতো। তারও ইচ্ছে ছিল দিগি¦জয়ী খেলোয়াড় হবার। কিন্তু কঠিন জীবন তাকে তার স্বপ্নের দুয়ার খুলতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তো সে তার লড়াকু মেয়েটার দু’চোখের স্বপ্ন পড়তে পারে। স্বপ্নের মাঠে হেঁটে বেড়ায়। পূর্ণতা দিতে চায়। সে বুঝতে চায়, যে কোন মূল্যে তার লড়াকু মেয়ের স্বপ্নের দরজায় পৌঁছে দেবার দায়িত্ব তার। তাই তো সে গ্রামের মুরব্বীদের অকারণ নানা প্রশ্নের জবাব দেয়, আবার দেয়ও না। এ কান দিয়ে শোনে আর ও কান দিয়ে বের করে দেয়। খুঁজতে থাকে অন্য পথ। এ ভাবে বাড়ি থেকে আসা যাওয়া সম্ভব নয়।
    তাই তো ওর জন্মদাত্রী মা- বাবা বেঁচে থাকতেও ওর আশ্রয় হলো এতিমখানায়। বেচে বর্তে থাকা মা বাবাকে ছেড়ে জায়গা করে নিতে হলো অনাথ আশ্রমে। ও নিজের কাছেই নিজে কৈফিয়ত দেয়। স্বপ্ন পূরণের জন্য মানুষ কত ত্যাগই তো করে। যে নারী অন্দরমহল ছেড়ে পথে নামে, সেই জানে তাকে ঠিক কতটা বাঁধন ছিড়তে হয়! আর এ তো মাত্র বাবা মা থাকতেও অনাথ আশ্রমে জায়গা পাওয়া! কে দেবে তাকে এইখানে থাকা খাওয়ার খরচ। কে দেবে তাকে নিরাপত্তার চাদর। কারণ এ সমাজ পারতপক্ষে কাউকে নিরাপত্তা দেয় না। খুবলে খায়। এক মূহুর্ত সময় পেলে খুবলে খায়। এই তো মাত্র সেদিন। মেধাবী এম. এ পাশ রুপা। মেধাবী রুপা। ঢাকায় একটি এনজিওতে চাকরিরত রুপা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বাসের মধ্যেই খুন হয়। রুপা নামের মেধাবী, শিক্ষিত নারী শরীরটি চলন্ত বাসেও অরক্ষিত হয়ে খুন হয়েছে। শুধু কি খুন! তার আগে তাকে ধর্ষণ করেছে হেলপার, কনডাকটর, ড্রাইভার। তখনও কিন্তু সে বাঁচার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছিল। চেষ্টা করেছিল। তার কাছে থাকা দামী মোবাইল ফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিল। হাতে পায়ে ধরেছিল। (এই কথাগুলো পরে আসামীরা নিজেরাই আদালতে স্বীকার করেছে।) কিন্তু তারা তা শুনবে কেন? এই তো আমাদের সমাজ। মাহফুজা ভাবে আর নিজেকে প্রবোধ দেয়। কেঁদো না, মাহফুজা! বেঁচে যে আছো এর জন্য শুকরিয়া আদায় করো। এই সমাজ যে অন্তত তোমাকে বেঁচে থাকতে দিচ্ছে! তুমি তো মানুষ নও। জীবন্ত ডলফিন! যে পানিতে উপুড় হয়ে বাঁচতে চায়! জীবন চায়!
    তো এত ত্যাগ, এত সংগ্রাম বৃথা যাবার নয়। সাফল্য ধরা দেয় জালে মাছ আটকে পড়বার মতো আনন্দে। ঢাকায় ১৯৯৯ সালে শিশু একাডেমী আয়োজিত আন্তজেলা মহিলা সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হলেন মাহফুজা। জয় করলেন সোনার মেডেল। বয়স তখন মাত্র নয় বছর। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার কারণেই তাকে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) সাঁতার প্রশিক্ষণে ভর্তির সুযোগ করে দেয়। সেই জলভরা সাঁতারের সমুদ্রে মাহফুজা সাঁতরায় আর ভাবে- আহা! জলপূর্ণ সাঁতারের নদীতে সাঁতার কাটবার মত জলহীন এক ঝাঞ্ঝ্্ার জীবন সাগরে সাঁতরানো এত সহজ নয় কেন?
    সব ঠিকঠাক। কিন্তু ভর্তির টাকা? কে দেবে তাকে এত টাকা? জলপূর্ণ সাঁতারের এত পানির মতো জীবনের সাতারে এত পানির অভাব কেন?
    না! জোয়ারের পানি যেমন নির্ধারিত সমুদ্রের পানির সকাল সন্ধ্যা বৃদ্ধি ঘটায় সে রকম জীবন নদীতেও কি কখনো সময় মেপে মেপে জোয়ার কিংবা শুকনো নদীতে ঢল ঢল করে উছলে ওঠে জোয়ারের পানি? নাকে মুখে ঢোকে অন্তহীন। হাবুডুবু খায়। তারপর সব কিছুর মধ্যে থিতু হয়ে ভাসতে থাকে সে উচ্ছ্বল পানির বন্যায়? হ্যাঁ। কখনো সখনো। তাই তো জীবন এতো মধুর। জীবন এতো সাফল্য মন্ডিত! জীবন এতো ব্যাপক! জীবন এতো অর্থময়!
    চাচা চিন্তা করবেন না। শিলার ভর্তির টাকা আমি দেবো। বিকেএসপি তে ভর্তি হতে কত টাকা লাগবে, চাচা?
    কি বলো বাবা? তুমি দেবে আমার শিলার ভর্তি খরচ?
    হ্যাঁ চাচা। শুধু ভতির্র খরচ নয়। আমি ওর যাবতীয় খরচের ভার নিতে চাই।
    কি বলে যে তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাবো, বাবা। মহাচিন্তায় ছিলাম।
    কোন কৃতজ্ঞতা নয় চাচা। এতো আমাদের দায়িত্ব। শিলার মত এ গ্রামের হাজারো মেয়ে আমার গার্মেন্টস এ সেলাই করে সুঁইতে সুতো ভরে জীবন পার করে দিচ্ছে। সেখানে আমাদের শিলা যদি সাঁতরে আমাদের গ্রামের, আমাদের জেলার, আমাদের বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে তো আমরা হবো সত্যিকার অর্থেই গর্বিত।
    সেই থেকে শিলার জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। কিন্তু এখানেও আসে কত রকম নোংরামি। কত রকম কুৎসা?
    ফেরদৌসের কি এমন লাভ আছে আলী আহমেদের মেয়ের পড়ার খরচ যুগিয়ে? আর মেয়েই বা এইখান ছেড়ে, যশোর ছেড়ে ঢাকায় থাকে? কি এমন কাজ তার? ঢাকায় মেয়ে কি করে? আরও কত কি?…
    সময় এক সময় শান্ত হয়!
    যখন সে ২০০৩ এর বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতে নেয়। জিতে নেয় জাতীয় প্রতিযোগিতায় জ্যেষ্ঠ সাঁতারুদের পেছনে ফেলে।
    টিভির স্ক্রীনে দশমুখে হেসে ওঠে মাহফুজা। যখন হেসে ওঠে তার হাতের ফুলের গুচ্ছ, হেসে ওঠে তার গলার সোনার মেডেল, হেসে ওঠে তার চুলের গুচ্ছ, চোখের দ্যুতি এবং দাতের হীরক। তখন হেসে ওঠে তার গ্রামের সেই সারাজীবনের সমালোচনায় ব্যস্ত মানুষগুলোও।
    যারা কোনদিন তার সাথে কথা বলে নি তারাই সেধে এসে কথা বলতে শুরু করল।
    তারাও আড়ালে আবডালে আলী আহমেদের কাছে খোঁজ নেয়, কি করে তাদের মেয়েকেও সাঁতারু বানানো যায়। বিশ^ব্যাপী টিভির পর্দায় ফুলের ঘ্রাণে ঢেকে থাকা হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখানো যায়। সোনার মেডেলের চমকে চমকিত করাতে পারে সারা দেশ। সারা বিশ^!
    এবার গ্রামের মানুষের ভুল ভাঙলো। অপবাদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকা মাহফুজা রাতারাতি হয়ে ওঠে সে গ্রামের গর্ব। এভাবেই এগিয়ে যায় মাহফুজার দিন রাত। বুনতে থাকে স্বপ্ন। বাড়তে থাকে স্বপ্নের বীজ তলা। ২০০৬ এর কলম্বো সাফ গেমসে প্রথমবার পুলে নেমেই জিতে নিল দুটি ব্রোঞ্জ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মাহফুজার প্রথম প্রতিভার ঝলক। এবার তার লক্ষ্য। ব্রোঞ্জকে বানাতে হবে খাঁটি সোনা।
    তাই তো কঠোর পরিশ্রম শুরু করলেন মাহফুজা। দিনকে রাত। রাতকে দিন। চললো এভাবেই প্রতিদিন।
    ভর্তি হলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে। সাংবাদিকতা বিভাগে শুরু হলো নতুন অধ্যায়। পড়াশুনা চালিয়ে নেবার জন্য নতুন সংগ্রাম হাসিমুখে মেনে নিলেন। জীবন, সাতারের পুল আর পড়াশোনা। তিনটি একইসাথে চালিয়ে নিতে বিকেলে প্রতিযোগিতা করে রাতের বাসে চট্টগ্রাম যেতেন। সকালে পরীক্ষা দিয়েই ঢাকায় ফিরে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন আবার। আলস্য কখনো তাকে ছুঁতে পারে নি। না পেরেছে ক্লান্তি! টাইমিংয়ের প্রভাব পড়তে দেননি জীবনের কোন অসতর্ক মূহুর্তে। টাইমিংয়ের টাইটানিক ঠিক ঠিক ভেসে চলেছে জীবনের গভীর সমুদ্রে।
    শুরু হলো এসএ গেমস্। মেলে ধরলেন নিজেকে। ২০০৬ এ জিতেছিলেন দুটি ব্রোঞ্জ। এবার জিতে নিলেন দুটি সোনা! উন্নতির গ্রাফটা ঠিকপথেই চলছিল। কিন্তু তৃপ্ত ছিল না সে। তার স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক আসরে সোনা জেতার আকাক্সক্ষা। এরইমধ্যে একটি ইভেন্টে ফটোফিনিশিংয়ে সোনা হাতছাড়া হয়েছে। এই দুঃখবোধ মাহফুজাকে আরও তাতিয়ে দিল। কে যেন বলল-
    মেয়েটার উচ্চতা কম। অত খাটো না হলে ফটোফিনিশিংয়ে সেই এগিয়ে থাকতো।
    কানে ভেসে বেড়াতে লাগলো সহমর্মিতার সুর! না কি তার সামর্থ্য? নাকি খোঁটা?
    এই উচ্চতা দিয়ে কত কত বাঁধার দেয়াল টপকেছেন! আর আজ? তাকে যোগ্য জবাব দিতেই হবে। প্রতিক্ষায় থাকেন সুযোগের! প্রতিক্ষায় থাকলে আসলেই সুযোগ এসে ধরা দেয় একদিন। মাহফুজার ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। তার সুযোগ এসেছে দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১৬ তে।
    ৬ ফেব্রুয়ারি। ২০১৬ খ্রি.। সেদিনও গুয়াহাটির সোনামাখা সূর্য রং টকটকে লাল ছিল। ছিল অবারিত প্রান্তরে নানা রংয়ের বর্ণিল প্রভা! সূর্যের সোনা মাখা রং যখন চারিদিকে চিকচিক হেসে উঠছিল তখন সারুসাজাই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জাকির হোসেন সুইমিংপুলে বাংলাদেশের সাঁতারুদের নিয়ে কারো তেমন কোন আগ্রহ নেই। তারা তো এসেছে ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’ এই শ্লোগানে মাতোয়ারা হতে- অন্যদের ভাবখানা এমনই! কিন্তু মাইকের একটি ঘোষণা চারিদিকে অন্য রকম সুরের মোহনীয় উচ্ছাসে ভেসে গেল। চারিদিক নিস্তব্ধ। সবাইকে স্তব্ধ করে দিলো একটি ঘোষণা। ‘১০০ মিটার ব্রেষ্ট ষ্ট্রোকে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের মাহফুজা খাতুন।’ সময় নিলেন মাত্র ১ মিনিট ১৭ দশমিক ৮৬ সেকেন্ড। গেমসে সোনাজয়ী বাংলাদেশের প্রথম নারী সাতারু! একদিন পরেই সেই সুইমিংপুলে ৫০ মিটার ব্রেষ্ট ষ্ট্রোকে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন আবারো। ভাঙলেন ১০ বছর পুরনো গেমস রেকর্ড।
    অথচ এখানে পাঠানো নিয়েই কর্তৃপক্ষ ঘোলা করেছিল জল। ‘মাহফুজা বুড়িয়ে গেছে!’ ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভারতে আনা হয়েছে তাকে।’ ইত্যাদি শুনতে শুনতে তার মাথায় বিজয়ের মুকুট রেখা তড়পরায় রাতদিন। অবশেষে জীবনের শেষ জ¦ালানিটুকু দিয়ে লড়াই করার তাগিদ অনুভব করে সে। এবং এক সময় নিজের দিকে ফিরে তাকাবার অবকাশ পায় এক সন্ধ্যায়Ñসময় করে একান্ত নিজের জন্য। কথা হয় একান্ত একান্তজনের সাথে। সে কি আজ বড় বেশি অসহিষ্ণু?
    আর কত অপেক্ষা পৃথিবী?
    আর একটু সূর্য!
    অস্ত যে যেতে চায় সূর্য, তর সয়না আর আমার পৃথিবী। গণগণে তাপ যে আমার মাথায়। সে শান্তি চায়, শান্ত হতে চায়।
    দিনের শুরুতেই অস্ত যেতে চাইলে পৃথিবী যে কোনদিন পরিপূর্ণ অন্তরাপার্তায় নিমজ্জ্বিত হতে পারে না সূর্য!
    আজ চৌদ্দ বছর ধরে অপেক্ষার পর আজ পৃথিবীর কি কথা শুনি?
    তাই! ওভাবে ঘড়ির আহ্নিক গতির রেখা ধরে হিসাবে বসিনি কোনদিন।
    মেঘে মেঘে বেলা তো অনেক হলো। এখন সময় হিসাবের।
    বাহ! ভারী হিসাব শিখে যাচ্ছো মনে হচ্ছে।
    শিখে যাচ্ছো মানে কি? শিখে ফেলেছি ঠিকঠাক। আর নয় কোন অযুহাত। এবার তাড়া আমার তাড়া করে ফেরে। কিছু বলো পৃথিবী।
    চৌদ্দ বছর সংগ্রাম করে মাহফুজার শরীর আজ ধারণ করে পৃথিবীর রং। আর সূর্য তো অপেক্ষায় থাকে অনন্তদিন!
    আর অপেক্ষা নয়। এবার নতুন জীবনের শুরু।
    চলো রচি নতুন জীবনের গন্তব্য এক! সূর্যের সাথে তাল মেলায় পৃথিবীর কণ্ঠস্বর।
    অতঃপর এক শুভ ক্ষণে চৌদ্দবছর ধরে ভালবাসার মানুষ আরেক সোনাজয়ী সাতারু শাজাহান আলী রনির সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসলেন মাহফুজা। যোগ দিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চিফ পেটি অফিসার পদে। দিন গড়াতে থাকে তার আপন মহিমায়Ñ
    আজ সকাল থেকেই অভয়নগরের আকাশে বাতাশে এক নতুন আশা- নতুন গুঞ্জন- নতুন শব্দধ্বনি। জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ। তারা এক নজর দেখতে চায় এ গ্রামেরই গর্ব অহঙ্কার শিলাকে। শিলা আজ আসছে অভয়নগরের মাটিকে ধন্য করতে। নিজেকে ধন্য করতে। তার ধুলোবালির গ্রামের মানুষের চেয়ে তাকে আর কে ভাল চেনে?
    যারা একদিন তার নামে নাক সিটকাতো তারাই আজ গোলাপ-বকুলের মালা নিয়ে অপেক্ষা করছে রোদ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মাইলের পর মাইল, তার আঙিনায়! অদূরে দাঁড়িয়ে আছে এ গ্রামের সম্ভ্রান্ত অভিভাবক লিয়াকত চাচা। পাশে তার সুন্দরী শিক্ষিত মেয়ে নাজনীন। হাজারো ভিড় ঠেলে মাহফুজার চোখ যায় নাজনীনের দিকে। হাত ইশারায় কাছে ডাকে তাকে। সে ধীর পায়ে ছুটে আসে মাহফুজার কাছে। আর তার বাবা অদূরে দাঁড়িয়ে থাকে। নিমগ্ন। একদিন সেও যে তাকে অপমান করতে এতটুকু পিছপা ছিল না! অথচ মাহফুজার চোখ যায় সেখানেই আগে।
    আসুন চাচা। কেমন আছেন? কিভাবে যাচ্ছে দিনকাল।
    লজ্জায় সমস্ত রক্ত মুখে উঠে আসে লিয়াকত চাচার।
    এই তো মা। তোমাকে দেখতে এলাম। তুমি আজ গর্ব আমাদের!
    মাহফুজার নির্মল, গর্বের, বিজয়ের হাসিতে লিয়াকত চাচার মুখের সমস্ত রক্ত নামিয়ে সেখানে দরদ এনে দেয়।
    ভালো আছি মা। তুমিও ভালো থেকো চিরদিন এভাবেই।
    নিন্দা আর শ্লাঘার ঝড়কে জয় করে আজ চারিদিকে মাহফুজার জয়গান- দরদের দাপাদাপি- অভয়নগর গ্রামে ভেসে বেড়ায়। আসলে সময় এরকমই। সুসময় এবং দুঃসময়Ñ সব সময় শত্রুকে বন্ধু বানায়। মানুষ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একাকার হয়। তাই তো অভয়নগর গ্রামের সব মানুষ আজ একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়। সব কিছু সম্ভব করে মাহফুজার ম্যাজিক মেডেল! মাহফুজা হঠাৎ খেয়াল করে তার ম্যাজিক মেডেলের দ্যুতি ঝিলিক দেয় চারিদিক–অভয়নগরের সমস্ত ধুলোমাটি, আকাশ, বাতাশ, নদী, সমুদ্র, মানুষের মুখ আর বৃক্ষের বাকলে বাকলে।

  • সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বহিস্কার

    তালা প্রতিনিধি: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আলম সুমন স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    বিবৃতি অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান মিন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবারে পাটকেলঘাটা বাজার থেকে ডিবি পুলিশ সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু ও একই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি শেখ সাহিদুজ্জামান হিরুকে ৪৭ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। পুলিশ জানান, তারা দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।

  • কাশিমাড়ীতে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    কাশিমাড়ীতে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: সেচ্চাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম কাশিমাড়ী ইউনিট এর আয়োজনে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে কাশিমাড়ী বাজার সংলগ্ন হলরুমে উক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবঃপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সেপেক্টর টি এম সোহরাব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান টি এম নুরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অবঃপ্রাপ্ত সেনা কর্পোরাল গোলাম সারোয়ার, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন, ইউপি সদস্যা মিসেস পাপিয়া হক, সাংবাদিক ডি এম আব্দুল¬াহ আল মামুন, কাশিমাড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আজগর হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম কাশিমাড়ী ইউনিট সভাপতি মাকছুদুর রহমান মিলন।

  • সরকারি খাল ও ফসলী জমির মাটি পুড়ানো হচ্ছে তালার ইট ভাটায়

    সরকারি খাল ও ফসলী জমির মাটি পুড়ানো হচ্ছে তালার ইট ভাটায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক: তালার গোনালী নলতাস্থ জিআইবি ইট ভাটার মাটির যোগান পেতে মহন্দীর ঘাঁট কান্দার খালসহ স্থানীয় কৃষি জমির মাটিবাহী যন্ত্রদানবের অত্যাচারে রীতিমত অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন তালা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকাবাসী। প্রতিদিন অন্তত অর্ধ ডজন ট্রাক্টর দিয়ে নির্মিত অবৈধ ট্রাক যোগে মহন্দী ঘাঁট কান্দা এলাকা থেকে প্রায় ৭ কিঃমিঃ রাস্তার উপর দিয়ে ঐ মাটি আনা হচ্ছে। এনিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয়,আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন এক অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা ও ভাটা মালিকের খুঁটির জোর নিয়েও এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
    এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন যে,চলতি ইট ভাটা মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তালার গোনালী নলতাস্থ জিআইবি ইট ভাটা ইট প্রস্তুত করতে প্রধান উপাদান মাটির যোগান পেতে উপজেলার মহন্দি এলাকার ঘাট কান্দার সরকারি খাল ও ফসলি জমি থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘণ ফুট মাটি কেটে তা বড় ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে ভাটায় নিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়,মাটি বহন করতে তারা স্থানীয় প্রশাসনসহ কতিপয় মহলকে ম্যানেজ করে খাল এলাকা থেকে ভাটা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিঃমিঃ রাস্তার উপর দিয়ে তালা উপজেলা সদর হয়ে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়ক ব্যবহার করছে। প্রতি দিন অব্যাহত ভাবে চলা এসব যন্ত্রদানবের চাপে মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তাগুলি। অন্যদিকে দু’টি বাইপাস সড়ক হয়ে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের উপর দিয়ে চলা যন্ত্রদানবের ভয়ে সারাক্ষণ তটস্থ থাকতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে যেকোন সময় সড়কে ঘটে যেতে পারে কোন প্রাণঘাতি দূর্ঘটনা বলে সেই প্রথম থেকে আশংকা করে আসছেন এলাকাবাসী। ব্যস্ততম একাধিক সড়ক ব্যবহার করে চলা ভাটার এসব বাহনের চলাচল বন্ধে এলাকাবাসী এর আগে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। তবে প্রশাসন এক অজ্ঞাত কারণে সেই প্রথম থেকেই ভাটার স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধাণ্য দিয়ে আসছেন।
    অভিযোগে প্রকাশ থাকে যে,এর আগে তালার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী কল্যাণ বসুর মালিকানাধীণ গোনালীস্থ জিআইবি ব্রিক্সে ইটের প্রধান উপকরণ মাটির যোগান মেটাতে তারা কপোতাক্ষের বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধ থেকে চুরি করে মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করছিল। কয়েকবার ধরা পড়ে তাদের শ্রমিকরা জরিমাণার শিকারও হয়। তবে এখন পর্যন্ত মালিক পক্ষের কারো বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেউ। এবার নতুন করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তারা পুনরায় বিনা অনুমতিতে তালার মহন্দীর ঘাঁট কান্দা সরকারী খাল ও ফসলী জমি থেকে যন্ত্রদানবযোগে নিয়ে আসছে অবৈধ পন্থায় মাটি। এতে নতুন করে তাদের খুঁটির জোর ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
    এলাকাবাসীর অভিযোগ,ভাটা কতৃপক্ষ প্রায় একমাস ধরে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খাল ও ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে প্রতিদিন ভোর থেকে অন্তত ৬ টি ট্রাক্টর দিয়ে নির্মিত অবৈধ যন্ত্র দানব দিয়ে সেসব মাটি নিয়ে আসছে ইট ভাটায়। এতে তারা মহন্দী হয়ে প্রায় ৫ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে তালা সদরের উপর দিয়ে আরো ২/৩ কিঃমিঃ প্রধান সড়ক ব্যবহার করছে। প্রতিদিন অবিরাম যন্ত্র দানবের চলাচলে মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তাগুলি। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেননা।
    বিশেষজ্ঞদের অভিমত,এরুপ অনবরত ভারী মাটিবাহী ট্রাকের খিপ্র ঝাঁকুনিতে রাস্তার মাটির তলদেশ পর্যন্ত অনবরত কম্পনে রাস্তা মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক সময় তা ধ্বসে পড়ারও আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা সদরের উপর দিয়ে এসব নিয়ন্ত্রণহীন যন্ত্রদানবের অবিরাম ছুটে চলায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন পথচারীরা। বিশেষ করে উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের পথ চলা ও রাস্তা পারাপারে তৈরী হয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতা।
    এব্যাপারে এর আগে সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেছিলেন,তিনি কাউকে কোন সরকারী খাল থেকে মাটি কাটার অনুমতি দেননি। যদি কেউ এভাবে মাটি কেটে রাস্তা নষ্ট করে ইট ভাটায় মাটির যোগান মেটায় তা হলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন তবে পরে তিনি বদলী হয়ে যাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
    সর্বশেষ অবৈধভাবে মাটি কেটে প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি নেয়ার বৈধতা সম্পর্কে জানতে জিআইবি ইট ভাটার ম্যানেজার প্রকাশ’র নিকট তার ব্যবহৃত মোবাইলে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

  • জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই-জেলা প্রশাসক

    জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই-জেলা প্রশাসক

    বিশেষ প্রতিবেদক: ‘জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই। জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাখিমারা টিআরএম বিলে যে সকল কৃষকরা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাদের দ্রুত এবং সহজ শর্তে টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বুধবার সকালে তালা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধিজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন এসব কথা বলেন।
    এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরা এলাকায় ব্যাপক খাস জমি থাকলেও নীতিমালা অনুয়ায়ী সেগুলো বন্দোবস্ত দেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া শালতা নদীসহ বিভিন্ন খাল ও বিলগুলো খনন করতে হলে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ হতে রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসনে পাঠালে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করা হবে।’
    তিনি এলাকার উন্নয়নে সকলকে একসাথে মিলেমিশে কাজ করার আহবান জানান। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইখতিয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম এবং তালা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান, জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ শাহিনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, আব্দুস সোবহান, মোড়ল আব্দুর রশিদ, সাস পরিচালক শেখ ইমান আলী, আওয়ামী লীগনেতা সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান এবং তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

  • আশাশুনিতে জমির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে বিড়ম্বনায় শতাধিক জমি মালিক

    নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনিতে জমির মালিকানা পরিবর্তন (নামপত্তন) নিয়ে বিড়ম্বনায় ভুগছেন বহু জমির মালিক। ৪৫ দিনের মধ্যে নামপত্তন সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ থেকে ৬ মাস অপেক্ষা করেও নামপত্তন হাতে পায়নি উপজেলায় এমন জমি মালিক আছে প্রায় ২শতাধিক। কেউ কেউ জমি ক্রয়ের জন্য বড় অংকের টাকা দিয়ে অপেক্ষায় আছে কবে নামপত্তনের কাজ হয়ে যাবে এবং জমিটা রেজিস্ট্রি করে নিতে পারবে। প্রায় সাড়ে ৪ মাস নামপত্তনের জন্য অপেক্ষা করে অবশেষে বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ক জানান, তিনি একটা জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়ে রেখেছেন কিন্তু নামপত্তনের জন্য জমিটা রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না। ৫মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর তার জমির নাপত্তনের খোজখবর নিতে আসা জৈনক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, জমির নামপত্তনটা হয়ে গেলে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে টাকা নিয়ে বাবাকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা আর সম্ভব হবে না, কারণ বাবার অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে কথা বললে বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তফা মনিরুজ্জামান বলেন, নামপত্তনের কাজ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করণীয় থাকে না। একাধিক ভূক্তভোগীর বক্তব্য সরকারি খরচের দ্বিগুন টাকা দিয়ে তারা প্রত্যেকে কোন না কোন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে নামপত্তন কেচ ফাইল করে সেখানেই জমা দিয়েছিলেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত বলেন, নামপত্তনের ফাইলগুলো তদন্তের জন্য নায়েব সাহেবদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমি যখন আছি সব কাজ হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি আমাকে তো একটু দেওয়া লাগবে। উপজেলার সচেতন মহলের বক্তব্য যে ফাইল গুলোর সমস্যা আছে সেগুলো হয়তো দেরি হতে পারে কিন্তু অন্য গুলোর তো এত দেরি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নামপত্তন বিড়ম্বনা নিরসনে তারা সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • কালিগঞ্জ উপজেলা অখ- রাখার পক্ষে ইসির শুনানীতে মতামত তুলে ধরতে ঢাকা যাচ্ছেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ৫০সদস্যের প্রতিনিধি দল

    কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: নির্বাচনী এলাকা ১০৮, সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনে অখ-িত রাখার বিষয়ে নির্বাচন অফিস ঢাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শুনানির দিন নির্ধারিত হওয়ায় কালিগঞ্জে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টায় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সভায় সাতক্ষীরা ৪ নির্বাচনী এলাকার কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ-িত রাখার বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সুধি ব্যাক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামান। সভায় কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নকে সংসদীয় আসনে অখন্ডিত রাখার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খান আছাদুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পাটির সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র শেখ মেহেদী হাসান সুমন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কালিগঞ্জ সোহরোওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফা কবিরুজ্জামান মন্টু, মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ, কুশলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাউফিল উরা সজল, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জি, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিরাঞ্জন কুমার পাল বাচ্চু, অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়জ কওছার তুহিন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেবুর নাহার জেবু, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, উপজেলা যুব মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফতেমা ইসলাম রিক্তা, কালিগঞ্জ উপজেলা মেম্বর এ্যাসোশিয়নের সভাপতি ও তারালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান, মেম্বর আব্দুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগ, সাবেক সভাপতি গৌতম কুমার লস্কর, জাতীয় শ্রমিকলীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খোদেজা খাতুন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি তৈহিদুর রহমান প্রমুখ। সভায় সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনের সীমানা ইসি কর্তৃক পূণঃনির্ধারন করায় ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে ইসির সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে ১৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কতৃক সীমানা পূণঃনির্ধানের বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ইসির শুনানীতে কালিগঞ্জ থেকে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামানের নেতৃত্বে ঢাকায় যাবেন। নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের শুনানীতে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে সাতক্ষীরা ৪ আসনের ইসির কতৃক পূণঃনির্ধারিত সীমানা বলবৎ রাখার যৌক্তিক কারণগুলো তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় আইনজীবী নিয়োগ দেবেন।
    সভায় বলা হয়, কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ভাগ হয়ে সাতক্ষীর ৪ ও সাতক্ষীরা ৩ আসনে বিভাক্ত করে নির্বাচনী এলাকা বিগত দু’নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনোত্তর এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষেও স্বাভাভিকভাবে কার্যক্রম করা বেশ দূরহ হয়ে উঠে। এহেন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বিজ্ঞতার সাথে প্রশাসনিক এলাকা বিভক্ত না রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছেন সেজন্য সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সকল নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

  • জাতীয় আইনগত সহয়তা দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভা

    আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহয়তা দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভা গত বুধবার বিকালে জেলা জর্জ আদালতের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আইনগত সহয়তা কমিটি, সাতক্ষীরার সভাপতি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জর্জ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।

  • বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো কালিগঞ্জের দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন

    বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো কালিগঞ্জের দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন। বুধবার সকালে লাইট জ্বালিয়ে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী এবং দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকার। বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকার। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বি-চৌধুরি ও ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নবাসীকে বিদ্যুতায়নের আওতায় নিয়ে এসেছে। এই উপহার ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় করলে চলবে না। বুঝতে হবে দক্ষিণ শ্রীপুরের মতো আরও অনেক এলাকা আছে, যেখানে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি। ২০০৯ সালের পূর্বে বিদ্যুৎ বিভাগের অবস্থা ছিলো অনেকটা বিপর্যস্ত। বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগে এসছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন যা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কারণে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী, মোবারক আলী, গোবিন্দকাটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ বিশ^াস, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল মাহমুদ সরদার, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক সাজু, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ ক্যাপ্টেন, ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম, মিলন হোসেন প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খান আহাদুর রহমান, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এন মাসুম বিল্লাহ, ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেন প্রমুখ। এ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতায় দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনসহ ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের ৪২০টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পেল। যেখানে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদে আগে বিদ্যুৎ ছিল না।

  • তালার ৩শ বিঘা ঘেরের হারির না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ

    তালার ৩শ বিঘা ঘেরের হারির না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ

    শহর প্রতিনিধি: তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়ায় ৩০০ বিঘা সম্পত্তি হারি নিয়ে হারির টাকা না দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধভাবে ভোগ দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধ দখল চেষ্টা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে আনন্দ কুমার দাশ।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ধানদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমাদের গ্রামের পূর্বে পাশে কপোতাক্ষ নদীর তীর অবস্থিত। গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস দক্ষিণ সার্শা বিল। উক্ত বিলে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি আছে। যার মালিক অত্র এলাকার প্রায় ১০০টি পরিবার। বিলটি কপোতাক্ষ নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কপোতাক্ষ নদটি খননের কারণে উক্ত বিলটি আর জলাবদ্ধ থাকে না। কপোতাক্ষ নদ খননের পূর্বে যশোর কেশবপুর আলতাপোল গ্রামের মো. সেলিমুজ্জামান আসাদ স্থানীয় জমির মালিকগণকে কোন হারির টাকা না নিয়ে শুধুমাত্র পানি সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে বিলটি চারিপাশে ভেড়িবাধ দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর মাছ চাষ করে আসছে। পরবর্তীতে বাংলা ১৪২১ সালে শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমের জন্য যত সামান্য হারির বিনিময়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু শর্ত থাকে প্রতি বাংলা সনের ১৫ই পৌষ এর মধ্যে হারির টাকা পরিশোধ করতে হবে। কথা থাকলেও বর্তমান বছরে এখনও পর্যন্ত কোন জমির মালিককে হারির টাকা দেননি তিনি।
    তিনি আরো বলেন, গত ৫/৬ মাস পূর্বে আসাদ অন্য কারো কথা চিন্তা না করে এবং কারো তোয়াক্কা না করে ঘেরের পানি না সরানোর কারণে কিছু বাড়তি ডাঙ্গা জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এঘটনায় তাল উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি সরেজমিনে তদন্ত আসেন। সিদ্ধান্ত হয় আগামীতে ঘের পরিচালনা করার জন্য কমিটি করতে হবে। আগামীতে বিলটিতে মাছ চাষ হবে না উন্মুক্ত করা হবে। সেটির সিদ্ধান্ত গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করবেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
    পরবর্তীতে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দক্ষিণ সারসা, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আক্তার হোসেন(সাহেব আলী)সহ আরও কিছু লোক ঘেরটি উন্মুক্ত করার জন্য কিছু জমির মালিকের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। অথচ স্বাক্ষর নেওয়ার দীর্ঘ ৫ মাস পরও ঘের উন্মুক্ত না করে তার ভাড়া করা লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে উক্ত ঘেরের ভেড়িবাধ সংস্কার শুরু করেছে। এ বিষয়ে কিছু জমির মালিকগন তার কাছে জানতে চাইলে সে হুমকি প্রদর্শন করে বলে আমি এখন থেকে ঘের করবো। তোদের ক্ষমতা থাকলে বন্ধ করিস। আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজত খাটাবো বলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
    এঘটনার পর অত্র এলাকার জমির মালিকদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। কারণ উক্ত মেম্বর আক্তার হোসেন একজন দুধর্ষ প্রকৃতির ব্যক্তি। সে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে কোন সময় অত্র এলাকায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা উক্ত ব্যক্তিদের হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক উন্মুক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরা সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • এনইউবিটিতে উন্নয়ন সাংবাদিকাতার উপর দিনব্যাপী সেমিনার

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজির ‘আমেরিকান কর্ণার খুলনার’ জার্নালিজম ক্লাবের উদ্যেগে ‘উন্নয়ন সাংবাদিকাতার উপর’ দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.এ.এস.এম. আসাদুজ্জামান। তিনি উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর নানা বিষয়ের আলোচনা করেন।
    অনুষ্ঠানে খুলনার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বেতার, ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন আমেরিকান কর্ণার খুলার কো- অডিনেটর ফারজানা রহমান।

  • শ্যামনগরে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

    শ্যামনগরে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও ভাব বাংলাদেশের আয়োজনে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার জোবেদা সোহরাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাব-বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এ আলিম খাঁন, প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আবুবক্কর সিদ্দিক প্রিন্স, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, শ্যামনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক জয়দেব বিশ^াস প্রমুখ। প্রশিক্ষণে ত্রিপাণি বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ, ভেটখালী এ করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যা নিকেতন, রমজাননগর ইউনিয়ন তোফাজ্জেল বিদ্যাপীঠ, শওকতনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূরুলিয়া নাগবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

  • কলারোয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

    কলারোয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

    কলারোয় প্রতিনিধি: কলারোয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাদপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত কৃষকের নাম বিল্লাল সরদার(৩৫)।তিনি ওই গ্রামের ধুপচাপ সরদারের ছেলে। তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।

    চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, কৃষক বিল্লাল তার স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে সকালে অন্যের পটল ক্ষেতে গিয়ে পটল তুলছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • তালায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    তালায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    তালা প্রতিনিধি: তালায় পানিতে ডুবে শুভশ্রী ভট্টাচার্য(৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে খালের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

    শুভশ্রী উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের শংকর ভট্টাচার্য’র কন্যা। সে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে দাদুর বাড়ি থেকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো।

    শিশু শুভশ্রীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    শুভশ্রীর দাদু তপন হালদার জানান, ছোট বেলা থেকে শুভশ্রী তাদের বাড়ি থাকতো। সে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে তার সাথে ¯œান করতে যায় শুভশ্রী। বাড়িতে ফিরে খুঁজে না পেয়ে ফের পুকুরে গিয়ে তাকে ভেসে থাকতে দেখে দ্রুত তালা হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    তালা থানার অফিসার ইনাচার্জ মো. হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

    নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, পয়ঃনিস্কাশন, মশা-মাছি নিধন, প্রাণ সায়ের খাল রক্ষা, রাস্তাঘাট সংস্কারসহ সকল নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু।

    মানববন্ধনে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের একেবারে অনুপযোগী। শহরের প্রধান-প্রধান রাস্তায় যত্রতত্র বাস, ট্রাক পার্কিং করে রাখার ফলে শহরে প্রতিনিয়ত যানজট ও দূর্ঘটনা ঘটছে।’
    ড্রেনেজ ব্যাবস্থার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার বলেন, সাতক্ষীরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ড্রেনগুলো পরিস্কারের অভাবে পানি নিস্কাশনে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।

    জলাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক ওবায়দুস সুলতান বাবলু বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে বর্ষার শুরুতেই ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নিস্কাশনের পথগুলো প্রভাবশালীরা দখল করার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্র্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক নিত্যানন্দ সরকার বলেন, শহরে মশা মাছির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা মাছি নিধনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মশা-মাছির কারণেই পৌরবাসীর জনজীবন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে মশামাছি নিধনের আহ্বান জানান।

    ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি মানুষকে পানি ক্রয় করে পান করতে হচ্ছে। পৌরসভা থেকে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা রান্না-বান্নাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করার একেবারেই অনুপযোগী। সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন। কিন্তু পৌরসভা পানি বিতরণ করছে মাত্র ৬৫ হাজার লিটার। যা পৌরবাসীর চাহিদার অর্ধেকেরও কম। তিনি অবিলম্বে বাটকেখালী পানি প্লানটি চালু করার দাবি জানান।

    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খাল শোভাবর্ধনের জন্য ৩২ লক্ষ টাকার প্রকল্প সাবেক জেলা প্রশাসকসহ পৌর মেয়র উদ্বোধন করলেন সেই কাজের কোন অগ্রগতি নেই। প্রাণ সায়ের খাল আজ সাতক্ষীরাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি অবিলম্বে প্রাণ সায়ের খালের শোভাবর্ধন ও খনন করার জন্য জোর দাবি জানান।
    সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল বলেন, বাঁকাল স্কুল থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তার দুধারে বাঁশ, বালি, পরিবহন এবং বালুর ট্রাক যত্রতত্রভাবে পার্র্কিং করার ফলে প্রতিনিয়ত স্কুল, অফিস ও পথযাত্রীরা দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগে পড়ছেন। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার ভিতরে যত্রতত্র বাস ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন পার্কিং বন্ধ করার দাবি জানান।
    মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রইফ উদ্দিন, বাসদ’র আবু তালেব, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদার, সদর উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য রওনক বাসার, সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।

    মানববন্ধন পরিচালনা করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল।

  • যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): যথাগোগ্য মর্যাদা জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলাব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদের সমন্বয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    জেলায় ঐতিহাসিক মুুজিবনগর দিবস পালনের প্রধান কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^াস সুদেব কুমার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক মিসেস মোনয়ারা খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. জাকির হোসেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ:
    ঐতিহাসিক মুজিনগর দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন, আর এসি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফীন, ইংরেজি’র ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল’র ইন্সট্রাক্টর ধর্মদাস সরকার, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর রঞ্জন কুমার সরকার, পদার্থের ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা বাকী বিল্লাহ, আর এসি’র ইন্সট্রাক্টর শেখ আব্দুল আলম, রসায়নের ইন্সট্রাক্টর শংকর প্রসাদ দত্ত, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(কম্পিউটার) মাসুদ রানা, জুনিয়ার ইন্সট্রাক্টর (ফার্ম মেশিনারী) অজিহার রহমান, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক বিষ্ণ চন্দ্র পাল এবং ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর(সপ)’র গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ভাষা শিক্ষক(বাংলা ও সমাজবিজ্ঞান) শরিফুল ইসলাম।
    পলাশপোল স্কুল:
    পলাশপোল স্কুলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে মাওঃ আনারুল হাসান, সুদর্শন ব্যানার্জী, মঙ্গল কুমার পাল, জাহাঙ্গীর আলম, ইসরাইল আলম, রোকেয়া খাতুন, রেহেনা খাতুন, কানিজ ফাতেমা, রাজিয়া খাতুন, সাবিনা খাতুনসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় বক্তারা বলেন, আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা এদেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। পারতাম না স্বাধীনভাবে চলাচল ও চাকুরি করতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
    আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা:
    সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র উদ্যোগে ঐতিহাসিক ১৭এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ইংরেজি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, আহছানিয়া মাল্টি কমপ্লেক্স এর ত্বাবধায়ক আবু সোয়েব এ্যাবেল, সদস্য কাজি আমিরুল হক আহাদ প্রমুখ। এসময় বাংলা প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, আরবী প্রভাষক বৃন্দ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা:
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, মাস্টার আবুল হোসেন, মাও. কামরুল ইসলাম, শিক্ষক আদিত্য ঘোষ, শিরিনা খাতুন, তানজিলা খাতুন, নজরুল ইসলাম গউসুল আযম প্রমুখ।
    জেলা কৃষকলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কাটিয়া বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড. নওশের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আতিয়ার রহমান, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কৃষকলীগের আব্দুল খালেক মাস্টার, লাবসা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক রবিন মল্লিক, আগরদাড়ি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ঢালী, ঘোনা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, সরুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম।
    জেলা ছাত্রলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইদুজ্জামান জিকো, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শিমুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান মুকুল সহ জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ:
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে মুজিবনগর জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কামালনগরস্থ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সেলিম হোসেনের সঞ্চলনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সাংগঠনিক আমিনুর ইসলাম সেলিম,সমাজকল্যাণ সম্পাদক আঃ আলিম, কুটির শিল্প সম্পাদক মোচ্ছাক সরদার, পৌর শাখার সভাপতি আঃ আলিম, সহ- সভাপতি আঃ বারী, আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি নুরলআমিন, ৬নং পৌর আবুল হোসেন, ৪নং পৌর সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন বাবু, ফিংড়ি আহবায়ক আহছান হাবিব, সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য আজিজুল, সদর শাখা মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর সাংগঠনিক মিজান, পৌর ওয়ার্ড শাখার ফরমান সরদার,শহিদুল, জাকির হোসেন পল্টু, মোসা গাঈন, তাজিম, মাজেদ, শহিদুল, আগরদাড়ী আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব হেলাল, জাহিদ, রহমত, কালু,ইউপি সদস্য আঃ গফুর সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। আলোচনার শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরত কামনা করা হয়।
    তালা:
    সাতক্ষীরার তালায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা থানার (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    এ সময় মুজিবনগর দিবসের ওপর একটি বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    দেবহাটা:
    দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দীন, উপজেলার সখিপুর সাব রেজিস্টার পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জী, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন প্রমুখ। বক্তারা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজে দিবসটি পালন করা হয়। কলেজে র‌্যালি শেষে অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আকবর আলী, সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার, সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
    আশাশুনি:
    আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসাবে চিত্র প্রদর্শনী শেষে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দবিস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, সমবায় অফিসার জি এম আনছারুল আজাদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্œ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

    কালিগঞ্জ:
    কালিগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মেদ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর নগর দিবসের উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
    চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসা:
    বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। তার ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসার হল রুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন আরবী প্রভাষক শহিদুল্যাহ, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ জুবাইর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আঃ জব্বার । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা প্রভাষক মোঃ নুরুল আমিন।
    শ্যামনগর:
    ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুর ২টায় শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এর আয়োজনে কলেজের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জি,এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক সুশান্ত কুমার বাবু লাল, নুরুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। সভায় কলেজের সকল প্রভাষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকাল ৪টায় উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবি রঞ্জন মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি,এম আকবর কবির, উপদেষ্টা আফজালুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী প্রমুখ। এ সময় সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    বিকাল ৫টায় শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শোকর আলী, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন, প্রভাষক সাঈদুজ্জামান সাঈদ, স ম আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, সুশান্ত কুমার বাবু লাল, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান টুটুল, ছাত্রনেতা আল-মামুন লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন হয়েছে বলে জানা গেছে।