আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে এলজিইডি ঠিকাদারদের খামখেয়ালীকতায় এবং কাজের ব্যাপক ধীর গতির কারণে সদ্য নির্মিত এলজিইডি সড়কে বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে আশক্সক্ষা করছে এলাকাবাসী। একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের সোনাই সাইক্লোন শেল্টার সড়কটি ঐ এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি সংস্কার কাজ ধীর গতির কারণে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার কাজ শেষ না নামলে সড়কে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। জানা গেছে খুলনার উয়াই এ খান এ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২বছর আগে এ সড়কের নির্মান কাজের টেন্ডার গ্রহন করেন। ১০ফুট চওড়া ও ৩.০৫কিলোঃ সড়কটি জুন’১৮ তে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া কালিবাড়ী টু থানাঘাটা বকচর সড়কের অবস্থাও একই। ২বছর আগে এ সড়কের টেন্ডার গ্রহন করেন বরিশালের মাহফুজ খান নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ১০ফুট চওড়া ও ৪.০৫ কিলোঃ সড়কের নির্মান কাজ জুন’১৮তে শেষ করার কথা থাকলেও তার কাজেরও ধীর গতির কারণে বর্ষা মোসুমে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে ব্যাপক ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে কালিবাড়ী টু থানাঘাটা বকচর সড়কের প্রতিমধ্যে বকচর সাইক্লোন শেন্টার এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মানের টেন্ডার হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কালভার্ট নির্মান করারতো দূরের কথা সড়কের মধ্যে গভীর খাদ নির্মান করে রেখেছেন। এতে করে ছোটখাটো হালকা যান চলাচলেও ব্যাপক বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেন বলেন তাদের কাজের ধীর গতির কারণে আমি অফিসিয়াল ভাবে মৌখিক ভাবে ও নোটিশের মাধ্যমে অনেকবার তাদরেকে কাজ শেষ করতে বলেছি। কিন্তু তারা অফিসের কোন কথা কর্ণপাত করছে না। বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি। জুন”১৮ আগের কাজ শেষ না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Blog
-

সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপিলকৃত পক্ষ-বিপক্ষ ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের পরিবর্তন ঘটায়। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখ-িত রেখে শ্যামনগর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রকাশিত খসড়া গেজেটেরে বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আবেদন খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। -

বৈষম্যে, ঘুষ ও দলবাজীর বিরুদ্ধে জাসদ সকল সময় আপোষহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যডভোকেট রবিউল আলম বলেন, ‘শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা দল জাসদ সবসময় বৈষম্য, ঘুষ ও দলবাজীর বিরুদ্ধে। সুনিদৃষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে জননেতা হাসানুল হক ইনুর পরিকল্পনায় গড়ে ওঠে ১৪দলীয় ঐক্যজোট।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সুচতুরভাবে মিথ্যাকে সত্য প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। বিএনপির আমলে দেড় কোটি ভূয়া ভোটার করা হয়। জঙ্গীর সঙ্গী ও জঙ্গী উৎপাদনকারী বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য আক্রমণ করা হয়।’
জাসদ নেতা রবিউল আরো বলেন, ‘প্রচলিত সমাজব্যাবস্থায় মানুষের মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকা সম্ভব নয়। এখানে মানুষের শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হয় না। এ সমাজে নারীর মর্যাদা দেওয়া হয়না। এখানে বৈষম্য আকাশচুম্বী। দেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলেও নিন্ম আয়ের মানুষেরা রয়েছে চরম বৈষম্যের মধ্যে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে এ অবস্থা সংগতিপূর্ণ নয়। তাই জাসদ এ সমাজব্যাবস্থাকে পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াই করছে।’
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের জাসদ মনোনীত প্রার্থী ওবায়দুস সুলতান বাবলুকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলারোয় উপজেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি, জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিনা, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজু, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি অনুপ কুমার অনুপ ও তালা উপজেলার সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।
সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। সমাবেশের পূর্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি কলারোয়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে সভার প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট রবিউল আলম ও বিশেষ অতিথি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। -

কলারোয়া জাসদের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৩ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কলারোয়া উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি এড. রবিউল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি,জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহী, জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিনা,তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, জাতীয় যুবজোট সাতক্ষীরা জেলার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তালা উপজেলার সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। জঙ্গীবাদ-ধর্মীয় উগ্রবাদকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখা, দুর্নীতি-বৈষম্যের অবসান করা, সুশাসন-অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কাউন্সিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠিত হয়।
-
দেবহাটায় ক্যান্সার রোগী ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় ক্যান্সারে আক্রান্ত রুগীদের আর্থিক সহায়তা এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ক্রেস ও ওয়াকার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে এসব সহায়তা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদের সভাপতিত্বে সহায়তা বিতরণ করেন নবগত জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার বদরুজ্জামান, এলজিইডি অফিসার মোমিনুল ইসলাম, উপজেলা সাব-রেজিস্টার পার্থ প্রতিম মুখার্জ্জি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর লতিফ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই, শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার মল্লিক, যুব উন্নয়ন অফিসার ইসমোত আরা বেগম, বিআরডিবি অফিসার ইসরাইল হোসেন, পল্লী দারিদ্র বিমোচন অফিসার অসিত বরণ রায়, সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার মাহফুজ রঞ্জু, কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ সরকার, খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আনিসউজ্জামান, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম, মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, ডিআরআরএ’র জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেন, কমিউনিটি মবিলাইজার করবি স্বর্ণকার প্রমুখসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিক্ষার্থী ও ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা। অনুষ্ঠানে ৫জন ক্যান্সারের আক্রান্ত রুগীকে ৫০ হাজার করে মোট আড়াই লক্ষ টাকার সহায়তা প্রদান এবং ২৪ জন প্রতিবন্ধীকে ক্রেস (হাটার উপকরণ) এবং ২৪জন প্রতিবন্ধীকে ওয়াকার (দাঁড়ানোর উপকরণ) প্রদান করা হয়।
-
সর্বসাধারণের জন্য সব সময় আমার দার খোলা-জেলা প্রশাসক
দেবহাটা প্রতিনিধি: ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে কেউ যেনো অযাথা হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে সব সময় খেয়াল রাখা হচ্ছে। জনগনকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকার আমাদের নিয়োগ করে রেখেছেন। তাই কারোর অসাহয়ত্বের সুযোগ নিয়ে আর্থিক লেনদেন কিংবা কোন প্রকার অপরাধের আশ্রায় নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ দেবহাটায় এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের স্বপ্ন ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়া। আর আমাদের দায়িত্ব উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। আমাদের দায়িত্বের স্থানগুলোতে যত বেশি সেবা দিতে স্বক্ষম হব তত তাড়াতাড়ি উন্নত দেশে রুপান্তিত হতে পারব। সর্বসাধরণের জন্য আমার দার সব সময় খোলা থাকবে। আপনাদের প্রয়োজনমত আমাকে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নে পাশে পাবেন।’
সোমবার অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ। উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার জিন্নাত আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইয়াসিন আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরদার আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তাদের দাবির ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, কোন কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে না। নষ্ট রাস্তা সংস্কারের জন্য অধিকাংশ রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। তিনি আগামীতে বালু মহলের ইজারা বাতিল করে নদীর বাধ ভাঙ্গন রক্ষা এবং স্থানীয় রাস্তা নষ্ট রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া রাস্তার পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্পিড ব্রেকার, পারুলিয়া ইউনিনের পোষ্ট অফিস নির্মাণের কাজ সমাপ্ত, দেবহাটা প্রেসক্লাব সংস্কার, ম্যানগ্রোভ বিনোদন কেন্দ্রে রেস্ট হাউস নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। একই সাথে জলাবদ্ধতা নিরাসনে এবং কৃষি, মৎস্য চাষের জন্য জোয়ার-ভাটা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ খালগুলো খননের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে নথি প্রেরণ করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। তিনি সরকারের উন্নয়নকে বাস্তবায়ণ করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার বদরুজ্জামান, এলজিইডি অফিসার মোমিনুল ইসলাম, উপজেলা সাব-রেজিস্টার পার্থ প্রতিম মুখার্জ্জি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর লতিফ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই, শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার মল্লিক, যুব উন্নয়ন অফিসার ইসমোত আরা বেগম, বিআরডিবি অফিসার ইসরাইল হোসেন, পল্লী দারিদ্র বিমোচন অফিসার অসিত বরণ রায়, সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার মাহফুজ রঞ্জু, কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ সরকার, খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আনিসউজ্জামান, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম, মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পালসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিক্ষার্থী ও ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা। -

পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের নেতাসহ আটক-৪০
নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ১ নেতাসহ ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সদর থানা থেকে ৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -
এনইউবিটি’তে সামার সেমিষ্টার এ্যাডমিশন ফেয়ার
এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনাতে সামার সেমিষ্টারের এ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ ফেয়ার চলবে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিনসহ সপ্তাহে ৭দিন এ ফেয়ার চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাডমিশন অফিস খোলা থাকবে। এ্যাডমিশন ফেয়ার উদ্বোধন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লি¬ন এর অধ্যাপক ও এন ইউ বি টি খুলনার এ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. এ.টি.এম জহিরউদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. ইব্রাহীম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) জনাব এ.এইচ.এম. মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফেয়ার চলাকালীন ভর্তি ফির উপর ৬০% সহ টিউশন ফির উপর বিশেষ ছাড় থাকবে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইংরেজী, সি.এস.ই, ই.ই.ই, সিভিল , আর্কিটেকচার ও অর্থনীতি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু আছে। এছাড়া স্মাতকোত্তর পর্যায়ে এম.বি.এ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ), এম.এ (ইংরেজী)ও এম.এস.এস (অর্থনীতি) কোর্স চালু আছে। -
কলারোয়া সীমান্ত থেকে ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কলারোয় প্রতিনিধি: কলারোয়া সীমান্ত থেকে সাড়ে ৩’শ পিস ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম কুমারনাল এলাকা তাদের আটক করা হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার গদোখালী এলাকার মৃত রফিকুল মোড়লের ছেলে মোঃ কাবিরুল ইসলাম কালু (২৮), একই উপজেলার কুমারনাল গ্রামের মৃত নুরল ইসলাম মোল্যার ছেলে আরিফুল ইসলাম মোল্যা (২১), ইসহাক বিশ্বাসাসের ছেলে আরিফুল বিশ্বাস (২৭), সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ মাহামুদুল হক বাবু (৩৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক দালালের ছেলে মশিউর রহমান মনি ৩৩), মৃগীডাঙ্গা গ্রামের রয়িচ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম সরদার (৪৭)।
ডিবি পুলিশের ইনেসপেক্টার জুলফিকার আলী জানান, কলারোয়া উপজেলার কুমারনাল সীমান্ত দিয়ে মাদকের একটি চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সাড়ে ৩’শ পিস ইয়াবাসহ উক্ত ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। -

দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গণি সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। গত ১৯এপ্রিল স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪৬.০৪৬.০২৭০০.০০.১৬৯.২০১৪-৬০৩ নং স্মারকে উপ-সচিব ড.জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন পত্রে জানানো হয়েছে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গণির বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় গত ২১ জুন ২০১৭ তারিখের অভিযোগ পত্র নং- ৯৩, ধারাঃ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-ক/২১ এবং অভিযোগ পত্র নং- ৯৩ক, ধারাঃ দ-বিধি ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪ বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যথাক্রমে গত ১৯.০২.২০১৮ গৃহিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলার অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে সরকার মনে করেন। তাই উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮[উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত]- এর ধারা ১৩(খ)(১) অনুসারে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গণিকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হলো।
-
দেবহাটা হিরারচক প্রাইমারি স্কুলে মিড-ডে মিল চালু ও পানির বোতল প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের হিরারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ মিড-ডে মিল চালু, পরিচয়পত্র বিতরণ প্রদান ও ওয়াটার পট বিতরণ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এ্যাড. ওসমান গণি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ মিড-ডে মিল চালু, পরিচয়পত্র বিতরণ ও পানির পট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ রফিকুর রহমান মিন্টু। অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের শতভাগ মিড-ডে মিল কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র প্রদান করেন ও তাদের হাতে নিরাপদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে ওয়াটার পট তুলে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ ওয়েলফয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে রবিউল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষিকা দীপালী ঘোষসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। -
তালার মাগুরায় পিচের কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলার মাগুরায় পিচের কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের দলুয়া বাজার টু মাদরা সড়কটি এলাকাবাসী কিছু ইটের কার্পেটিং ও কিছু মাটির সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। সম্প্রতি সড়কটি পিচের কার্পেটিং বাজেট হয়। স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্যাণ বশু সড়কটির পাঁকাকরণ কাজ করার চুক্তিবদ্ধ হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির কাজ শুরু করতে না করতেই সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করতে শুরু করেছেন। সড়ক নির্মাণ কাজে যে ইটের খোয়া ব্যবহার হচ্ছে তার অধিকাংশই ২ ও ৩নং ইটের খোয়া। সড়কের ধারে যে ইট ব্যবহার হচ্ছে তার অবস্থাও একই। এছাড়া সড়কটির প্রতিমধ্যে মাদরা ও পার-মাদরার মাঝখানে একটি ঢালাই ব্রীজ আছে। ব্রীজের সংযোগ সড়কের সাথে মিল না রেখেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিচু করে সড়কটি নির্মাণ করছেন। এতে করে কোন ভারী যানবহন ব্রীজে উঠতে ও নামতে গেলেই উল্টে পাশের গভীর খাদে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মান কাজ হলেও ঠিকাদার বা উপজেলার কোন কর্মকর্তা কাজ পরিদর্শনে তেমন আসেন না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মোহাম্মদ জসিম বলেন, কয়েকদিন আগে কাজের সাইডে গিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্যাণ বশু’র সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে আছি, পরে কথা বলেন’। এমতাবস্থায় ব্রীজের সাথে সড়কের সঠিক সংযোগ স্থাপন এবং সড়ক নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
-
সাতক্ষীরার ছেলে হ্যালো’র শান্ত খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বাংলাবিদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র এহসানুল কাদির শান্ত খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বাংলাবিদ নির্বাচিত হয়েছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি গ্রুপের কর্মকর্তা তাহের শিপন জানান, খুলনা বিভাগের দশটি’র জেলার সেরা আট হাজার প্রতিযোগিকে সাথে নিয়ে খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় তুমুল প্রতিযোগিতা। সেখানে নিজের সেরাটি দিয়ে এহসানুল কাদির শান্ত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। প্রথম স্থান অধিকারী এহসানুল কাদির শান্ত শিশুদের সংবাদ ভিত্তিক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিক। সে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের এ্যাড. মো. আনিসুর কাদির ও মিসেস রোকেয়া কাদিরের দ্বিতীয় সন্তান। তার বাবা মা ও হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাতক্ষীরা কো অর্ডিনেটর শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন সকলের কাছে শান্ত’র জাতীয় পর্যায়ে সাফল্যে’র জন্য সকলের শুভ কামনা চেয়েছেন।
এদিকে, চ্যানেল আই ও ইস্পাহানি বাংলাবিদের আরেকটি আয়োজন সুন্দর হাতের লেখা বিভাগীয় সেরা এবং যশোরে এইচএসবিসি ও প্রথম আলো’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত ভাষা প্রতিযোগিতায় বিভাগের সেরা দশ বানানবিদের একজন নির্বাচিত হয়েছে। -
উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই পাইকগাছায় বাগদা চিংড়িতে মড়কের হানা
বিশেষ প্রতিবেদক: উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই পাইকগাছার অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে মড়ক রোগ। চাষীরা কারণ হিসেবে এটাকে ভাইরাস সংক্রমণ বললেও মৎস্য অফিস মরা চিংড়িতে কোন রোগ বালাইয়ের চিহ্ন খুঁজে পাচ্ছেননা। অন্যদিকে এনজিও’র দাবি পানি ও খাদ্যই চিংড়ির ব্যাপক মড়কের জন্য প্রধানত দায়ী। তবে কোন পদ্ধতিতেই রোধ করা যাচ্ছেনা বাগদা চিংড়ির এ মড়ক। জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহ চিংড়ির উপযোগী লবন পানির স্বাভাবিক পরিবেশকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ। এমন অবস্থায় চিংড়ির বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ভবিষ্যত নিয়েও নানাবিধ আশংকা তৈরী হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন লোনা পানির জনপদের অধিকাংশ চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সুন্দরবন উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমান ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতেই আবাদ হয় লবণ পানির চিংড়ির। মৎস্য অফিস জানায়, এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সংকটে গত দু’বছর উৎপাদন ভাল হয়নি। সেবার মৎস্য অধিদপ্তর চিংড়ি উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬ হাজার মেট্রিক টন।
তবে গত বারের ন্যায় এবারো মওসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে চিংড়ির মড়কে একদিকে যেমন আশংকা তৈরী হয়েছে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার, অন্যদিকে শুরুতে পোনার দাম ও জমির হারি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় আন্তর্জাতিক বজারে দেশের চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম ভাল না থাকায় আগামীতে চিংড়ি চাষে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটাই মনে করছেন চিংড়ি সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ।
প্রসঙ্গত ৮০’র দশক থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয় লবন পানির চিংড়ি চাষ। শুরুতেই উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম ভাল থাকায় মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চিংড়ির চাষাবাদ। সোনার ধান, সোনালী আঁশ, সবুজ সবজি আর শষ্যের পরিবর্তে দিগন্ত জোড়া মাঠের সব দিকেই বিস্তার লাভ করে রুপালী পানি।
ফসলের জন্য আর দীর্ঘ অপেক্ষা নয়,সকাল-সন্ধ্যা ঝাঁঝালো গন্ধের চিকচিকে পানির নিচ থেকে উঠতে থাকে সাদা সোনা বাগদা। কিছুদিনের মধ্যে পাইকগাছাকে চিংড়ি উৎপাদনের জন্য বিশেষায়িত করা হয় “সাদা সোনার রাজ্য” হিসেবে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটি পতি বনে যান চিংড়ি চাষের সাথে সম্পৃক্তদের অনেকেই। তবে মূল জমির মালিকদের অবস্থা চলে যায় আরো তলানিতে। জীবিকার প্রধান মাধ্যম কৃষি শষ্যও আসেনা চাহিদানুযায়ী জমির হারিও পায়না। এক সময় জীবিকার ভিন্ন উপায় ও ঋণের দায় মেটাতে ঘেরের জমিটুকুও বাধ্য হয়ে তুলে দেয় ঘের মালিকদের কাছেই।
তবে ১ থেকে দেড় দশকের মধ্যে ১৯৯৫ সালের পর থেকে চিংড়ি ঘেরে শুরু হয় “ভাইরাস” বা মড়ক রোগ সংক্রমন। ধীরে ধীরে তা বিস্তার লাভ করায় পুরোপুরি লাভের মুখে থাকা চিংড়ি শিল্পে নেমে আসে আকস্মিক ধ্বস। এভাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অনেকেই লাভের আশায় বছরের পর বছর ধার-দেনা করে চাষাবাদ টিকিয়ে রাখে। সফলতা না আসায় এক সময় চাপ সইতে না পেরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। মাঝের দু’এক বছর কিছুটা ভাল হওয়ায় ফের কোমর বেঁধে মাঠে নামেন চাষীরা। তবে মাত্র এক বছর পর মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে আবারো মড়ক অব্যাহত থাকায় নতুন করে বন্ধের উপক্রম হয়েছে সম্ভাবনাময় এ শিল্প।
চিংড়ি চাষী নোয়াকাটির জাহাঙ্গীর আলম,কাশিমনগরের শেখ রবিউল ইসলাম,নজরুল শেখ,জাহাঙ্গীর শেখ,প্রতাপকাটির বজলু জানান, এবছর মওসুমের শুরুতেই তাদের ঘেরে দেখা দিয়েছে চিংড়িতে মড়ক। এখন পর্যন্ত অনেকে দু/এক কেজি মাছও বিক্রি করতে পারেননি তারা। অনেক ঘেরে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় অবমুক্ত’র সকল মাছই মরে সাবার হয়ে গেছে।
ব্যাপক হারে অব্যাহত চিংড়ি মড়ক আসলে কি ভাইরাস সংক্রমণ? নাকি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব? এনিয়ে চিংড়ি চাষী, মৎস্য অধিদপ্তর ও চিংড়ির উপর মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এনজিও গুলোও পরষ্পর বিরোধী কারণ দাবি করছে। চাষীরা এটাকে ভাইরাস সংক্রমণ বললেও মৎস্য অফিস মৃত চিংড়িতে খুঁজে পাচ্ছেননা কোন সংক্রমণ চিহ্ন। আর এনজিও গুলোর দাবি,পানি ও খাদ্য সমস্যাই প্রধানভাবে চিংড়ির ব্যাপকহারে মড়কের জন্য দায়ী।
এ প্রসঙ্গে চিংড়ি চাষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বে-সরকারি সাহায্য সেবী প্রতিষ্ঠান নিউ সানের এ্যাকুয়াকালচার প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সুকুমার অধিকারী বলেন,চিংড়ি চাষে মড়ক রোধ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাটি ও পানি পরীক্ষা এবং তার সঠিক পরামর্শ প্রদানই তাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তারা নিয়মিত চাষীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উঠন বৈঠক করছেন। এ উপায়ে সফলতা এসেছে বলেও দাবি এ এনজিও কর্তার। তিনি বলেন, মাটি ও পানি দূষণ এবং চাষীদের অজ্ঞতাই চিংড়ির ব্যাপকহারে মড়কের জন্য প্রধানভাবে দায়ী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার মন্ডল জানান, মড়ক আক্রান্ত ঘেরের চিংড়িতে এখন পর্যন্ত তারা কোন জীবাণু বা সংক্রমণের চিহ্ন খুঁজে পাননি। তবে চিংড়ির এ ব্যাপক ভিত্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও মহস্য কর্মকর্তা, জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড দাবদাহে চিংড়ির লবন পানির উপযুক্ত পরিবেশ বাঁধাগ্রস্থ ও খাদ্য দূষণে মাছের মড়ক লাগতে পারে বলে মনে করেন।
এদিকে চিংড়ির মড়ক রোধে বিভিন্ন কোম্পানি বাহারী সব প্রচারে বাজারজাত করছে নানাবিধ প্রতিষেধক। অনেকে আবার পরিবেশ বান্ধবের ধুয়ো তুলে নিজেদেরকে চিংড়ি বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও মূলত তাদের কারো কোন পরামর্শেই চিংড়ির মড়ক রোধ না হওয়ায় মূলত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। -
তালার বেগুনদাড়া খালের মাটি যাচ্ছে জামায়াতের অর্থ যোগানদাতার ইটভাটায়!
বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলার খলিষখালি ইউনিয়নের বেগুনদাড়া খালের মুখ বেধে পানির প্রবাহ বন্ধ রেখে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, গত দু’সপ্তাহ ধরে উপজেলার ইসলামকাটি মোড়ের মেসার্স রাণী এন্ড সানি ব্রিকস মালিক জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা আব্দুল খালেক স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ৩-৪টি এক্রাভেটর (খনন যন্ত্র) দ্বারা প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে বানিজ্যিক ভাবে ইট তৈরী করছেন ।
এ নিয়ে খালের পশে বসবাসকারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মাসখানেক পূর্বে ঐ খালের কৃষ্ণনগর ব্রীজের নিচে মুখ বেধে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে ঐ এলাকার চিংড়ি ঘেরগুলো পানির অভাবে কোটি কোটি টাকার মৎস্য চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত ৩-৪টি এক্্রাভেটর মেশিন দ্বারা মাটি কেটে ৫-৬ টি ট্রাকে ভর্তি করে এলাকার একমাত্র চলাচলের গ্রামীণ সড়ক দিয়ে অবিরাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। গ্রামের ছোট রাস্তা দিয়ে বার বার ট্রাকে করে মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে পিচের উপর কাদামাটি পড়ে পথচারিদের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া মাটি ভর্তি ট্রাকের চাপে সড়ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে খালের মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ায় বর্ষা মৌসুমে তীরবর্তী বসবারত বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা আতঙ্কে রয়েছেন। তীরে বসবাস কারি গাছা গ্রামের যমুনা রাণী, (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, এভাবে খালের মাটি কেটে নিলে বর্ষাকালে জলে ডুবে মরতে হবে। তাছাড়া রাস্তা নষ্ট হয়ে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তির অন্ত থাকবে না। কৃঞ্চনগর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার, রাহুল সরকার, তন্ময় সরকার,ও অভিজিৎ সরকারসহ অনেকের অভিযোগ, খালের মুখ বেধে পানির প্রবাহ বন্ধ করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ায় এলাকার মৎস্য চাষে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এদিকে মৎস্য ব্যবসায়ী ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মাধবচন্দ্র মন্ডলের অভিযোগ, সরকারের পরিকল্পনা ছাড়া খালের মাটি কেটে ইট ভাটায় নেয়ার কোন সুযোগ না থাকলেও জামায়াত নেতার অদৃশ্য শক্তিতে খালের মাটি কেটে ইট ভাটায় নেওয়ায় তিনি বিস্মিত হন । প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবির হোসেনের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা বিহীন খালের মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। খলিষখালি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান জানান, এলাকার জলবদ্ধতা দুরীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে সিন্ধান্ত নিয়ে ইটভাটা মালিককে মাটি কেটে নিতে বলা হয়েছে। খালের মাটি কর্তনকারী ইটভাটা মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি যথাযত কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছেন বলে জানান ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে এড়িয়ে যান। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন জানান, সরকারি খালের মাটি কাটার সুযোগ কারও নেই, যদি কেও এধরণের কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জামায়াতের অর্থযোগান দাতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামী খালেক কি অলৌকিক ক্ষমতা পেয়েছে? সরকারি খালের মাটি কাটার ক্ষমতা তাকে কে দিয়েছে ? আমি দেখছি।
স্থানীয় জনসাধারণ অতিসত্বর অবৈধ্যভাবে মাটি কাটা বন্ধ ও এ কাজের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। -

তৈলকূপীতে জোরপূর্বক মৎস্যঘের দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটার তৈলকূপীতে অবৈধ্যভাবে মৎস্যঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তৈলকূপীর বিলনটাডাঙ্গা মৌজায় বিশ্বজিৎ সাধুর ইজারা নেওয়া ঘের অতর্কিত দখল করে নেয় প্রতিপক্ষ। এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎ সাধুর ভাগ্নে অমিত কুমার সাধু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০১ সাল থেকে বিলনটাডাঙ্গা মৌজার কামারাবাদ নামক এলাকায় বিশ্বজিৎ সাধু ৩০০বিঘা ঘের ইজারা নিয়ে মাছ ও ধান চাষ করে আসছিল। ২০১৬ সালে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনি তার ভাগ্নে অমিত কুমার সাধূর উপর ঘের পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে অমিত কুমার সাধু উক্ত ঘের পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল নগরঘাটার আয়জুদ্দিন গাজীর ছেলে হান্নান গাজী, হান্নান গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ, সুলতানপুর এলাকার মৃত আনসার গাজীর ছেলে আওয়াল গাজী, মিঠাবাড়ীর আতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান তাদের দলবল নিয়ে বিশ্বজিৎ সাধুর ঘেরের মাঝখানে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে ভেড়ি বাধ দিতে থাকে। ঘেরের মাঝখান দিয়ে অবৈধ্যভাবে ভেড়ি বাধ দিতে বাধা দিলে তারা অমিত সাধুকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
এব্যাপারে অমিত কুমার সাধু গত ১৩ এপ্রিল পাটকেলঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তাদের ইজারা নেওয়া মৎসঘের অবৈধ্য দখলদারদের কাছ থেকে ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

শ্রীপুর-কুড়িকাহুনিয়া পাউবো’র ভেঁড়ীবাঁধে ফাটল
আশাশুনি প্রতিনিধি: শ্রীপুর-কুড়িকাহুনিয়ায় লঞ্চ ঘাটের দুই পার্শ্বে ২টি পয়েন্টে ভেঁড়ীবাঁধে ফাটল ধরে ভেঁড়ীবাঁধ ১/৩ অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার শংকায় স্থানীয়রা।
জানা যায়, প্রতাপনগর শ্রীপুর-কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ ঘাটের দক্ষিণ ও উত্তর পার্শ্বে পাউবো’র ভেঁড়ী বাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গন কবলিত অবস্থায় পড়ে আছে। বাধে ফাটল ধরায় যে কোন মূহুর্তে পাউবো’র ভেঁড়ীবাঁধ ভেঙ্গে কপোতাক্ষ নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে এলাকার ফসলী জমি, মৎস্যঘেরসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের যান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলি স্থানীয় গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণে বাঁেশর পাইলিং দিয়ে মাটিভরাট এবং বস্তাদিয়ে বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয় উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার সাথে মুটোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ভেঁড়ীবাঁধ সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে ২৩ তারিখ ওপেনিং হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ভেঁড়ীবাঁধ সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে। সংস্কার কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অযথা সময় নষ্ট করছেন। তাদের সময় ক্ষেপণ ও অবহেলার কারণে ভেঁড়ীবাঁধের আজ এ অবস্থা। -

দুই সীমান্ত থেকে ৯৯ পিস স্বর্ণের গহনা ও ৭৫ টি উট পাখির বাচ্চা জব্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত থেকে অবৈধভাবে আনার সময় জেলার পৃথক দুটি সীমান্ত থেকে ৯৯ পিস স্বর্ণের গহনা ও ৭৫ পিস উট পাখির বাচ্চা জব্দ করেছে বিজিবি।
শনিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ও পদ্ম শাখরা সীমান্ত থেকে এগুলো জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি বিজিবি।
জব্দকৃত স্বর্ণের গহনার মধ্যে রয়েছে, লকেটসহ ১১পিস চেইন, ১১ জোড়া নাকফুল, ৭৭পিস আংটি এবং ৭৫ পিস উট পাখির বাচ্চা। জব্দকৃত স্বর্ণের গহনার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে সদর উপজেলার কুশখালী বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত স্বর্ণের গহনা গুলো জব্দ করে। এদিকে, পদ্মশাখরা সীমান্ত থেকে ৭৫টি উটপাখির বাচ্চা জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, জব্দকৃত বাচ্চাগুলো প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।