Blog

  • সাতক্ষীরায় নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

    নিজস্ব প্রতিবেদক: “ বাংলাদেশের নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান ” শীর্ষক তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ এপ্রিল’১৮) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার মধ্যমে তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
    কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিউজ নেটওয়ার্ক- এর প্রধান নির্বাহী ও এডিটর শহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজাজামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এটিএন বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান । সার্বিক সহযোগিতা করেন নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ রেজাউল করিম।
    অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা “ নিউজ নেটওয়াকর্ ” এর প্রধান নির্বাহী ও এডিটর শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃরহম ঐঁসধহ জরমযঃং উবভবহফবৎং ডড়ৎশরহম ভড়ৎ ডড়সধহ’ং ধহফ এরৎষং জরমযঃং উবভবহফবৎং ইধহমষধফবংয. ( বাংলাদেশে নারী মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান ) প্রকল্পটি ৩ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থার (ইউএসএস) সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী ৮ জেলায় ( সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামে) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নিউজ নেটওয়ার্ক । এই কার্যক্রমের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকারের জন্য কর্মরত নারীর মানবাধিকার রক্ষাকর্র্মী এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সহায়তা প্রদান করা।
    অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান তার সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার স্বীকৃতি দেয় এবং নারী অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র ধারনাকে সমুন্নত রাখে। নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) অনুসমর্থন করে এবং নারী মেয়েদের অধিকারসমূহের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ পাস করে। এখনও বাংলাদেশে নারী ও মেয়েরা ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসহা এখানে খুব সাধারন ঘটনা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রতি পাঁচজন নারীর একজন বা ৮০ শতাংশ বাংলাদেশী নারী কোনে না কোন ধরনের সহিংসতার শিকার হন, যার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা, এসিড হামলা, ধর্ষন, পাচার, বাল্যবিয়ে, অবৈধ বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর পূর্বক পতিতাবৃত্তি উল্লেখযোগ্য। পারিবারিক সহিংসতা হচ্ছে সহিংসতার সবচেয়ে পরিচিত ধরন এবং গ্রামীন এলাকাতেই এটি বেশি দেখা যায়। যৌনহয়রানী, আত্মহত্যা, আত্মহত্যার চেষ্টা, এবং এমনকি এর প্রতিবাদ করায় হত্যার ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়।
    অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, পুরোহিত,মসজিদের ইমাম, ম্যারেজ রেজিষ্টার সহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যাক্তিবর্গ।

  • মার্চ-এপ্রিলে বজ্রপাতে ৭০ জনের মৃত্যু

    ডেস্ক রিপোর্ট: এ বছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাসে বজ্রপাতে সারাদেশে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

     

    এর মধ্যে এপ্রিলের শেষ দুই দিনেই ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারাদেশ কালবৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, গত মার্চ মাসে বজ্রপাতে মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পেয়েছেন। আর এপ্রিলে এসেছে ৫৮ জনের মৃত্যুর খবর।

    সরকার পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাইকে দেখেশুনে ঘর থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

    প্রয়োজনে ১০৯০ নম্বরে ফোন করে আবহাওয়ার পরিস্থিতি জেনে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

    গতবছর পাহাড় ধসে পার্বত্য এলাকায় ১৬৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর এবছর পূর্ব প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বলে জানান মায়া।

    যেসব এলাকায় বোরো জমির ধান পেকে গেছে, তা দ্রুত ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি।

    বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সুজিত কুমার দেবশর্মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

    “যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।”

    সচেতনতা

    >> বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উচুঁ স্থানে না থাকাই ভালো।

    >> বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা বিপজ্জনক। একান্ত বের হতে হলে রাবারের জুতো ব্যবহার করা উচিত।

    >> বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়া উচিত।

    >> যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

    >> উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ হবে।

    >> কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকেও দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    >> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে, ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে গাড়ি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

    >> বাড়িতে থাকলে বজ্রপাতের সময় জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকা নিরাপদ হবে না।

    >> বজ্রপাতের সময় বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা উচিত। ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকেও দূরে থাকা প্রয়োজন।

    >> মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে।

    >> ধাতব হাতলের ছাতা ব্যবহার না করাই ভালো।

    >> বজ্রপাতের সময় ছাউনিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাওয়া নিরাপদ নয়। ওই সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে থাকা উচিত।

    >> বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করাই নিরাপদ।

    >> বিপদ এড়াতে প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।

  • ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড

    ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড

    দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলের ঐতিহাসিক নদী যমুনা। যমুনা নদী সম্পর্কে সতীশ চন্দ্র মিত্র তাঁর যশোর খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন:

    ‘এ যমুনা সেই যমুনা
    যে যমুনার তটে ইন্দ্রপুরী তুল্য রাজপাট বসাইয়া কুরুপান্ডবে ইন্দ্রপ্রস্থ
    হস্তিনাপুরে রাঙ্গামেুয় যজ্ঞ সুসম্পন্ন করিয়া ছিলেন,
    যে কালিন্দী তটে বংশীবটে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমধর্মের অপূর্ব লীলাভিনয় হইয়া ছিল,
    যে যমুনা তীরে দিল্লী-আগ্রায়-মথুরা-প্রয়াগে হিন্দু-মুসলমান
    বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান মোঘল-ইংরেজ
    শতশত রাজ-রাজেশ্বর সমগ্র ভারতের
    রাজদভ পরিচালনা করিতেন
    এ সেই একই যমুনা।
    সেই তমালকদম্ব পরিশোভিত কোকিল কুজন মুখরিত
    নির্ম্মল সলিলে প্রবাহিত
    ভটশালিনী সুন্দর যমুনা।’

    যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে ছিল ঐতিহাসিক ও প্রত্মাত্বিক স্থাপত্য নিদর্শন, ধর্মীয় এবং লোকজ উৎসব ও সংস্কৃতি। এ ক্ষেত্রে যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বিষয়টা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে চাই। যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সংযোগ খাল, যা এক সময় স্থানীয় মৎস্য বৈচিত্র্যের আধার ছিল। খালগুলোর মধ্যে অন্যতম-ইছামতি, কদমতলী, সীমানা খাল, সোনার মোড় থেকে শরৎখানা খাল, বংশীপুর থেকে মাহমুদপুর সীমানা খাল, সোনার মোড় শ্মাশনঘাট দিয়ে সরদার বাড়ীর পশ্চিম দিক হয়ে হানারখালীর উপর দিয়ে কদমতলী সীমানা খাল, শরতখানা থেকে ভৈরব আলীর বাড়ীর দক্ষিণ দিক দিয়ে, বংশীপুর বীদগাহ সীমানা হয়ে গজলমারী, কদমতলী সীমানা খাল ও হাফরখালী শিশেল খাল ইত্যাদি।
    এ খানে অসংখ্যা বিল আছে। যেমন: নলবিল, হাফরবিল, দিঘীর বিল, কাশিপুরবিল, পশ্চিমবিল, হানরখালী বিল, মৃতঘেরী বিল, কাঁদার বিল, মাহমুদপুর চর, ফুলবাড়ির চরের বিল, চরের বিল, আঠারখানার হুলোর বিল ইত্যাদি।
    যমুনা নদীর চতুর্থ খ- ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। কাকশিয়ালী থেকে মাদার নদী পর্যন্ত যমুনা নদীর সর্বমোট ৫টি খন্ডর মধ্যে চতুর্থ খন্ডই প্রত্মাতাত্বিক নির্দশনের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এক সময় প্রবাহমান যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের দুই তীরে ছিল অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। যার মধ্যে বুরুজপোতা, বংশীপুর শাহী মসজিদ, যশোরেশ্বরী কালিমন্দির, হাম্মাম খান, শরৎবালা পুকুর, ত্রিকণা শিবমন্দির, খৃষ্টান গীর্জা, ধুমঘাট রাজধানী, জমিদারবাড়ীর চাউল ধোঁয়া পুকুর, শরতবালা স্মৃতিস্তম্ভ, জমিদার গোলাবাড়ী, শাহী মসজিদ গোরস্থান ও ঈদগাহ, সোনার মোড় শ্মশান ঘাট ইত্যাদি।
    ইতিমধ্যে ঐ সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন গুলোর অধিকাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বন্দোবস্ত বা ইজারা বাতিল করে প্রবাহ সুষ্ঠ করলে রক্ষা পাবে বিলুপ্ত প্রায় স্থাপত্য নিদর্শনগলো। অন্যথায় ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে ইতিহাস প্রদিদ্ধ ঐ সমস্ত প্রত্মতাত্বিক স্থাপত্য নির্দশন সমূহ।
    যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যান্ত পবিত্র স্থান। দেবরাজ ইন্দ্রের সহধর্মীনীর নাম বারুনী দেবী। মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে মর্তে আগামন করেন ভক্তদের সাক্ষাতের জন্য। দেবীর আগমন উপলক্ষে উক্ত তিথিতে ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়ে যমুনা নদীতে ¯œান করেন। তাদের ধারনা এই শুভদিনে বারুনী ¯œানমঙ্গল বয়ে আনবে। সেই আবহমান কালের ঐতিহ্য আজও হিন্দু ধর্মালম্বীরা পালন করে আসছে।
    নদী শুকিয়ে গেলে সভ্যতা বাঁচেনা। দখল ও দূষণ, নদী ও জলাশয়ের দুশমন। নদীর জীবনের সাথে কৃষি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব জড়িত। শ্যামনরের ঐতিহাসিক যমুনা নদীর জীবন ও স্কৃতি আজ ধবংস ও ক্ষত-বিক্ষত।
    কাকশিয়ালী থেকে মাদারনদী পর্যন্ত প্রবাহমান যমুনা নদীর সাথে সংযোগ ছিল ৪০টি খাল, ৪৪টি বিল, ৫৪টি স্থাপত্য নিদর্শন, ২৪ প্রকার লোকজ ও ধর্মীয় উৎসব। যমুনা নদী দখলের পূর্বে এ অঞ্চল ছিল স্থানীয় কৃষি প্রানবৈচিত্র্য, গবাদিপশুবৈচিত্র্য, মৎস্যবৈচিত্র্য, উদ্ভিদবৈচিত্র্য ও অসংখ্যা জলজপ্রালবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ। ভূমি, নদী ও জলাশয় দুশমনদের ভোগ বিলাসীতার জন্য চিরতরে ধবংস ও বিলুপ্ত প্রায়া। নদী ভোগ দখলের অধিকার কখনও একজন ব্যক্তির হতে পারে না। তাহলেই নদী বিপন্ন হয়ে পড়ে, যেমনটি হয়েছে যমুনা নদী উপর সকলের অধিকার প্রতিষ্টা হবে, নদী বিপন্ন হয় না, নদী হয় প্রবাহমান ও জীবন্ত।

  • ধর্মতলার চা

    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    জ্বি মামা বসেন দিতাছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। তখন ঘড়ির কাটা ঠিক বিকাল চারটা। ট্রেন চলতে শুরু করলো…ঝক ঝক শব্দে উদ্দেশ্য যশোর শহর এক পলক দেখা। সাথে  সাইমুম, বায়জিদ এবং অামি। সময় বিকাল ৫.২০ মিনিট। যশোর স্টেশনের মনোরম প্রকৃতি অামাদের স্বাগত জানালো। প্রকৃতির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু অাসলে অামরা কোথায় যাবো কেউ জানিনা। ধর্মতলার চা

    তৈয়েবুর তামিম
    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    জ্বি মামা বসেন দিতাছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। তখন ঘড়ির কাটা ঠিক বিকাল চারটা। ট্রেন চলতে শুরু করলো…ঝক ঝক শব্দে উদ্দেশ্য যশোর শহর এক পলক দেখা। সাথে  সাইমুম, বায়জিদ এবং অামি। সময় বিকাল ৫.২০ মিনিট। যশোর স্টেশনের মনোরম প্রকৃতি অামাদের স্বাগত জানালো। প্রকৃতির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু অাসলে অামরা কোথায় যাবো কেউ জানিনা।
    মামা! অামরা এই প্রথম যশোর অাসছি এখানে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অাছে যেমন: দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত খাবারের কিছু? স্টেশনের পাশের দোকানীর কাছে প্রশ্নটা ছিলো বায়জীদের। দোকানী মামার সাদামাঠা উত্তর ‘না মামা এখানে তেমন কিছু নাই যা অাছে সব বহুদুরে। তবে ধর্মতলায় বিখ্যাত চা অাছে সেখানে যেতে পারেন’
    -সাইমুম দোকানী মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিক্সা ভাড়া করলো। এবার উদ্দেশ্যটা ধর্মতলা। বিখ্যাত চা পান করা।
    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    মামা! বসুন দিচ্ছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় তাঁর চায়ের দোকান। দোকানের নাম ‘ইয়াকুব টি স্টোর’। রাস্তার ঠিক পাশেই প্রায় চার হাত বাই অাট হাতের একটি ঘর। এই ছোট্ট ঘুপছি ঘরটিই এখন যশোর শহরের সবচেয়ে পরিচিত চায়ের দোকান।
    স্বল্প পুঁজি, তাই ছোট্ট ঘর। ঘর ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কিন্তু কমতি নেই। চা বানাইতে দিনে প্রায় ২৫ কেজি দুধ লাগে তার।
    সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি সদা ব্যস্ত চা বানাতে আর সরবরাহ করতে। সাথে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা অার এই পুরো সময়টা তাকে যিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন তার সহধর্মীনি।
    চা বানানোর প্রস্তুতিটাই একটু অন্যরকম। শতব্যস্ততার মধ্যেও সুন্দর করে চায়ের কাপ গুলো পরিষ্কার করা হয় যাতে কেউ তার দূর্নাম গায়তে না পারে তারপর  সারিবদ্ধ কাপগুলোতে ঢালা হয় গাভীর দুধ, এরপর মামা ঘন কালো লিকার এমন ভাবে প্রতিটা কাপে ব্যালেন্স করে ফেলতে থাকেন; দেখে মনে হয় ফোটায় ফোটায় লিকারের সাথে দুধের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সখ্যতা মিত্রতায় রূপ নেয়। আর এভাবেই লিকার আর দুধ এর এক গভীর আত্মীয়তায় তৈরি হয় যশোরের ধর্মতলার চা।
    স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব মিলিয়ে মননে একধরনের চাঞ্ছল্য তৈরি করে ধর্মতলার এই চা। দুধের রঙ ধীরে ধীরে সাদা থেকে অফ হোয়াইটের দিকে যেতে থাকে। বিকেলে একটু ভিড় তুলনামূলক কম থাকে তবে সন্ধার পরের চিত্র ভিন্ন। রাতের প্রহর বাড়ার সাথে সাথে দুধের লাল রঙ এর এক্সপোজার শুরু হয়, চা এর কাপে শুরু হয় ভৈরবী রাগ এর মাতোম।
    চা এ চিনি বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে রাত। আর দোকানের সামনে বাড়তে থাকে জনমানুষের ভীড়।
    জনমানুষের ভীড়কে দূরে ঠেলে সেখান থেকে অামাদের খুলনার উদ্দ্যেশে রাত ৮ টার ট্রেন ধরা। সুন্দর একটি উদ্দ্যেশ্যহীন যাত্রা এমন একটি গল্পেরূপ নেয় যা স্মৃতিপটে লেপ্টেথাকবে বছরের পর বছর। রাত ৯.৩০ এ নিউমার্কেট পৌঁছালাম সেখান থেকে সোনাডাঙ্গা  তারপর তিনজনের উদ্দেশ্য তিনদিকে বেড়িয়ে পড়া…
    মামা! অামরা এই প্রথম যশোর অাসছি এখানে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অাছে যেমন: দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত খাবারের কিছু? স্টেশনের পাশের দোকানীর কাছে প্রশ্নটা ছিলো বায়জীদের। দোকানী মামার সাদামাঠা উত্তর ‘না মামা এখানে তেমন কিছু নাই যা অাছে সব বহুদুরে। তবে ধর্মতলায় বিখ্যাত চা অাছে সেখানে যেতে পারেন’
    -সাইমুম দোকানী মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিক্সা ভাড়া করলো। এবার উদ্দেশ্যটা ধর্মতলা। বিখ্যাত চা পান করা।
    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    মামা! বসুন দিচ্ছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় তাঁর চায়ের দোকান। দোকানের নাম ‘ইয়াকুব টি স্টোর’। রাস্তার ঠিক পাশেই প্রায় চার হাত বাই অাট হাতের একটি ঘর। এই ছোট্ট ঘুপছি ঘরটিই এখন যশোর শহরের সবচেয়ে পরিচিত চায়ের দোকান।
    স্বল্প পুঁজি, তাই ছোট্ট ঘর। ঘর ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কিন্তু কমতি নেই। চা বানাইতে দিনে প্রায় ২৫ কেজি দুধ লাগে তার।
    সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি সদা ব্যস্ত চা বানাতে আর সরবরাহ করতে। সাথে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা অার এই পুরো সময়টা তাকে যিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন তার সহধর্মীনি।
    চা বানানোর প্রস্তুতিটাই একটু অন্যরকম। শতব্যস্ততার মধ্যেও সুন্দর করে চায়ের কাপ গুলো পরিষ্কার করা হয় যাতে কেউ তার দূর্নাম গায়তে না পারে তারপর  সারিবদ্ধ কাপগুলোতে ঢালা হয় গাভীর দুধ, এরপর মামা ঘন কালো লিকার এমন ভাবে প্রতিটা কাপে ব্যালেন্স করে ফেলতে থাকেন; দেখে মনে হয় ফোটায় ফোটায় লিকারের সাথে দুধের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সখ্যতা মিত্রতায় রূপ নেয়। আর এভাবেই লিকার আর দুধ এর এক গভীর আত্মীয়তায় তৈরি হয় যশোরের ধর্মতলার চা।
    স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব মিলিয়ে মননে একধরনের চাঞ্ছল্য তৈরি করে ধর্মতলার এই চা। দুধের রঙ ধীরে ধীরে সাদা থেকে অফ হোয়াইটের দিকে যেতে থাকে। বিকেলে একটু ভিড় তুলনামূলক কম থাকে তবে সন্ধার পরের চিত্র ভিন্ন। রাতের প্রহর বাড়ার সাথে সাথে দুধের লাল রঙ এর এক্সপোজার শুরু হয়, চা এর কাপে শুরু হয় ভৈরবী রাগ এর মাতোম।
    চা এ চিনি বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে রাত। আর দোকানের সামনে বাড়তে থাকে জনমানুষের ভীড়।
    জনমানুষের ভীড়কে দূরে ঠেলে সেখান থেকে অামাদের খুলনার উদ্দ্যেশে রাত ৮ টার ট্রেন ধরা। সুন্দর একটি উদ্দ্যেশ্যহীন যাত্রা এমন একটি গল্পেরূপ নেয় যা স্মৃতিপটে লেপ্টেথাকবে বছরের পর বছর। রাত ৯.৩০ এ নিউমার্কেট পৌঁছালাম সেখান থেকে সোনাডাঙ্গা  তারপর তিনজনের উদ্দেশ্য তিনদিকে বেড়িয়ে পড়া…
  • শ্যামনগরে বিনাধান-১০ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস

    শ্যামনগর ব্যুরো: শনিবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরার সহযোগিতায় ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের অর্থায়নে লবন সহনশীল জাত বিনাধান-১০ এর ফসলকর্তন ও মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ এর মহাপরিচালক ড.বীরেশ কুমার গোস্বামী। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন লবনাক্ত এলাকার জন্য কৃষকদের তথ্য মতে বিনা ধান ১০ এর ফসল ভাল। এটিতে খরচ কম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম এবং সার কীটনাশক কম লাগে। তিনি জমি ফেলে না রেখে, চিংড়ী ঘেরের আইলে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন।
    বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আল-আরফাত তপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিংহের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, সাতক্ষীরা, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, বিনা ময়মনসিংহের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান, বেনেরপোতা, সাতক্ষীরার বারি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিমুল মন্ডল। সাতক্ষীরা বিনা উপকেন্দ্রের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শ্যামনগরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জি এম মাহফুজুর রহমান,ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডল,কৃষক সুশান্ত কুমার গায়েন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষক সঞ্জয় সরদারের প্রদর্শনী প্লট বিনাধান ১০ এর ফসল কর্তন করা হয় এবং জানানো হয় বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া গেছে প্রায় ২৫ মণ।

  • খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন মাজিদুল ইসলাম

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর জেলেখালি বালু মহল গত বছর ইজারা গ্রহণ করেছিলেন সাতক্ষীরার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম। চলতি ১৪২৫ সালের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা গ্রহণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে টাকাও জমা দেওয়ার জন্য তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
    শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম। তিনি বলেন গত বছর খুলনার এসএম ব্রাদার্স এর কাজি মাজিদুল ইসলাম ওই বালু মহল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে বাধা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ সময় মো. আইয়ুব আলি হাইকোর্টে একটি রীট করেন। হাইকোর্ট অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সাতক্ষীরার তৎকালিন আরডিসি মাফফরা তাসনিন রীট পিটিশন ১৬৩৯২/২০১৭ নম্বর মামলার ২০১৭ সালের ২১ আগস্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। (তারিখ ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি)। এর কিছুদিন পর আরডিসি মাফফারা তাসনিন আশাশুনির ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম আরও বলেন, ইউএনও মাফফারা তাসনিন যোগদানের পর অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে জানানো হলে তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করারও নির্দেশ দেন ইউএনওকে। তা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু কাজী মাজিদুল হক প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন এমনকি মাজিদুল হক আমার বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বলেছেন যে আমি মানিকখালি অ্যাপ্রোচ রোড নির্মানে মাজিদুলকে বাধা দিয়েছি। তিনি বলেন এ অভিযোগ মিথ্যা। ইউএনও এ বিষয়ে আমাকে নোটীশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মানিকখালি ব্রীজের অ্যাপ্রোচ রোডের ঠিকাদার মাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া এবং টেন্ডার গ্রহীতার টাকা না দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • আশাশুনি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রীট

    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রীট আবেদন করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক ৬ মাসের স্থগিতাদেশ ও ৬ সম্পাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে আদেশ দিয়েছেন।
    প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, গতবছরের ৭ নভেম্বর তিনি এ কলেজে যোগদানের পর থেকেই কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার, সরকারি কাজে বাধাপ্রদান, জাতীয় দিবসের অবমূল্যায়ন, দুটি ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, শিশু নির্যাতন, রাতের আধারে উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুরের কক্ষের নেমপ্লেট সরিয়ে নেয়া ও অবমূল্যায়নসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রভাষক জানান, তার কলেজের যোগদানের বিষয়টি নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তাকে ৭/১১/১৭ তারিখে আশাশুনি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বদলির আদেশ হলেও ৮/১১/১৭ তারিখে আবার জয়পুরহাট সরকারি কলেজে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে বদলীর পুনঃআদেশ করা হয়। কিন্তু তিনি জয়পুরহাটে যোগদান না করে ১১/১১/১৭ তারিখে আশাশুনি যোগদান করেন। তিনি আসার কিছুদিনের মধ্যেই কলেজে সরকারের যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ভেন্যুটি বন্ধ করে দেন। যার নিন্দা জানিয়ে উপজেলার পরিষদের সভায় রেজুলেশন করা হয়। মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনসিসিদের সঙ্গে নিয়ে জুতা পায়ে শহিদবেদীতে উঠে জাতির সাথে চরম ধৃষ্টতা দেখানো, গত বছরের জুন ও আগস্ট মাসে ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে আদায়কৃত ২২ হাজার ৮’শ টাকা উত্তোলন করা, সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ডিড অফ গিফট এর চুক্তি ভঙ্গ করে মোখলেছুর রহমান ও সুলতানা তুরিনাজকে এমপিও ভুক্তির জন্য কাগজপত্র স্বাক্ষর দিয়ে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে প্রেরণ করা, পুথি নিলয় প্রকাশনির অবৈধ গাইড বই শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৪০ হাজার টাকার বাণিজ্য করা, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়ানুষ্ঠানের নাম করে টাকা তুলে অনুষ্ঠান না করা, যোগদানের পর থেকে কলেজের সরকারি কোয়ার্টারে থাকলেও কোন যথারীতি ভাড়া না দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বাড়িভাড়া বাবদ মোটা অংকের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ বেশ জোরেশোওে উঠেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে একটি আম গাছে ওঠার অপরাধে এক শিশুকে মারপিট করায় তার (অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর বাদি হয়ে হাইকোর্টে ৩৯৩০/১৮ নং রীট পিটিশান করলে বিচারক তারিকুল হাকিম ও এম ফারুক এর যৌথ বেঞ্চ অধ্যক্ষের ৭/১১/১৭ তারিখের বদলি আদেশের প্রজ্ঞাপনটি ৪ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। সাথে সাথে ৪ সপ্তাহের মধ্যে উক্ত অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর রুল জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যোগদানের পর থেকে কলেজের অনেক পরিবর্তন আনতে কাজ করেছি। কলেজের কিছু শিক্ষক তাদের অবৈধ স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এধরের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

  • নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না আশাশুনির মানিকখালী সেতুর নির্মাণ কাজ

    নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না আশাশুনির মানিকখালী সেতুর নির্মাণ কাজ

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির মানিকখালী সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। দিনরাত কাজ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছেনা। তবে সেতুটি এখন খোলপেটুয়া নদীর উপর দৃশ্যমান। দেখে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছে।
    আশাশুনি সদর থেকে আধা কিঃমিঃ দুরে খোলপেটুয়া নদীর উপর নির্মানাধীন সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০৪.৫১ মিটার। প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। এর স্প্যান ৭টি, গার্ডার ৩৫টি। বরাদ্দ প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ১৫/০৫/১৭ তাং। কার্য সমাপ্তিকাল ৩০.০৬.১৮। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জন জেভি। কাজ তদারকি করছেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় পরিচালক গিয়াস উদ্দীন ও উপসহকারি প্রকৌশলী জিয়াউদ্দীন জিয়া। কাজ শেষ করার মেয়াদকাল আর মাত্র ২ মাস বাকী থাকলেও কাজ এখনো অর্ধেকও হয়নি। ৭টি স্প্যানের মধ্যে ৩টি শেষ হয়েছে, আর একটির কাজ চলছে। ৩৫টি গার্ডারের মধ্যে মাত্র ৫টির কাজ হয়েছে। স্থলভাগের ৪টি এবার্টমেন্টের মধ্যে ২টির কাজ শেষ হয়েছে। তবে এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে সিংহ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেতু নির্মান কাজ শেষ হতে এখনো দেড় বছর সময় লাগতে পারে।

  • কুলিয়ায় মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে মারপিট

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের হিরারচকে মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে মারপিট করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে হিরারচকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হকের ভাই সামিম হোসেনের মৎস্যঘেরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত আব্দুল মজিদের ছেলে হাফিজুল গাজী (২৮) জানান, আমি সামিমের পাশের ঘেরের কর্মচারি। আমাকে মাছ চোর বলে সামিম, তার শালাসহ কয়েকজন ব্যাপক মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের উদ্দোশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে চলে যায়। পরে আমি পরিবারের সদস্যদেরকে খবর দিলে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে সামিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাফিজুলকে আমার ঘের থেকে মাছ চুরি করতে দেখে পাশের ঘেরের কর্মচারি ওসমান। তাই আমার শালা, ওসমানসহ কয়েকজন তাকে সামান্য মারপিট করে। এদিকে, আহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

  • টিকেটে শালিস বৈঠাকে সন্ত্রাসী হামলা নারী-পুরুষসহ আহত-৫

    টিকেটে শালিস বৈঠাকে সন্ত্রাসী হামলা নারী-পুরুষসহ আহত-৫

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটার টিকেটে শালিস বৈঠাকের নামে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নারী-পুরুষসহ একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শনিবার সকালে টিকেট চরগবিন্দুপুর গ্রামের সালাম ঢালীর ঘেরের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, আয়জুদ্দিনের পুত্র মুনসুর আলী গাজী(৪৮), মুনসুর আলীর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন(৪২) ও রনজিদা খাতুন (২৮), সাদ্দাম গাজীর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন(৩৩), ইসরাফিল গাজী(১৪)। ঘটনায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী গাজী(৪৮) জানান, তিন মাস আগে তিনি সহ স্থানীয় ফতেমা নামে এক স্বামী পরিক্তার ছেলে জুবায়েদ বরিশালের ইট ভাটায় কাজের জন্য যায়। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতে ইটভাটার সরদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে চলে আসে। এতে উক্ত সরদার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় ফতেমা। তার ছেলের নামে মুনসুর আলী মিথ্যা মামলা করেছে এমন দাবি জানিয়ে শালিস বৈঠাক করার জন্য শনিবার দিন ধায্য করা হয়। উভয়পক্ষকে শালিসে ডাকে স্থানীয় মাতব্বর আব্দুর রহিম ও মহানন্দ। উভয়পক্ষ হাজির হওয়ার পর পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মুনসুর আলীর পরিবারের সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের শেষ হলে মুনসুর আলীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে আসে। কিছু সময় পর সাতক্ষীরা সদরের গাভা ফিংড়ি গ্রামের বাবুর আলী সাদ্দামের নের্তৃত্বে বাবুর আলী, আব্দুর রহমান, রবিউল ইসলাম, সবুজসহ ২০/৩০জন সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠি-সোঠা নিয়ে মুনসুর আলীর বাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। বাধা দিতে আসায় পুনরায় মারপিট করতে থাকে। এসময় বাড়ির নারী সদস্যরা ঘরে দরজা দিয়ে আতœরক্ষা করতে গেলে দরজা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করে। নারীদের শ্লীলতাহানী করে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সাদ্দাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিচারে গিয়ে মুনসুরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি। আমি বিচার শুরু হওয়ার আগেই মুনসুরের গালে ২টা থাপ্পর মারি। মুনসুর আমাদের গালিগালাজ করায় আমি ও আমার সাথীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা করি। তবে, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শালিশে ডেকে নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে এলাকা সুত্রে জানা গেছে। এদিকে, আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

  • দীর্ঘদিনেও পেরী-ফেরীভূক্ত হয়নি তালার আমানুল্লাহপুর বাজার

    দীর্ঘদিনেও পেরী-ফেরীভূক্ত হয়নি তালার আমানুল্লাহপুর বাজার

    তালা প্রতিনিধি: তালার কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমিতে স্থাপিত হলেও দীর্ঘ দিনেও তা পেরী-ফেরী হয়নি। বাজারে প্রায় ৩৫ টি দোকানের কারো নেই কোন মালিকানা। অন্যদিকে সরকারি কোন বন্দোবস্ত না থাকায় বাজারটি থেকে সেই প্রথম থেকেই সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়ে আসছে। সচেতন এলাকাবাসী বাজারটি পেরীফেরী ভূক্তসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    জানাগেছে, ব্রিটিশ শাষনামল থেকে তালা উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিঃমিঃ পশ্চিমে কুমিরা-তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি স্থাপিত হয়। তৎকালীন স্থানীয় এক সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি নিজ সম্পত্তিতে বাজারটি স্থাপন করেন। পরে তিনি এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ায় ঐ সম্পত্তি সরকার খাস খতিয়ানভূক্ত করে। পর্যায়ক্রমে বাজারটিতে ৩৪ জন দোকানি ইট দিয়ে ৩৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করলেও তাদের নিজস্ব কোন কাগজ-পত্র নেই। এমনকি তাদের কেউ কেউ বন্দোবস্তর জন্য আবেদন করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারটি পেরীফেরীভূক্ত না করায় প্রতি বছর বড় অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
    বাজরের স্থায়ী দোকানদার সূর্য কুমার দাশ, প্রশান্ত কুমার দাশ, সরু সরদার, প্রশান্ত দাশ, নিমু দাশ, মোহাম্মদ আলী, আজিজুর শেখ, আ. করিম খোকন, সন্তোষ রায়, আবু বক্কর ও বুলু জানায়, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা বাজারটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে তাদের বৈধ কোন কাগজ-পত্র নেই। তারা এসময় আরো জানান,দোকানিদের কেউ কেউ ২০১৫ সালের দিকে বন্দোবস্ত প্রাপ্তিতে আবেদন করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
    এদিকে চলতি সরকারের শাসনামলে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেলেও বাজারটিতে এতটুকু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি সরকারের হাট-বাজার তালিকায়ও নেই বাজারটির নাম। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি বার বার সরকারের পট পরিবর্তন হলেও কোন সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি বাজারটি উন্নয়নে ন্যুনতম কাজ করেনি। তাই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি সেখানকার ব্যবসায়ীদের।
    এব্যাপারে কুমিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার (ইউএলএও) আমিনুল ইসলামের ০১৭১৭-৬১৪৩৪৮ নং মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এলাকাবাসী জানায়, বাজার কেন্দ্রিক আমানুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজারের উপর একটি মন্দির ছাড়া এলাকায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোন শিক্ষা বণিজ্যিক কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
    আমানুল্লাহপুর বাজার কমিটি থাকলেও দীর্ঘ দিন কমিটির নির্বাচন হয়না। কমিটির বর্তমান সভাপতি আ. করিম এ প্রতিনিধিকে জানান, বাজারটিতে এর আগে নৈশ প্রহরার ব্যবস্থা থাকলেও নানা সংকটে তা বেশ কিছু দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,তালার আমানুল্লাহপুর নামে কোন বাজার আছে সেটা তার জানা ছিলনা। অবশ্যই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদে তরমুজ চাষে কৃষকদের বিপ্লব

    সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদে তরমুজ চাষে কৃষকদের বিপ্লব

    সেলিম হায়দার: আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও গত বছর দাম ভাল পাওয়ায় এবার পাইকগাছায় লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ২শ’ হেক্টর বেশি (৪১০ হেক্টর) জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে পানির অভাবে তরমুজ আবাদ মাজ পথে বিঘিœত হলেও ফলন ভাল হওয়ায় চলতি মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। ধারণা করা হচ্ছে আগামীতে উপজেলায় তরমুজের আবাদ আরো বাড়তে পারে।
    উপজেলা কৃষি বিভাগ ও এলাকাবাসী জানায়, পাইকগাছার ২২ নং পোল্ডার ও গড়–ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া ও কুমখালীতে দীর্ঘদিন যাবৎ তরমুজ চাষ করছেন সেখানকার কৃষকরা। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও সেখানকার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ঐ এলাকা উপজেলার তরমুজ চাষের জন্য সমৃদ্ধ। এখানকার তরমুজের ব্যতিক্রমী স্বাদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাই এর চাহিদা ও দামও অপেক্ষাকৃত বেশী। সুন্দরবন উপকূলীয় ও চিংড়ি চাষ অধ্যুষিত জনপদে যখন পরিবেশ বিধ্বংসী চিংড়ি চাষ দিন দিন প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে তরমুজের আশা জাগানিয়া সম্ভাবনা স্থানীয় কৃষকদের পথ দেখাচ্ছে নতুন আলোর।
    স্থানীয়রা জানান, তরমুজ চাষে শুধু চাষীরাই নয়, উৎপাদন মৌসুমে সেচ ও ক্ষেত পরিচর্যায় কর্মসংস্থান হয় এলাকার শ্রমজীবিদের।
    কৃষি অফিস জানায়, চাষাবাদে গত কয়েক বছরে কৃষকদের সাফল্য ও উৎসাহের উপর নির্ভর করে এবছর পাইকগাছা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে কৃষকরা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ৪১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড পাকিজা ও ড্রাগণ জাতের তরমুজের আবাদ করেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে আবাদ হয়েছে পাকিজা ও ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন জাতের তরমুজ। কৃষি অফিস আরো জানায়, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারে চাষ হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৮০ হেক্টর ও গড়–ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া কুমখালী এলাকায় বাকি ৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।
    কৃষি অফিস ও সংশ্লিষ্ট চাষীরা জানান, মৌসুমের শুরুতে সেচের জন্য পানির সংকট না থাকলেও এবছর বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় শেষ দিকে পানির চরম সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে ২২ নং পোল্ডার এলাকার চাষীরা রীতিমত বিপাকে পড়েন। মূলত ঐসময় স্থানীয় খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তাদের পানির এ সংকট বলে জানান তারা।
    এ ব্যাপারে উপজেলার কালিনগর গ্রামের মিন্টু বালা জানান, তিনি এবছর ১২ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। তবে শেষের দিকে খালে পানি না থাকায় পাইপ দিয়ে কয়েক শ’ মিটার দূর থেকে পানি এনে ক্ষেতে সেচ দিতে হচ্ছে। তবে এবার গতবারের চেয়ে আবাদ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে তরমুজ মৌসুম শুরু হলেও আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রির উপযোগী হবে। তার ধারণা, বিঘা প্রতি এবছর প্রায় ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে তার। সেখানকার আরেক চাষী পার্বতী সানা জানান, তাদের এলাকা তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হলেও সেচ ব্যবস্থা না থাকায় শুরুতেই নানা মুখী সংকট তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে অনেক দূর থেকে পাইপযোগে পানি এনে চাহিদা মেটাতে হয় তাদের।
    এব্যাপারে চাষী ও শ্রমিক লতিকা ও কামনা বালা জানান, তরমুজ উৎপাদন মৌসুমে সেচ ও ক্ষেত পরিচর্যা করে ঘন্টা প্রতি ৫০ টাকা হারে অতিরিক্ত আয় করে থাকেন তারা। চাষী মেঘনা বালা জানান, তাদের উৎপাদিত তরমুজ পর্যায়ক্রমে ২/৩ বারে তরমুজ উঠাতে হয়। এরপর তা পাঠানো হয় ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, তার এলাকার ২২ নং পোল্ডার তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। গত বছর ঐ এলাকা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছিল। দ্বিগুণ আবাদ ও ফলন ভাল হওয়ায় এবছর প্রায় ৪০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
    তবে তরমুজ চাষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান পানির জন্য আগ্র হারিয়ে ফেলছেন সেখানকার অনেক কৃষক। বিশেষ করে ২২ নং পোল্ডরের ৫ টি ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রায় ৭ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যরে একটি খাল রয়েছে। জনপদের কৃষকরা বিভিন্ন ফসল আবাদে এই খালের পানি দিয়েই চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। তবে দীর্ঘ দিন সংষ্কারের অভাবে হ্রাস পেয়েছে খালটির পানি ধারণ ক্ষমতা। তাই মৌসুমের শেষের দিকে খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষেতের সেচ করাতে অনেক দূর থেকে পাইপ যোগে পানি এনে চাহিদা পূরণ করতে হয় তাদের। এতে খরচের পাশাপাশি ভোগান্তিতে অনেকেই তরমুজ চাষের আগ্রহ হারাচ্ছেন। তার দাবি খালটি খননপূর্বক মিঠা পানির নিশ্চিত উৎস্য তৈরী হলে তরমুজের পাশাপাশি অন্যান্য চাষাবাদেও তাদের বেঁচে থাকার অন্যতম প্রাণ কৃষকরা ঘটাতে পারে এক ভিন্ন মাত্রার বিপ্লব।
    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএইচ এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলা ঐ অংশে দীর্ঘদিন যাবৎ তরমুজের আবাদ ভাল হওয়ায় সেখানকার কৃষকরা এখন তিল চাষের পরিবর্তে তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। যে কারণে এবার সেখানে লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কৃষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন। তার বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিবেশ ও দাম ভাল পাওয়ায় সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদের কৃষকরা আশা জাগানিয়া তরমুজ চাষে ঘটাতে পারেন এক নতুন বিপ্লব।

  • তালায় কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ পাড়ে রাস্তা নির্মাণ

    বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাবেক এক চা গবেষকের যৌথ হস্তক্ষেপে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ পাড়ের তালার জেঠুয়া এলাকার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফের ফিরে পাচ্ছে এলাকাবাসী। প্রথমে কপোতাক্ষের করাল গ্রাস ও পরে নাব্যতা হ্রাসে বিলীণ হওয়া বিস্তীর্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর,রাস্তা-ঘাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি ও উজানের উগ্রে দেওয়া পানিতে সৃষ্ট কৃত্রিম জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেতে কপোতাক্ষ খননের পর এবার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফিরে পাওয়ার খবরে এলাকাময় এখন আনন্দের বন্যা বইছে। তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
    তালা উপজেলা নির্বাহী কমৃকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন ও বাংলাদেশ চা রিসার্স ইন্সটিটিউটের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ কামাল লানচু হক জানান,প্রথমে কপোতাক্ষের করার গ্রাসে তালাসহ নদী উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদের রাস্তা-ঘাট,ঘর-বাড়ি,ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নদী গর্ভে বিলীণ হয় শ’ শ’ একর আবাদি জমি। এর পর কপোতাক্ষ’র নাব্যতা হ্রাস শুরু হলে কয়েক বছরে তা ভরাট হয়ে অস্তীত্ব সংকটে পড়ে। মৌসুমের বৃষ্টি ও উজানের ঠেলে দেওয়া পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতার। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কৃত্রিম জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নেয় এখানে-সেখানে। এমন অবস্থায় গণ দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে।
    ইতোমধ্যে কপোতাক্ষের বিভিন্ন এলাকায় খনন সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী এর সুফল পেতে শুরু করে। এর পর চাহিদার প্রেক্ষিতে জরুরী হয়ে পড়ে চলাচলের যাতায়াত ব্যবস্থার। এলাকাবাসী জানায়,কপোতাক্ষের পাশ দিয়ে এক সময় বাইপাস সড়ক ছিল। যা এলাকার সাধারণ মানুষের ঘরোয়া বা গ্রাম্য রাস্তা বলে পরিচিত ছিল। সব কিছু ফিরে পাওয়ার পর তাদের রাস্তার দাবি রীতিমত রুপ নেয় গণদাবিতে। এমন অবস্থায় স্থানীয় জেঠুয়া এলাকার সাবেক এক চা গবেষক শাহ কামাল লাচ্চু হকের উদ্যোগে ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের যৌথ প্রচেষ্টায় কমৃসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের অধীনে কপোতাক্ষের জেঠুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জেলে পাড়া মোড় থেকে জেঠুয়া বাজার পাল বাড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
    এদিকে গত কয়েক দশক আগের রাস্তাটি নতুন করে ফিরে পাবার খবরে আনন্দের বন্যা বইছে জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এজন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
    প্রসঙ্গত,রাস্তাটি নির্মাণ হলে বিস্তিীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রায় ৩ কিঃমিঃ রাস্তা কমে চলাচল সহজতর হবে। এর আগে মাত্র কয়েক শ’ মিটার দুরত্বে পৌছাতে ঐ এলাকার মানুষদের পাড়ি দিতে হত কয়েক কিঃ মিঃ এলাকা।

  • জেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

    জেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

    ডেস্ক রিপোর্ট: জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। “উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির আয়োজনে পুরাতন জজ কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন জজ কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্বে দেন জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
    র‌্যালি শেষে জজ কোর্ট চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, অসহায়, সহায়সম্বলহীন মানুষকে বিনা খরচে আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে নির্যাতনের শিকার নারীদের বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্ত্তী, চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ হাসান, নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক হোসনে আরা আক্তার, সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, আকম রেজওয়ান উল্লাহ, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বাস সুদেব কুমার প্রমুখ। সহকারি জজ ফারহা দিবা ছন্দা ও আয়শা আক্তার মৌসুমীর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুবিধা বঞ্চিত বিচার প্রার্থী নাছিমা খাতুন। আলোচনা সভা শেষে রক্ত দান কর্মসূচি এবং জনসচেতনতা মূলক নাটিকা অনুষ্ঠিত হয়।

  • কাশিমাড়ীতে কৃষকলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় বিক্রির অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দলীয় কার্যালয় বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। এঘটনায় ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, বিগত কয়েকবছর পূর্বে কৃষকলীগ নেতাকর্মীদের বসার জন্য একই এলাকার আশরাফুল গাজী ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এক খ- জমি দান করেন। সে অনুযায়ী উক্ত স্থানে ঘর নির্মাণ করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি বর্তমান ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উক্ত অফিসের আর্ধেকাংশ জয়নগর এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হবির কাছে বিক্রিয় করেছেন। ইতোমধ্যে হবি সেখানে পাকা ভিত্তি নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। নেতাকর্মীরা আরো জানান, বর্তমান সভাপতি রাজ্জাক দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষকে অতীষ্ট করে তুলেছে। বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষের জমি জাল করে দখল করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে কারণে তিনি অত্র এলাকায় জাল রাজ্জাক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
    এ ঘটনায় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অফিস বিক্রয় করিনি। অফিসটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। সে কারণে হবি নিজ খরচে সেখানে ২টি পাকা ঘর নির্মাণ করবে একটিতে আমরা দলীয় কার্যক্রম চলাবো, অন্যটিতে হবি ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি মহলের অফিস বিক্রির মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
    অফিস ক্রেতা হবি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অফিস ক্রয় করিনি। সভাপতির শর্ত অনুযায়ী আমার খরচে ২টি ঘর করে একটিতে তাদের অফিস হবে অন্যটিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হবে।
    ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ রহিম বলেন, সভাপতি নিজের ক্ষমতায় অফিসটির অর্ধেক বিক্রিয় করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি আমাদের কোন ভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ নিয়ে ইউনিয়ন কৃষকলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে সভাপতির বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।

  • আশাশুনির মানিকখালী স্লুইস গেটের মুখে ধ্বস

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা সদরের মানিকখালী স্লুইচ গেটের রিভার সাইটে পাইপের মুখে ধ্বস নেমে জোয়ার ভাটার পানি উঠানামা করছে। যে কোন সময় ভাঙ্গনে গেটের অংশ বিশেষ ছুটে গিয়ে এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। ফলে এলাকার মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন।
    আশাশুনি উপজেলা পরিষদ হতে পূর্ব দিকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত মানিকখালী স্লুইচ গেটটি। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, পাকিস্তান আমলে নির্মীত এ গেটটি সংস্কারের অভাবে খুবই জীর্ণশীর্ণ হয়ে আছে। ২৫/৩০ বছর আগে একবার কোন রকমে একটু সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন ভূমিকা না থাকায় এটি আরো জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে আছে। প্রায় এক বছর ধরে গেটটির নদীর দিকে দুফোকড়ের পাইপের মুখে ধ্বস নামে। বর্তমানে সেখানে আড়াই হাত-তিন হাত এলাকা জুড়ে বড় গর্তেও সৃষ্টি হয়েছে। বাইরের পাটা লাগানো থাকলেও ধ্বস নেমে ওয়াল থেকে পাইপ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পানি ওঠা-নামা করছে। দিন দিন ওয়ালটি নদীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। যেকোন জোয়ার-ভাটায় সেটি নদীগর্ভে পড়ে গেলে গেট সহ ওয়াপদা রাস্তা ভেসে যেতে পারে। এতে জোয়ারের পানি ভেতরে ঢুকে প্লাবিত হতে পারে পুর্বের বিলের শতাধিক ছোট-বড় মৎস্য ঘের, উপজেলা সদরের অফিস এলাকা, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির সহ আশাশুনি সদরের বাসিন্দারা। অফিস এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়লে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। এছাড়া গেটের ভিতরের মুখে লোনা লেগে পলেস্তারা উঠে ও ভেঙে যাওয়ায় পাঠ লাগানো যায়না। পাটা লাগানো থাকলেও পাট আটকে রাখার কলাম ভেঙ্গে যাওয়ায় পাট অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ফলে জোয়ারের পানি ওঠা-নামায় প্রায়ই নিয়ন্ত্রন রাখা মুশকিলে পড়তে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বাঁশের সাথে দড়ি দিয়ে পাট টানা দিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ গেটটি দিয়ে শতাধিক ঘেরের পানি ওঠা-নামা করা সহ ১ ও ২ নং ওয়ার্ড এবং উপজেলা সদরের বৃষ্টির পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। জনগুরুত্বপুর্ন এই গেটটি রক্ষনা-বেক্ষনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন খোঁজ খবর নেয় না। যতদ্রুত সম্ভব গেটটি সংস্কার করে পাইপের সাথে ওয়ালের সংযোগ স্থাপন করা সহ ভেতরের দিকে প্লাষ্টার করে পাট বসানোর উপযোগী করে তোলা প্রয়োজন।
    সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপুর্ণ এ অবস্থা চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি কিন্তু তাদের ধীরগতির পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষ ও শতাধিক মাছ চাষীরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে আছে। এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও আবুল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান মারফত গেটটির কথা শুনেছি। যতদ্রুত সম্ভব আমরা এটা মেরামতের চেষ্টা করছি।

  • ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ

    ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোমরা হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১৭২২ এবং ১৯৬৪) এর নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার আশংকায় নীল নকশা করে আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। ১৭২২ এর আবিদ হোসেন ও ১৯৬৪ এর সাইফুল ইসলাম এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্যে প্রকৃত শ্রমিকদের সদস্যপদ বাতিল করে অশ্রমিকদের সদস্যভুক্তি করেছেন। অথচ বন্দরে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করে, মাসিক চাঁদা দিয়েও সদস্য হতে পারেননি অনেক প্রকৃত শ্রমিক। সোমবার দুপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে জড়ো হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এধরনের অভিযোগ করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যরা।
    শ্রমিকরা বলেন, ইউনিয়ন দুটি দীর্ঘদিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলো পূর্বের কমিটি। অনেক জল্পনা কল্পনার পর আগামী ১১ মে নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দের ভোটার তালিকা প্রদান করবেন। সে অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পরাজিত নিশ্চিত উপলদ্ধি করতে পেরে পূর্বের (১৭২২)কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন ও (১৯৬৪) অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকার দোকানদার এবং শ্রমিকের কাজ করে এমন ব্যক্তিদের তালিকা ভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে বন্দরে যারা সারাদিন শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সদস্যভুক্তি করা তো দূরের কথা গত নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছিলো এমন অনেক সদস্যদের তালিকায় নাম নেই। এদের মধ্যে আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মহিদুল ইসলাম, ইউসুফ আলী ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সদস্য ছিলো। কিন্তু এ নির্বাচনে আবিদ হোসেনের বিপক্ষের প্রার্থীর সাথে থাকায় তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া আব্দুল আলিম নামের একজন শ্রমিক বিগত ২০১৩ সাল থেকে শ্রমিকদের কাজ করে যাচ্ছেন তাকে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ভর্তি ফিও নেওয়া হয়েছে কিন্তু তার সদস্যপদ দেওয়া হয়নি।
    এঘটনায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন শ্রমিকদের নাম বাদ যাওয়ার কথা স্বীকার করেই বলেন, দু চারটি নাম বাদ যেতেই পারে। তবে এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়া হয়নি। এছাড়া যারা পূর্বে শ্রমিক ছিলো তাদের নাম তো বাদ যাবেই। দোকানদারদের সদস্যভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন এটা হতে পারে। অনেকেই দোকানদারির পাশাপাশি আমাদের সদস্য রয়েছেন।
    এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী বলেন, স্বচ্ছভাবেই এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাদের নাম বাদ পড়েছে তারা আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। বিশেষ করে পুরাতন সদস্য যদি বাদ পড়ে থাকে তাদের পূর্বের নাম্বার টা জানালে আমরা কোন শর্ত ছাড়াই সদস্যভুক্ত করবো।