ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম সাফাভি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “সিয়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী ও নেতানিয়াহুর পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।”
সোমবার (৩০ জুন) তেহরানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়াত চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরির স্মরণে আয়োজন করা হয়, যিনি ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ হন।
জেনারেল সাফাভি, যিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টাও, বলেন—
“মহাশয়তান ও ক্ষুদ্র শয়তান— অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদি রাষ্ট্র— সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ সিয়োনিস্টদের ‘মৃত্যুচক্রকে’ আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে দিয়েছে।
জেনারেল সাফাভি জানান, সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে লড়াই আপাতত থেমে গেলেও, ইরান তাদের শত্রুদের ঘাঁটি, কাঠামো, বাহিনী ও আঞ্চলিক স্বার্থ সম্পর্কে ভালোভাবেই জানে।
তিনি বলেন, ইসলামিক রেভ্যুলিউশন গার্ডস কর্পস (IRGC)–এর ক্ষমতা শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। শত্রুপক্ষের সব ঘাঁটি ইরানের লক্ষ্যবস্তুর ডেটাব্যাংকে সংরক্ষিত, যা লক্ষ্য করে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
“শত্রুর আরেকটি ভুল বা ভুল হিসাব তাদের স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলো আরও বড় ঝুঁকির মুখে ফেলবে,” বলেন তিনি। “ইরানের জবাব এবার আরও ভয়ঙ্কর হবে।”
১৩ জুন ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা ইরানের নিউক্লিয়ার, সামরিক ও আবাসিক স্থানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। এতে ৯৩০ জনের বেশি মানুষ শহীদ হন, যাদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিকরা।
এরপরই ইরানি বাহিনী পাল্টা প্রতিরোধে নামে।
IRGC-এর এয়ারোস্পেস ইউনিট পরিচালিত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ–৩’-এর আওতায় ২২ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় ইসরায়েল অধিকৃত বিভিন্ন শহরে, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
Leave a Reply