Site icon Daily Dakshinermashal

বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই সেরা টেস্ট দল: হার্শা ভোগলে

Spread the love

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুই টেস্টের পাশাপাশি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের। সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াটওয়াশ করে দারুণ ছন্দে রয়েছে নাজমুল শান্তর দল।

টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান রোহিতদের বিপক্ষে কথা বললেও, এবারের সিরিজে শান্ত-সাকিবরা লড়াই করবে বলে মনে করেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশের স্কোয়াড নিয়ে আলোচনা করেছেন হার্শা ভোগলে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন এটিই তাঁর দেখা বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল। ‘আমি খুবই খুশি যে ভারত আরও একবার বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

দুঃখজনকভাবে এই দেশটি খুব বেশি আমন্ত্রণ পায় না। ২০১০ এর পর থেকে বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে যায়নি। আর অস্ট্রেলিয়া? অস্ট্রেলিয়া তাদেরকে কেবল একবার টেস্ট খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে, অফ সিজনে। তো খুবই খুশি যে ভারত তাঁদের দায়িত্ব পালন করছে, বাংলাদেশকে ভারতে ডেকে টেস্ট খেলছে।’

এটা যখন বলছি, তখন এটাও সত্য যে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে পালসটা বেশি থাকে না। এর আগে বাংলাদেশ যখন এসেছে তাঁরা সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি। তাঁরা ১৩ টেস্ট খেলেছে ভারতের সঙ্গে, কয়েক ম্যাচ ড্র করেছে বৃষ্টির বদান্যতায়, হেরেছে ১১ টিতেই। একটা ম্যাচ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল।

তবে আমি তাঁদের ম্যাচ শেষ করার তেমন ক্ষুধা দেখিনি। শেষবার তাঁরা যখন ২০১৯ এ পিংক বল টেস্ট খেলতে এল আমি আসলে তাঁদের লড়াই করার ক্ষুধা দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, এসব মাথায় রেখেও আমি কেনো এবার বাংলাদেশের ভারতে আসা নিয়ে আগ্রহী? কারণ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে অনেক অনেক দিন পর এটা তাদের সেরা টেস্ট দল যা আমি দেখেছি। এমনটা বলার পেছনে কারণও আছে।

বাংলাদেশকে সেরা বলার কারণ ব্যাখা দিয়ে হার্শা ভোগলে বলেন, প্রথম কারণ পেস। নাহিদ রানা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা অন্যতম উদীয়মান বোলার। আপনি যখনই সত্যিকারের পেস দেখবেন, আপনি বিমোহিত হবেন।

আমরা দেখেছি তাকে অনেক ভালো পাকিস্তানি ব্যাটারদের বিপদে ফেলতে। হাসান মাহমুদ সেখানে উইকেট তুলে নিয়েছে। মনে করি তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ তাঁকে প্রমাণ করার যে কেনো আমরা অনেকেই তাঁকে হাইলি রেট করি। তাঁদের ভালো ৩ গতিময় পেসার আছে।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনই তৈরি আরও বড় দায়িত্ব নিতে। আমি জানি না সাকিব আর কতদিন খেলবে। তাঁর সময় শেষের পথে। মুশফিকুর রহিম এখনো দারুণ ব্যাটিং করছে। কিন্তু যদি এই দুজন সরে যান তাহলে লিটন ও মিরাজ তাঁদের যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট।

এই সিরিজে উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি না বাংলাদেশ ভারতে এমন উইকেট পাবে যা তাঁরা বাংলাদেশে পেয়ে অভ্যস্ত। ভারত তাদেরকে টার্নিং উইকেট দেবে না, কারণ তেমন হলে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য কমে যাবে। বাংলাদেশের সাকিব, তাইজুল, মিরাজ- তিন জন কোয়ালিটি ফিঙ্গার স্পিনার আছে। বাংলাদেশে টেস্ট ম্যাচে যেমনটা হয়েছিল এরপর ভারত এই সুযোগ নেবে বলে মনে হয় না। ভারত পেস সহায়ক উইকেট প্রস্তুত করলে অবাক হবেন না।

ভারত ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে, আমি বলব তারা স্পষ্ট ফেভারিট। আমি বাংলাদেশ দল থেকে লড়াই দেখতে চাইব যা পূর্বে দেখা যায়নি। বাংলাদেশ লড়াই করলে ভালো একটা টেস্ট সিরিজ হবে।

Exit mobile version