Site icon Daily Dakshinermashal

অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

Spread the love

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে বলা হচ্ছে, নতুন দল তৈরি করতে হবে। নতুন দল তৈরি করার কথা বললে জনগণ কীভাবে বুঝবে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?

‘দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট: উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমাদের ব্যবস্থাকে জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে নিয়ে আসার। সেটা কি নস্যাৎ করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে? যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে যখন বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যদি বলেন, নতুন দল তৈরি করতে হবে, তাহলে জনগণ কী করে বুঝবে যে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেশ কিছু গোষ্ঠী বলতে শুরু করেছে যে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালে জন্য রাখা হোক। সমস্ত সংস্কার তারাই করুক। যে কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। সে জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসনকে সহায়তাকারীরা এখনো প্রশাসনে রয়ে গেছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে। তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে তাতে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান সংস্কার ও শাসনব্যবস্থা মেরামত করতে হবে। যারা হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা করা যাবে না। বিচার করতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করতে হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। কোনটা আগে শুরু করা হবে, সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং তা কীভাবে টেকসই যায়, তা ভাবতে হবে। কারণ, অর্জন করলেও তা টিকিয়ে রাখা যায় না। যে সংস্কার না করলে এই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনার করা দরকার।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও কে এম জাবির।

Exit mobile version