সাতক্ষীরায় পাওনা টাকা না দিতে নয়া কৌশল


নভেম্বর ১৯ ২০২৩

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় খামার মালিকের গরু বিক্রি করে দিয়েছে তার কর্মচারি। আর খামারের মালিক গরু বিক্রির টাকা চাওয়ায় খামারের কর্মচারি গোলাম সরোয়ার উল্টো আদালতে মামলা করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সালিশ বৈঠাক মাধ্যমে মিমাংসা করে দিলে ও গরু বিক্রির টাকার দিচ্ছেনা গোলাম সরোয়ার। আর গরু বিক্রির টাকা না পেয়ে সর্বশান্ত হতে বসেছে খামার মালিক মোস্তাফিজুর রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের পাঁচরখি গ্রামে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরখি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। গ্রামের বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি গরুর খামার। আর এই গরু খামার দেখা শুনা করার জন্য একই গ্রামের গোলাম সরোয়ারকে মাসিক চুক্তিতে কাজ করান। গোলাম সরোয়ার তার খামার দেখা শুনা করতেন। খামারে গরু ছিল ২৪টি। আর মোস্তাফিজুর রহমান থাকতেন ঢাকায়। ইতিমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান খামারে না থাকায় ছয়টি গরু বিক্রি করে দেয় খামারের কর্মচারি গোলাম সরোয়ার। খামারের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জানতে পেরে বাড়িতে আসেন এবং গোলাম সরোয়ারের নিকট গরু বিক্রির টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাছে বিচার দেন। বিচারে বসে জনপ্রতিনিধিরা হিসাব করে গোলাম সরোয়ারকে বলেন পাওনা টাকা দিতে বলেন । সে সময় গোলাম সরোয়ার টাকা দিকে স্বীকার হলেও এখন আর টাকা দিচ্ছে না। টাকা না দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে টাকা ফিরে পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, তারা মোস্তাফিজুর রহমান ও গোলাম সরোয়ারের বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু গোলাম সরোয়ার সে সময় মেনে নিলেও এখন আর টাকা দিচ্ছে না। এছাড়া আরো অনেক লোকের নিকট থেকে গোলাম সরোয়ার টাকা নিয়ে আতœসাৎ করেছেন । সে সব ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদে মামলা চলমান রয়েছে।
গোলাম সরোয়ার জানান, তিনি ঢাকায় কাজ করতেন। ইউনিয়ন পরিষদ ভোটের সময় বাড়ি আসেন। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মাষ্টার মফিজুর রহমানের পক্ষে ভোটের কাজ করেন। ভোটের পর চেয়ারম্যানের ভাই মোস্তাফিজুর রহমানের গরুর খামারে কাজ করতেন। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার পর চেয়ারম্যান ও মেম্মররা তার বাড়ি এসে এই বিষয়ে সালিশ করেন। সে সময় না বুঝে সালিশ নামায় সহি করেন। তিনি আরো বলেন মোস্তাফিজুর রহমান তার নামে মামলা করেছেন।সে কারণে তিনিও আদালতে মামলা করেছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান মাষ্টার মফিজুর রহমানের ও তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাষ্টার মফিজুর রহমান জানান, গোলাম সরোয়ার তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানের গরুর খামারে কাজ করতেন। সে সময় খামার থেকে ছয়টি গরু বিক্রি করে দেয়। গরু বিক্রির টাকা খামার মালিক মোস্তাফিজুর রহমানকে না দিয়ে নিজে আতœসাৎ করে। এঘটনায় স্থানীয় মেম্বরদের নিয়ে তিনি মিমাংসা করে দেন। গোলাম সরোয়ার তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমা কে পাওনা টাকা দেবে বলে জানান। পরে টাকা না দিয়ে টালবাহনা করতে থাকে। টাকা না দিতে গোলাম সরোয়ার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। গোলাম সরোয়ার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছেন তাদের নামে।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি