বাংলাদেশের মুল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে মৎস্য বিভাগ।
তারমধ্যে চিংড়ি চাষীদের অবদান অনেক। সেই চিংড়িচাষীদের প্রশিক্ষিত করার
লক্ষে কাজ চলছে। আর প্রশিক্ষিত চিংড়িচাষীরা বদলে দেবে দেশের দক্ষিণ
উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য অর্থনীতি। বাংলাদেশে চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য
মৎস্য অধিদপ্তর সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্টের
মাধ্যমে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সম্ভাবনাকে
কাজে লাগিয়ে চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ৭৫০০ জন চাষিদের নিয়ে ৩০০ টি চিংড়ি
ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছে। এসকল ক্লাস্টারে ঘেরের মাটি কেটে পানির গভীরতা
৩-৪ ফুট বৃদ্ধি, এসপিএফ পিএল মজুদ, জৈব নিরাপত্তা বজায় রাখা, উন্নত সনাতন
পদ্ধতির ব্যবহার, উন্নত মানের খাদ্য ব্যবহার ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহন
করার ফলে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ৩৬০ কেজি থেকে বেড়ে ৮৫০ কেজিতে উন্নীত
হয়েছে। ক্লাস্টার চাষিদের একার্যক্রমে উৎসাহিত হয়ে অন্যান্য চাষীরাও
আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলায় ৭৪ টি ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছে।
তারমধ্যে ২৩ টি ক্লাস্টারে প্রায় ৯ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
ক্লাস্টার বাস্তবায়নে যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে এগুলো মোকাবিলা করে এটিকে
সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারগণের
উপস্থিতিতে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরায় মৎস্য চাষীদের নিয়ে
টেকসই ক্লাস্টার ফার্মিং পদ্ধতির প্রচারের জন্য উন্মুক্ত আলোচনা সভা ও
নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনা সভা ও নাগরিক সংলাপ
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর
আলম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি সলিডারিটেড সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরার এল্লারচরে চিংড়ি
সংস্কৃতি প্রদর্শন খামারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার
দিনব্যাপি এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আনিছুর
রহমান।
এসসিএমএফপি প্রকল্পের উপ- প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রী
অনুষ্ঠানের মুল প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন কনে। আলোচনা করেন জেলা
মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো: হাদিউজ্জামান, সদর উপজেলা
নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন, সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: শফিকুল ইসলাম।
সলিডারিডেড সাতক্ষীরার সমন্বয়কারী এ বি এম শহিদুল হকসহ সাতক্ষীরা জেলার
সকল উপজেলার মৎস্য অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা, সাতক্ষীরার চিংড়ির সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেন। এবং পরিকল্পিত চিংড়ি চাষের মাধ্যমে চাষীরা যেমন সাবলম্বী হতে পারবে
তেমনি দেশের রপ্তানি ও বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে।