আশাশুনি- সাতক্ষীরা সড়ক : মরা গাছে মরণ ফাদ


নভেম্বর ১৪ ২০২৩

মশাল ডেস্ক : সাতক্ষীরা আশামুনি সড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন বাহনে এ পথে চলে। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি মরণ ফাদে পরিনত হয়ে। সড়কে পার্শ্বে লাগালো গাছ সমুহ মরা অবস্থায় দাঢ়িয়ে আছে দীর্ঘ দিন। মরা গাছরের ডালসহ গাছ সে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় বিপর্যয় ঘটাতে পাওে যে কোন সময়। সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে বার বার জ্ঞাত করার পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে প্রকাশ।
উল্লেখ্য, সড়কের দুইধারে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে থাকা মরা রেইনট্রি গাছের কারণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কে চলাচল মারাত্মক ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। যে কোন মূহুর্ত্বে এসব মরা গাছ সড়কের উপর ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। জেলা পরিষদের মালিকানধীন হওয়ায় গাছ গুলো সরাতে সাহস পাচ্ছে না এলাকাবাসী। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জাননোর পরও সড়কের দুই ধার থেকে মরা গাছ গুলো সরিয়ে নেওয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন ওইসব সড়কে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
সরেজমনে সাতক্ষীরা-আশাশুনি, সাতক্ষীরা- কালিগঞ্জ সহ কয়েকটি সড়ক ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার ৯টি প্রধান সড়কের পাশে রয়েছে সারি সারি রেইনট্রি গাছ। গাছগুলো শুকিয়ে গেছে অনেক আগে। শুকনো গাছের ডাল ও কাঠ ভেঙে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সামান্য বাতাস কিংবা ঝড়ে মরা গাছের শুকিয়ে যাওয়া মগ্ন ডাল ভেঙে সড়কে পড়ায় আহত হচ্ছেন পথচারী ও স্থানীয় মানুষজন। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারী ও যানবাহন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানানোর পরেও শুকনা গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলচল করতে হচ্ছে তাদের। শুকনো গাছগুলো সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ওই সড়ক গুলো এখন সৃষ্টি হয়েছে মরণ ফাঁদে।
স্থানীয়দেও সাথে কথা বলে যানা যায়, তাদের বসতবাড়ির উপর দিয়ে রাস্তার দুই পাশে গাছের শুকনো ডাল রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। কখনো শুকনো গাছ বা ডাল ভেঙে পড়লে তাদের একেকজনের গোয়ালে থাকা প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাড়িতে থাকা ছোট ছোট শিশুরাও।সাতক্ষীরার আশাশুনি সড়কের ভাড়ায় চালিত যানবহন চালক জানান, রাস্তার দুই পাশের গাছের যে অবস্থা তাতে মনে সব সময় আতঙ্ক কাজ করে। যেকোনো সময় উপর থেকে শুকনো ডাল পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুকনো গাছগুলো তুলে ফেলে নতুন গাছ রোপণ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক অমিতা মন্ডল বলেন, বন বিভাগের আওতাধীন শুকনো গাছগুলো সড়কের পাশ থেকে সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত সেগুলো কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার ৯টি সড়কের দুই পাশে থাকা অধিকাংশ রেইন্ট্রি গাছ শুকিয়ে মারা গেছে। বেশ কিছুদিন আগেই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। কিছু কিছু স্থানে এই মার গাছের কারণে সড়কে যানবাহন বা পথচারীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের ধারের গাছ গুলো সরকারের সম্পদ হওয়ায় এগুলো সারিয়ে নিতে একটি প্রক্রিয়া মেইনটেইন করতে হয়।
তিনি বলেন, দরপত্র বা টেন্ডারের মাধ্যমে এই গুলো সরিয়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যে বন বিভাগের মাধ্যমে জরিপ করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে শুকনো গাছগুলো দ্রুত সড়কের দুই পাশ থেকে সরিয়ে নেয়া হবে।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি