Site icon Daily Dakshinermashal

তালায় কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ পাড়ে রাস্তা নির্মাণ

Spread the love

বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাবেক এক চা গবেষকের যৌথ হস্তক্ষেপে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ পাড়ের তালার জেঠুয়া এলাকার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফের ফিরে পাচ্ছে এলাকাবাসী। প্রথমে কপোতাক্ষের করাল গ্রাস ও পরে নাব্যতা হ্রাসে বিলীণ হওয়া বিস্তীর্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর,রাস্তা-ঘাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি ও উজানের উগ্রে দেওয়া পানিতে সৃষ্ট কৃত্রিম জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেতে কপোতাক্ষ খননের পর এবার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফিরে পাওয়ার খবরে এলাকাময় এখন আনন্দের বন্যা বইছে। তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
তালা উপজেলা নির্বাহী কমৃকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন ও বাংলাদেশ চা রিসার্স ইন্সটিটিউটের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ কামাল লানচু হক জানান,প্রথমে কপোতাক্ষের করার গ্রাসে তালাসহ নদী উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদের রাস্তা-ঘাট,ঘর-বাড়ি,ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নদী গর্ভে বিলীণ হয় শ’ শ’ একর আবাদি জমি। এর পর কপোতাক্ষ’র নাব্যতা হ্রাস শুরু হলে কয়েক বছরে তা ভরাট হয়ে অস্তীত্ব সংকটে পড়ে। মৌসুমের বৃষ্টি ও উজানের ঠেলে দেওয়া পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতার। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কৃত্রিম জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নেয় এখানে-সেখানে। এমন অবস্থায় গণ দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে।
ইতোমধ্যে কপোতাক্ষের বিভিন্ন এলাকায় খনন সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী এর সুফল পেতে শুরু করে। এর পর চাহিদার প্রেক্ষিতে জরুরী হয়ে পড়ে চলাচলের যাতায়াত ব্যবস্থার। এলাকাবাসী জানায়,কপোতাক্ষের পাশ দিয়ে এক সময় বাইপাস সড়ক ছিল। যা এলাকার সাধারণ মানুষের ঘরোয়া বা গ্রাম্য রাস্তা বলে পরিচিত ছিল। সব কিছু ফিরে পাওয়ার পর তাদের রাস্তার দাবি রীতিমত রুপ নেয় গণদাবিতে। এমন অবস্থায় স্থানীয় জেঠুয়া এলাকার সাবেক এক চা গবেষক শাহ কামাল লাচ্চু হকের উদ্যোগে ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের যৌথ প্রচেষ্টায় কমৃসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের অধীনে কপোতাক্ষের জেঠুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জেলে পাড়া মোড় থেকে জেঠুয়া বাজার পাল বাড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দশক আগের রাস্তাটি নতুন করে ফিরে পাবার খবরে আনন্দের বন্যা বইছে জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এজন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
প্রসঙ্গত,রাস্তাটি নির্মাণ হলে বিস্তিীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রায় ৩ কিঃমিঃ রাস্তা কমে চলাচল সহজতর হবে। এর আগে মাত্র কয়েক শ’ মিটার দুরত্বে পৌছাতে ঐ এলাকার মানুষদের পাড়ি দিতে হত কয়েক কিঃ মিঃ এলাকা।

Exit mobile version