Site icon Daily Dakshinermashal

প্রেম এবং যৌনতা

Spread the love

শেখর দীপ, কলকাতা : প্রেম এবং যৌনতা দুটি শব্দ পরস্পর এতো কাছে থেকেও এর প্রতি মানুষের মনোভাবে এক অদ্ভুত সুয়োরানী এবং দুয়োরাণী গোছের মনোভাব। প্রথমটি সহজেই উদযাপনের বিষয়, দ্বিতীয়তই চিরকালের অবগুণ্ঠিত। দ্বারে বসন্ত জাগ্রত, শিয়রে প্রেমের মরশুম, কিন্তু এই একবিংশ শতকের উল্লাসী জীবনের মাঝে প্রেম বড়ই ম্যাড়মেড়ে হয়ে উঠেছে।

উদযাপনে রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও রয়েছে, কিন্তু জীবনে তার বড্ড অভাব। না এখানে ঠিক প্রেম বলবো না, বলবো সম্পর্ক, ভালোবাসা। যার উদযাপনের মাত্রাটা পৃথক। যার স্পর্শ-টা তেমন মোটা দাগের নয়। নিভৃতে যে নিজেকে গুছিয়ে রাখে এক মোলায়েম চারাগাছের মতো। তবে তাতে একদিনের, দুদিনের জোর বৃষ্টির দরকার হয় না। দরকার হয় প্রতিদিনের অল্প জলের। কিন্তু এখন মানুষের সেই সময় কোথায়?

একদিন হেদিয়ে ভালোবাসা দেখিয়ে তারপর বছর ভর শুধু অভাব অভিযোগ এবং একটু এদিক ওদিক ছুঁক ছুঁক। আহা ওই ছুঁক-ছুঁকানি আজকাল আধুনিকতা। অন্তত এমনটি তাদের ধারণা বইকি। তারপর কথায় কথায় বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পর্ক বিচ্ছেদ এবং আরও দ্রুততায় নতুন কোনও সম্পর্কের সন্ধান। এক নামী ঘড়ির বিজ্ঞাপনী ভাষাই তো-‘ এগিয়ে যান’। তা সে কোথায় এগিয়ে যাবো এবং কেন এগিয়ে যাবো তা নিয়ে সবাই চুপ। এই এগিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিটাই তো বিজ্ঞাপনী কায়দা। ধরে রাখতে চাইলে তা তো খুব পুরাতন। সে সব তো খুব কঠিন, ম্যাড়ম্যাড়ে। তাই হেদিয়ে ছুটে চলেছি সামনে। যে পড়ে থাকার থাকুক, যে মরে যাওয়ার যাকগে। আমি তো এগিয়ে থাকলুম।

সেখানে যদি আমার ভালোবাসার মানুষটি একটু ঘ্যানঘ্যানে হয়, একটু কল্পনা বিলাসী হয়, একটু দাবি দাওয়া বেশি থাকে তবে সে স্মার্ট নয়। এই স্মার্ট বাজারে যখন সবাই এতো আবেগ-বর্জিত সেখানে আন-স্মার্ট ন্যাকা-বোকা প্রেমে কি লাভ। বিশেষত যেখানে প্রেমটাই এতো সহজলভ্য। বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট আছে যেখানে সহজেই প্রেমে পড়া যায়। তাই থেমে চলা মুশকিল। মাঝে মাঝে এসবের মধ্যে থেকে নিজের গা থেকে কেমন একটা ডাইনোসর মার্কা গন্ধ আসে। ভাবি আমি কি বিলুপ্ত হচ্ছি, নাকি হয়ে গেছি বুঝতে পারছি না। এই চমৎকার মুখ দেখানো সভ্যতায় আমি এক স্বেচ্ছা নির্বাসন নেওয়া নাবিক।

আসলে যে মানুষ একবার বুঝে যায় চমকের অগভীরতা সে খুব ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে চায়, মননে, সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে চায় একটি জগত সুন্দর করে গড়ে তুলতে। এই ক্ষেত্রে একটি বিন্দু থাকা খুব আবশ্যক। সূচনা বিন্দু। একটি লক্ষ্য বা এপিসেন্টার। আমার জন্য সেটা চিরকালই প্রেম। একটি মানুষের ভালোবাসায় বিশ্বাস করা। এবং সেই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে একটি মায়া-জগত গড়ে তোলা। আমাদের মন বারবার এরকম একটি জগত গড়ে তুলতে চায় যেখানে আমরা ভালো থাকি। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এই জগত বিভিন্ন প্রকার। কেউ উচ্চ কোনো আদর্শকে কেন্দ্র করে একটা জগত গড়ে তোলেন, কেউ বা একটা রাজনীতি বোধ থেকে।

আমি কোন কালেই রাজনীতি, উচ্চ আদর্শ অথবা কোনও মতবাদে( সে ঈশ্বর হোক অথবা শয়তান) বিশ্বাস করি নি। মনের মধ্যে একটা প্রকৃতি চিরকালই বাসা বেঁধে ছিল। মনের সেই প্রকৃতির সঙ্গে বাইরের প্রকৃতির একটি মেল-বন্ধন ঘটাতে চাইতাম ছোট থেকে। শৈশব থেকে কৈশোরে উপনীত হয়ে মেয়েদের প্রতি যে আকর্ষণ অনুভব করি তাই প্রথম প্রেম বলে মূলত জেনেছি। বলা বাহুল্য তা রূপের উন্মাদনা। কোন মেয়েটির মুখ বড়ই নরম, কোন মেয়েটির চলন বলন বড়ই সুমিষ্ট এই হল আমাদের আকর্ষণের মূল বিন্দু।আমার যে বান্ধবীরা সে যুগে আমাদের দলে ভিড়ে যথেচ্ছ ‘ছেলে’-মানুষী করেছে সেসব খাঁটি হীরেদের সেযুগে( বা হুজুগে) তুচ্ছ করেছিলাম, এটা স্বীকারোক্তি। পরবর্তীতে তারা সমস্ত বিদুষী হয়েছে এবং তাদের সেই মূল্য না বুঝতে পাড়ায় আমরা হাত কামড়ে মরেছি। আসলে যাদের সহজেই নাগাল পাচ্ছি এই মনুষ্য-জীবনে তাদের সঠিক মূল্য দিতে শিখলাম কই। আমাদের যত মোহ আভাসের প্রতি। সেসমস্তও শ্বেত-মরালীদের প্রতি যারা তাচ্ছিল্য ভরে সামান্য ঈশারা কিপটের মতো ছড়িয়ে দিয়ে যাবে এবং আমরাও ঘেউ করে চলে যাবো পেছন পেছন।

যাই হোক, সে অবস্থা থেকে মস্তিষ্ক বর্তমানে কিঞ্চিৎ পরিণত হয়েছে। যে রূপজ এবং দেহজ সৌন্দর্যের প্রতি আমরা উন্মত্ত হয়ে ভুল পথে গিয়েছিলাম সেসব মোহ আর নেই আজকাল। আজকাল মানুষের মনের প্রতি এক তীব্র লোভ। কিন্তু মানুষের মনের প্রতি তীব্র লোভ থাকলে যে নিজের মনটিকেও গুছিয়ে নিতে হয়, সাজিয়ে নিতে হয়। অন্তত প্রেমের ক্ষেত্রে পকেটে অর্থ না থাকলে মনেতে শৌখিনতা অবশ্য কর্তব্য। দুটি মন নানাভাবে কাছে আসতে পারে। দৈহিক সৌন্দর্য একটি বড় বিষয়। মানসিক এবং দৈহিক। পূর্বরাগের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত দরকারি। মানুষের গুণ দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে একে অপরের কাছে আসে মানুষ। কোনও একটি দর্শন, একটি চমৎকার বোধ, অথবা অস্তিত্ব চেতনা দুটো মানুষকে সহজেই কাছে আনতে পারে। রূপের তুলনায় এই গুনের টান পাওয়া মানুষগুলো একটু অন্য গোত্রের হয়। তাদের মধ্যে এক শিল্প-চেতনা এমন ভাবে বিরাজ করে যাতে করে জীবনের অনেক গভীর স্তরে তাদের বসবাস। যে রূপ তারা দেখতে পায় তা সকলে দেখতে পায় না। যাক গে সে কথা আলোচনা করা আমার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়।

প্রেম থেকে একটি সম্পর্ক ভালোবাসায় আসতে গেলে একটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। বলা বাহুল্য এই পথ তেমন সহজ হয় না, না হওয়াই মঙ্গল। যত কঠিন এই পথ একটি মানুষের সঙ্গে ওপর মানুষের থাকার ইচ্ছেটাও তত প্রবল ভাবে বেড়ে যায়। তারা বুঝতে পারে পরস্পরের সুবিধা, অসুবিধা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো। পুরুষের ক্ষেত্রে কাম এবং প্রেম দুই বড্ড তাড়াহুড়োর। সহজেই তারা উন্মত্ত হয়ে যায়, সহজেই তারা সমস্ত প্রেম একবারে দেখিয়ে ফেললেই যেন বাঁচে। এই ভবসাগরে ডুব দিয়ে তারা এখুনি সব সম্পদ নিয়ে আসবে এই হল তাদের পণ। নারীদের ক্ষেত্রে কাম এবং প্রেম দুইই নানা স্তর পার হয়ে আসে। তাদের কোনকিছুই খুব আচমকা নয়, অনেক ধীর, অনেক পরিণতির মধ্যে দিয়ে যে ভালবাসাটা বাসে তা দীর্ঘস্থায়ী। কারণ তার মধ্যে বহুদিনের সঞ্চিত এক বোধের বসবাস। পুরুষের এই আচমকা উত্তেজনা তারা সহজে সইতে পারে না, আহত হয়, তবু এই উত্তেজনায় তারা আকৃষ্ট হয়। এই পাগলামো পেতে কম বেশি সমস্ত নারী ভালোবাসে। এই হল তাদের সমর্পণ। এই সমর্পণের পেছনে শারীরিক এবং মানসিক দুই বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। দু ক্ষেত্রেই তারা কখনো নিয়ন্ত্রণাধীন হতে চায় এবং কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। পুরুষের ক্ষেত্রে যদিও এই দুই বৈচিত্র্য কিঞ্চিৎ কম।তাদের ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক পাগলামি এবং দুর্বলতা ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। তাতে সমর্পণ আছে, আবার অহং-ও প্রবল। সমস্ত জগত থেকে নারীকে বিচ্ছিন্ন করে সে পেতে চায়, এবং নিজেকে সমর্পণ করতে চায়। অন্তত প্রাথমিকে। নারী এই পাগলামি যে ক্ষণস্থায়ী তা বোঝে, তবু ক্ষীণ প্রশ্রয় দেয়, কারণ নারীর মধ্যে অবস্থিত পুরুষের ভাগ। মান, অভিমান, অহংকার, হিংসের এই পর্ব যদি দুটি মানুষ কাটিয়ে দিতে পারে তখন তাদের মধ্যে এক সেতু-বন্ধন হয়। সব কথা তখন বুঝিয়ে দিয়ে হয় না, চোখে চোখে কথারা নিজেদের অবস্থান খুঁজে নিতে পারে। শরীরে নৈকট্য আসে। মানসিক প্রেম শরীরকে গ্রহণ করে অধিকারের ভীত আরও একটু মজবুত করতে চায়। এই কাছে আসায় এক অদ্ভুত আনন্দ, অন্তত এই নীল গ্রহে একটি প্রাণ ওপর প্রাণকে অধিকারে বাঁধতে চাইছে এই বোধ বাঁধতেও আছে, বাঁধা পড়াতেও আছে। তাই যৌনতা অতি সুন্দর বিষয়, যতক্ষণ না তা কদর্য। মানুষ মাত্রেই তার মধ্যে রুচিশীল এবং রুচিহীন যৌনতা আছে, এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই-ই বাস্তব। কিন্তু রুচিহীন যৌনতা যদি রুচিশীল যৌনতাকে ছাপিয়ে ওঠে তখন কেবল মাংসের উৎসব থাকে। মন এবং মানুষ, কেউই থাকে না।

আমাদের সমাজে এখন কেবল এই রুচিহীন যৌনতার উৎসব। রাষ্ট্র-শক্তির দ্বারা অবদমিত, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন গোষ্ঠীর দ্বারা বিজ্ঞাপিত এই যৌনতা আদতে যৌনতার সুন্দর দিককে আমাদের চোখে নষ্ট করে দেয়। ফলে ক্রমাগত মন অপরাধী হয়ে ওঠে। যে বিষয়টি প্রকৃতির মতোই সুন্দর এবং স্বাভাবিক তা আমরা অপরাধ-বোধ নিয়ে অনুভব করি। এই অবদমিত যৌনতাই আমাদের জীবনে প্রচুর অপরাধের কারণ। এবং এটি একটি ব্যবসায়িক লাভ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে একাধিক সম্পর্ককে স্মার্ট রূপে তুলে ধরা যেমন একটি ব্যবসায়িক চক্রান্ত। এটি একটি বিজ্ঞাপনী কায়দাও। একটি ভালোবাসাকে দীর্ঘদিন ধরে লালন করা, সেটিকে ধৈর্য দিয়ে, যতœ দিয়ে, অধিকার দিয়ে আগলে রাখা একটি বৃহৎ শিল্প। কিন্তু এই সমাজ শিল্পী নয়, শ্রমিক চায়। শিল্পিতে বিপদ, শ্রমিক কম ভাবে, তাই সে কম বিপদজনক। শ্রমিকের যতœ করার সময় নেই, কোনকিছুতে সে যদি বিশ্বাস করে তা হল অর্থ এবং উন্নতি। সমবয়স্ক বন্ধুদের মধ্যে এরকম বহু উদাহরণ দেখি যারা কেবল উন্নত চাকরি এবং উন্নত মায়না দিয়ে কিনে নিতে চায় নারী হৃদয়। তাদের ক্ষেত্রে নারী পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং নারী বিনিময় মূল্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরা আধুনিক কারণ এদের কোনও আবেগ নেই। পিছুটান-হীনতাকে এরা আধুনিকতার শ্রেষ্ঠ পরিচয় রূপে জানে। এই ছদ্ম আধুনিকতায় হৃদয়ে এরা কতটা গরীব তা হয়ত এরা কোনোদিন বুঝতেই পারে না।

ভালবাসা কোনও কিনে নেওয়া বিষয় নয়, কোনও মূল্যবান সম্পত্তি নয়। একটা বোধ, তাতে আর যাই হোক স্টেপ জাম্প হয় না। জিতে নিতে হয়, ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। কথাটা শুধু কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে নয়, নারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আসলে নিজেকে কোনও একটি মানুষের জন্য সমর্পণ করতে আমরা ভয় পাই। এই যুগ আমাদের মধ্যে এক খুঁড়োর কল এমন ভাবে লাগিয়ে দিয়েছে যাতে আমরা কেবল অন্ধের মতো অর্জন করতেই শিখেছি। কিন্তু তাতে আদৌ শান্তি পাচ্ছি কিনা, সেটা ভেবে দেখার মতো অবসরও আমাদের নেই। তাই আমাদের এই ছিনিয়ে নেওয়া জীবনে প্রেম বড় দুর্লভ। ভালোবাসা আমারই মতো বিলুপ্তপ্রায়। চিঠি নেই, অপেক্ষা নেই, চিরকুট নেই, চোখে চোখে কথা বলা নেই, একটা আলতো ছোঁয়ায় বুঝিয়ে দেওয়া নেই, কেবল আছে চিৎকার, উল্লাস, প্রেমের প্রকাশ্য-স্থূল উদযাপন এবং নিয়মিত কদর্য যৌনতা। তাতে শিল্প নেই, দুটো শরীরের মিলন নেই। তা ধর্ষণই একপ্রকার। শাস্তি-হীন। এই আধুনিকতায় সকলে সকলের মতো হতে চায়, সকলের মতো প্রেম করতে চায়, আর হতে চায় প্রেমিক এবং প্রেমিকা। বন্ধু হওয়ার কোনও দায় কারো মধ্যে নেই। শুধু এক বুক আত্মবোধ নিয়ে দুটো মানুষ পরস্পরের কাছে থেকেও দুটো ভিন্ন পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে যায়। খোঁজ পায়না একে অপরের মনের।

প্রেম বিবাহে পরিণত হয়, প্রেম অভ্যাসে পরিণত হয়, একে অপরের ছোট ছোট চেষ্টা, আশাগুলো কিছুদিন পর নিজস্ব কবর খুঁজে নেয় অথবা খুঁজে নেয় অন্য কোনো মন। আদতে একটি মানুষকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকাই শ্রেষ্ঠ আধুনিকতা, অন্তত থাকার জন্য লড়াইটা। একান্ত না থাকার মানুষের সঙ্গে থাকা যায়না কিন্তু এই দায়-হীন সমাজ, এই বিশ্বাস- হীন সমাজ ক্রমাগত যে দিকে চলেছে তাতে করে তাকে কোনও সুবিখ্যাত চ্যানেলের সুবিখ্যাত সিরিয়াল বাঁচাতে পারবে না, বাঁচাতে পারবে না কোনও উদ্দাম শহুরে ভালোবাসার উদযাপন। বয়স, সময় নির্বিশেষে প্রতিদিন দুটো মানুষের একে অপরের জন্য আপাত নিরীহ কিন্তু প্রচণ্ড দামী চেষ্টাগুলো, বিশ্বাসগুলোই বাঁচিয়ে রাখতে পারে ভালোবাসা, সম্পর্ক। এই নীল গ্রহে এই ভালবাসাই তো সর্বশ্রেষ্ঠ, যৌনতাই তো সবথেকে সুন্দর সত্যি। এই অবিশ্বাসী সময়ের বুকে, প্রচণ্ড গতিশীল জীবনের গতিশীল সম্পর্ক এবং ব্রেক-আপে তাই বিশ্বাস- একটা আলো আধারি গলি ধরে হটাত হারিয়ে যাওয়া, একটা সুগন্ধি রুমালে কাঁথাস্টিচ, একটা সিগারেটের প্যাকেট হটাত হাওয়া, একসঙ্গে রান্নার মাঝে হটাত একবার এঁটো হাতে জড়িয়ে ধরা এবং একটা স্নান ভেজা শরীরে জড়ানো আঁচলের গন্ধে লেখা- ভালবাসি। ভালোবাসা গভীর নদীর নিঃশব্দে বয়ে চলা। ভালোবাসা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শ্রেষ্ঠ বিশ্বাস, একটা নরম বুকের আশ্রয়।

সৌজন্যে: কলকাতা২৪

Exit mobile version