Site icon Daily Dakshinermashal

‘পাটে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে’

Spread the love

এসবিনিউজ ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের তিনটি জিনোম কোড বাংলাদেশের হয়েছে। জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘পাটের গবেষণায় উৎসাহিত করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে পাটে এসেছে যুগান্তকারী সাফল্য। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আমেরিকায় অবস্থিত এনসিবিআই (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) কর্তৃক তিনটি জিনোমের কোড নম্বর পেয়েছে। ’

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণার ফলাফল গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত জার্নাল ন্যাচার প্লান্টে প্রকাশিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মতিয়া চৌধুরী।

বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ২০১০ সালে তরুণ একদল বিজ্ঞানীকে নিয়ে তোষা পাটের জিন নকশা উন্মোচন করেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাকসুদুলের নেতৃত্বে পরে ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের এক ছত্রাকের জিন-নকশা উন্মোচন করেন, যা পাটসহ প্রায় ৫০০ উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়।

২০১৩ সালের ১৮ অগস্ট মাকসুদুলকে পাশে নিয়েই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আরেকটি বড় সাফল্যের খবর জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটি ছিল- দেশি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের খবর।

জিনোম হলো প্রাণি বা উদ্ভিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। এই নকশার ওপরই নির্ভর করবে ওই প্রাণি বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। গবেষণাগারে এই জিনবিন্যাস অদল-বদল করে উন্নত জাতের পাট উদ্ভাবন সম্ভব। এ কারণে সহজ ভাষায় পাটের জিনোম সিকোয়েন্সকে পাটের জীবন রহস্য বলা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পাটের জিন-নকশা উন্মোচনের ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি পাটের গুণগত মান ও উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব। আর নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলে পাট পঁচাতে কম সময় লাগবে, আঁশ দিয়ে জৈব জ্বালানি ও ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।

 

Exit mobile version